পুজোয় চাই নতুন পিপিই

| পুজোয় চাই নতুন পিপিই |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ 

আগে খাদিমস, শ্রীলেদার্স থেকে পঞ্চমীতে নতুন জুতো কিনে এভাবে ছবি দিতাম। বাবা কিনে দিতো। পুজোয় খুব ভীড় হতো দোকান গুলোতে। উপর থেকে জুতোর বাক্স কি নিপুনভাবে ছুঁড়ে দিতো সাইজ বুঝে। কিনে নেওয়ার পরে একটা পেন মাস্ট! কি জানি জুতো কিনলেই খাদিমস বা শ্রীলেদার্স লেখা পেন কেন ফ্রি দিতো। গড়িয়া থেকে কিনলে বিন্দুশ্রীতে ডিনার হবে, গড়িয়াহাট থেকে কিনলে সোনালীতে৷ বড় রাস্তার বিশাল সাইনবোর্ডে বিজ্ঞাপন থাকতো, "এবার পূজোয় চাই নতুন জুতো।"

সেই যুগ ও শেষ সেই জুতো ও শেষ। এখন বাবা বিজ্ঞাপনের মুখ যেন। এবার পুজোয় চাই নতুন পিপিই! ডাক্তারদের আর কিই বা আহ্লাদ হতে পারে এই আকালে। রোজ ডেটলে স্নান করে যেন প্রাণ পায় এরা। পিপিই তো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট মনে হবেই। নতুন পিপিই পেয়ে বয়স যেন ঝট করে দু'দশক কমে গেছে৷ তাই বোধহয় থামস আপ! টেস্ট দা থান্ডার! ঢাল তলোয়ার! 

এটাই হয়তো ভবিষ্যৎ আমাদের। কোরোনাকে নিয়েই বাঁচতে হবে বলছে সবাই। মানে যারা হাই রিস্ক জোনে আছে তারা ব্র‍্যান্ডেড পিপিই উপহারে পাবে। মান্যবর,  ফ্যাব ইন্ডিয়া, গুচি, হুগো বসের!যারা নেই, তারা তাঁতের, তষরের, কোটকির, কাঞ্জিপূরমের মাস্ক পরবে। শিফন মাস্ক বোধহয় কাজে দেবে না! তাই শিফনে সানি লিওনিই থাক! আর ফ্যাশন স্কুলের ছেলেমেয়েরা বিরত থাক। কাঁচি বেশী চালালে মাস্কে আর মাস্ক থাকবে না গড়ের মাঠ হয়ে যাবে! 

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ