| এমন বন্ধু আর কে আছে তোমার মতো সিস্টার |
#InternationalNursesDay
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
যে নার্সটি মাঝরাতে ঘুমন্ত রোগীর সরে যাওয়া চাদরটা টেনে, জ্বর আছে কিনা দেখে পাশেই আধ ঘন্টার জন্য চোখ বুঁজে নিতো ডবল শিফট শেষে আর যে নার্স মেয়েটি বয়স্ক দাদুটার মেয়ে হয়ে গেছিল শেষের দিকে। যে নার্সটি রোজ সূর্যাস্ত দেখাতে নিয়ে যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত অষ্টাদশীকে আর দুজনে মিলে ওষুধের, স্যালাইনের মাঝে শাহরুখ খানকে নিয়ে খুনসুটি করে, যে ইমারজেন্সিতে কড়া দিদিমনির মতো পেশেন্ট পার্টিকে শাসন করে, আজ তাদের ধন্যবাদ জানানোর দিন। থ্যাংক ইউ সিস্টার!
ওই যে মহিলা কোলে ফুটফুটে এক শিশুকে তার বাবার কাছে দেখাতে নিয়ে এসেছিল আর ওই যে মহিলা যে ছুট্টে এসে বলেছিল, কংগ্রাচুলেশনস, মেয়ে হয়েছে! আজ ওদের অভিবাদন জানানোর দিন।
আজ সেই বোন, বন্ধু, মা, দিদি, সিস্টার হয়ে ওঠা সাধারণ মহিলাগুলোর অসাধারণত্ব উদযাপনের দিন। আজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদন্ডকে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার চেষ্টা। ডাক্তার স্টেথোস্কোপ নিয়ে নায়কের মতো লড়ে কিন্তু তার পাশে টানা পার্শ্ব চরিত্র হয়ে লড়ে যায় এরা৷ সুপারউওম্যান!
ওদের নিয়ে মহাকাব্য লেখা হয় না কিন্তু প্রত্যেকটা রোগীর একটা করে ছোট গল্প আছে ওদের নিয়ে। একটা করে ভালোলাগার মুহূর্ত, একটা করে মন্দবাসার ক্ষন আছে৷ কিন্তু আছে। ওদের জান লড়িয়ে দেওয়ার, ওদের মৃত পেশেন্টকে শেষ বারের মতো চাদর ঢাকা দেওয়ার সময় চোখের জলের, ওদের রেগে যাওয়ার, ওদের ইঞ্জেকশন হাতে ঘরের ঢোকার, দারুণ বিষন্নতায় বেডের পাশে ওদের ঝলমলে কোন প্রতিশ্রুতির।
সেই সমস্ত নার্স যারা রোজ কোরোনার সাথে লড়ে যাচ্ছে, যারা জীবানুর চোখে চোখ রেখে লড়ছে, সেবা করে চলেছে পার্শ্ব চরিত্র হয়েই ৩৬৫ দিন, তাদের আজ কুর্নিশ!
©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment