| কাকতালীয়? না সত্যি মানুষের ভালো করলে তার ফল মেলে? |
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
এই গল্প হলে ও সত্যি ঘটনাটা আমার বন্ধু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা.ইন্দ্রনীল খাঁ আমাকে বললো। ওর মতোই আমি স্তম্ভিত এই ঘটনায়। আমি ম্যাজিকে বিশ্বাস করি কিন্তু এতো তার ও বেশী কিছু৷ কাকতালীয়? অলৌকিক? না সত্যি মানুষের ভালো করলে তার ফল মেলে? সত্যি একশো বছরে একবার এরকম একটা যোগস্থাপন হয়? বা হয়তো পুরোটাই গনিত।
২০১৯ সালের ৮ই মে আলজেইমার্স রোগে আক্রান্ত এক বৃদ্ধকে কিছু মানুষ রাস্তা থেকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। কিচ্ছু মনে নেই তার। নাম মনে আছে এসএন লাহিড়ী, বাড়ি মনে আছে মালদা। ব্যাস! ইন্দ্রনীল ও অনেকে মিলে ফেসবুকে লেখে ওনার সম্বন্ধে। কেউ যদি কিছু খোঁজ দিতে পারে। একজন ব্যক্তি এই ব্যাপারে জেনে মাঠে নেমে পরে। ওনার নেশা সমাজসেবা। খুঁজে পেতে বৃদ্ধ ভদ্রলোকের বাড়ি বের করে। তার মেয়েকে খবর দেয়, লাহিড়ী বাবুকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে ১০ই মে ২০১৯।
এই ঘটনার পাক্কা একবছর পরে মানে ৮ই মে ২০২০র বিকেলবেলা বেসরকারি এক হাসপাতালে হাততালির শব্দ শুনতে শুনতে হুইলচেয়ারে করে বাড়ির পথে রওনা দেয় এক ৫২ বছর বয়সী ব্যাক্তি। কোরোনা পজিটিভ ধরা পরেছিল। অবিশ্বাস্য ভাবে ৩৮ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরছে।
আপাত দৃষ্টিতে ২০১৯ ও ২০২০র দুটো ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে ২০১৯ সালে যে লোকটা আলজেইমার্স রোগীটিকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তার পরিবারকে খবর দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছিল, সেই লোকটাই ২০২০ সালে অকল্পনীয়ভাবে ৩৮দিন ভেন্টিলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে বেরিয়ে আসে। বিল বেশ খানেক লাখ টাকা হয়েছে কিন্তু কি অদ্ভুত কতো মানুষ আর সংস্থা সেই বিল মিটিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে।
আমাদের আশেপাশে সবটা বোধহয় এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়নি। সত্যি হয়তো মানুষের ভালো করলে তার ফল মেলে। ওটাই বোধহয় পূন্য। ওটাই বোধহয় ম্যাজিক দেখানোর আগের ধাপ! আনন্দ বক্সি কতো বছর আগে লিখে গেছে: জিন্দেগী ক্যায়সি হে পহেলি হায়ে, কভি ইয়ে হসাঁয়ে, কভি ইয়ে রুঁলায়ে!
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
তথ্যসূত্র: Indranil Khan
No comments:
Post a Comment