কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, May 24, 2020

বাংলা হারেনা, হারতে পারেনা

| বাংলা হারেনা, হারতে পারেনা ❤ |

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ 

যারা কথায় কথায় বলে "হামি তুমাকে ভালোবাসি" আর যারা কলকাতা মানে ভাবে রসগুল্লা আর মিষ্টি দই তাদের আজকের ভূমিকা মনে রাখা হবে৷ 

যারা নিজেকে পরিচয় দেয় বাংলার জামাই বলে আর যারা ইডেনে হাত নাড়িয়ে বলে, "আমি কলকাতা উই রুল" তাদের আজকে মনে রাখা হবে। 

মনে রাখা হবে নিকারাগুয়া, ভিয়েতনাম, বলিভিয়া, মুম্বাই, কেরালা আরো কতো কি। আন্তর্জাতিক বাঙালি তো সব্বার জন্য গলা ফাটিয়েছিল, মোম জ্বালিয়েছিল। ৪৬' এ ও একলা হয়ে গেছিল। এবার ও একলা সামাল দেবে। মনে রাখা হবে "সামান্য ক্ষতি " বলা ৭২জনের মৃত্যুকে। মনে রাখা হবে কথায় কথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায় যারা তাদেরকে।

আচ্ছা রবীন্দ্রনাথের নোবেলজয়ের পরে কোন হরিদাস পাল শুভেচ্ছা পাঠালো তা নিয়ে কি আমরা চিন্তিত ছিলাম? বা উত্তমকুমারের মহাপ্রয়াণের বেলায়? অমর্ত্য বা অভিজিৎ কি হাঁ করে বসেছিল কখন কেউ একজন টুইট করবে তারপর সে পুরস্কার নিতে যাবে? সৌরভ কি কারোর পারমিশন নিয়ে জামাটা খুলে মাথায় ঘুরিয়েছিল নাকি? মাথায় রাখবেন, ভারতের প্রথম অস্কারটা সেই সাত সমুদ্র পেরিয়ে কয়েকজন সাহেব এই কলকাতা শহরেই তুলে দিতে এসেছিল৷ ব্রিটিশদের বাপের নাম ভুলিয়ে দিচ্ছিল বলে তাদের কলকাতা থেকে দেশের রাজধানী দিল্লি নিয়ে যেতে হয়েছিল। 

ব্রিটিশদের পরিকল্পিত গণহত্যা, ৭৬ এর  মন্বন্তর, জাতি-দাঙ্গা, বিপ্লবীদের বেছে বেছে গুলি করে মারা, ছোট ছেলেদের হাসি হাসি ফাঁসির দড়ি পরা, দেশভাগের যন্ত্রনা, মহামারী, দারিদ্র্য, বিপ্লব আর নকশালবাদ, চিনের হামলা, মাওবাদী সমস্যা, সারেগামাপাধানি বোম ফেলেছে জাপানি- সব, সব একা সামলেছে বাংলা। থুঁতনি ফাটা, রক্তমাখা, পায়ে চোট তবু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবার ও দাঁড়াবে।

হাত ধরুন। বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দল হাত ধরুন। ডান-বাম, সেকু মাকু, দিদি দাদা নির্বিশেষে হাত ধরুন। বাঙালির ফেভারিট গেম কাঠি করা এবার ও করলে ম্যাচ হেরে যাবো। আমি আপনি, ফেলুদা, ক্যাপ্টেন স্পার্ক, মিতিন মাসি, র‍্যাক্সিট এমনকি মগনলাল মেঘরাজ বা ডাকু গন্ডারিয়া ও হেরে যাবে, মারা পরবে। এবার বাঙালি হয়ে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় প্যাকেজ ছিনিয়ে আনতে হবে। এবার ডাক দিতেই হবে, দুনিয়ার বাঙালি এক হও। হিমালয়ের চেয়ে ও বিশাল অর্থনৈতিক নিম্নচাপ আসছে, কৃষি  নির্ভর, শিল্প শূন্য এক রাজ্যের জন্য ভয়াবহ এক সময়। ফালিবাজি না, কাঠি করা না, কাঁকড়ার মতো টেনে নামানো না। আমি বিশ্বাস করি বাঙালি আরো অনেক বড় বড় জিনিস করতে পারে।

আবার মনে করিয়ে দিই। বাঙালি সব পারে। শীত ঘুম থেকে উঠে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বোরোলিন, মাংকি ক্যাপ, জেলুসিল আর তালমিছরি পেলে বাঙালি সব করতে পারে। শপথ নিন। এক হয়ে এই লড়াইটা লড়বেন। প্লিজ হতাশ করবেন না। আমি, আপনি, ফেলুদা সব্বাই বসে আছি যুদ্ধ জেতার পরে চিৎকার করে বলবো বলে, আছে আছে বাঙালির Unity র জোর আছে!

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment