কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, May 24, 2020

আছে আছে বাঙালির Unity র জোর আছে

| আছে আছে বাঙালির Unity র জোর আছে😍 |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

বাঙালি ক্ষেপে গেলে নাকি যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য ডুবতো না তাদের ও পাত্তাড়ি গুটিয়ে রুখা সুখা দিল্লি ছুটতে হয়েছিল রাজধানী বোগলদাবা করে। নম্র-শান্ত বাঙালি ক্ষেপে গেলে নাকি "দ্যাখ কেমন লাগে" বলে জামা খুলে লর্ডসের মাঠে ঘুরিয়েছিল কোন বেহালার ছেলে। দেশকে অপমান করা দেখে ক্ষেপে গিয়ে নাকি সাহেবকে থাবড়া মেরে দিয়েছিল প্রেসিডেন্সি কলেজের কোন বাঙালি ছাত্র। পৃথিবীর ঘুম ছুটিয়ে কোন বাঙালি নেতৃত্ব দিয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ। মাতৃভাষাকে অপমান করলে পাকিস্তানকে  নাকানিচোবানি খাইয়ে আলাদা মাতৃভূমি গঠন করে ফেলেছিল বাঙালি।  আবার জনগণমন আর বন্দে মাতরম এর মতো গান লিখে ভারতবন্দনা ও শিখিয়েছিল বাঙালি।

সেই বাঙালির শোকের সময় বাকিদের 'উদাসিনতা' দেখে ক্ষেপে যাবে না বাঙালি? বাঙালি যাবে না ক্ষেপে? ইতিহাস স্বাক্ষী, গোটা দেশে যখন নাগিনীরা ফেলিতেছিল বিষাক্ত নিশ্বাস, বাঙালি রাত পাহারা দিচ্ছিল শিখ আর মুসলিমদের ঘরের সামনে।কেরালা হোক নিকারাগুয়া, সবার প্রথম এগিয়ে এসেছিল সলিডারিটি সেঁটে। বাঘিনী আহত, ওকে ওষুধ দিন, সাহায্য করুন। খোঁচাবেন না এই আহত অবস্থায়।

বাঙালিদের আবেগটা চরিত্রের অংশ। ওটা মানতে শিখে নিন। তাই টিম্বাকটু থাকুক বা তামিলনাড়ু, বাংলার প্রতি জাতীয় উদাসিতা দেখলে বাঙালির রাগ হয়! আর বাঙালি সম্মিলিত ভাবে ক্ষেপে গেলে হুড়োহুড়ি পরে তাদের পাশে থাকার। 

অবশেষে দেশ নড়েচড়ে বসেছে। কেউ প্রথম বিমান নিয়ে পৌঁছে গেলেন বাংলা, কেউ ফোনে বললেন বাংলার অবস্থা দেখে চোখে জল আসছে। বিরল সৌজন্য দেখিয়ে সব্বাই সব্বার পাশে থাকবে বলেছে। বাংলার দলগুলো একসুরে দাবী করেছিল একে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার। অর্থনৈতিক প্যাকেজ চাই। কেন্দ্র আগাম ১০০০ কোটি দিচ্ছে। আরো দেবে কিন্তু এবার বাংলার দলগুলোকে শপথ নিতে হবে, বাংলার জন্য এক্কাট্টা হয়ে দিল্লিতে লড়বে নয়তো বাঙালি কৈফিয়ত চাইবে। বাংলার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শপথ নিতে হবে, তারা  ছিনিয়ে নিয়ে আসবে বাংলার মানুষের জন্য ত্রান-সাহায্য, না আনতে পারলে বাঙালি কৈফিয়ত চাইবে।

প্রথম ম্যাচে বাঙালি জিতেছে। কিন্তু কৃষি নির্ভর, শিল্প শূন্য একটা রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের একহাজার আর রাজ্যের বরাদ্দ একহাজার কোটি খুব সামান্য। আরো দিতে হবে। তারজন্য ফেসবুক, টুইটারে মাঠে ময়দানে লড়াই চলুক। ফেলুদা আজকে বাঙালির পারফরম্যান্স দেখলে ঠিক বলতো, আছে আছে বাঙালির Unity র জোর আছে |

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment