কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, May 24, 2020

জোহরা তোমার চোখের জলের প্রতিশোধ নিচ্ছে দেশ |

| জোহরা তোমার চোখের জলের প্রতিশোধ নিচ্ছে দেশ |

#NotAFakeNews #Zohra #PicFrom2017 #ASIAbdul #Kashmir

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

জোহরা এতোদিনে বুঝে গেছে, ওর আব্বু ঘরে ফিরবে না। বাবার নিথর দেহটা দেখে একরত্তি মেয়েটাকে ধরে রাখা যাচ্ছিল না। ওকে শান্ত করতে বোঝানো হয়েছিল আব্বু হজ করতে যাচ্ছে। হজে কফিন করে যেতে হয়। আব্বু ঈদে ফিরবে বলে গেছে। তিন তিনটে বছর ঈদ চলে গেছে, আব্বু ঘরে ফেরেনি।

জোহরা আব্দুল রশিদ সামান্য এক কিশোরী। কাশ্মীরের কিশোরী, নিজেকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেয় আজ ও। কয়েকটি পাথরবাজ, উপত্যকার কয়েকটি জেলার মানুষ বাদে যেভাবে বাকি কাশ্মীরিরা ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেয়। ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে তারা খুশি৷ 

ওর বাবা নিহত কাশ্মীর পুলিশের এএসআই আব্দুল রশিদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে স্বতন্ত্র, মূলস্রোতে এক সংসার করতে চেয়েছিল। পুলিশে কাজ করতো। এলাকার ছেলেদের সতর্ক করতো, বুরহান ওয়ানি বা রিয়াজ নাইকুর পথ ভুল পথ। 

বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে রিয়াজ নাইকু হিজবুল কমান্ডার হয়। কাশ্মীরি পঞ্চায়েত সদস্যদের চোখে এসিড ঢেলে দিতো, পুলিশকে মেরে সাধারণ কাশ্মীরিদের ভয় দেখাতো। খবরদার যেন নিজেদের ভারতীয় না ভেবে ফেলে তারা। 

কাশ্মির আমাদের দেশের পাকাপাকি অংশ হওয়ার পর থেকেই নাইকু ও পাকিস্তানে বসা তার বাবারা পাগল হয়ে গেছিল৷ এক বছর ধরে চেষ্টা করছিল কি করে উত্তেজিত করা যায় জনতাকে, কি করে বিশাল মাপের কোন হামলা চালানো যায়, কি করে ভারতের মেরুদন্ড গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়। পারেনি উল্টে পাকিস্তান ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে, এভাবে ভারত সরকার চললে দুদিকের কাশ্মিরই তাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। আজ ইঁদুরের মতো মারা হয়েছে নাইকু আর তার চ্যালাদের। হিজবুল মুজাহিদ্দিনের সমস্ত মাথা নিহত।  

জোহরারা আজ খুশি, খোঁজ নিয়ে দেখুন কাশ্মিরের বেশীর ভাগ খুশি কিন্তু 
এসবের পরে ও তো এজেন্ডা চালিয়ে যেতে হবে। এসবের পরে ও তো রুদালি হতে হবে। তাই জোহরার অশ্রসজল চোখের ছবি পুরস্কার পায় না। কাশ্মীরি পন্ডিতদের ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার ছবি পুলিৎজার পায় না।

মুখে রুমাল বাঁধা, সেনাবাহিনীর জাল দেওয়া ভ্যানে সিমেন্টের স্ল্যাব ছুঁড়ে দিয়ে লাফিয়ে পাথর মারছে ড্রাইভারকে তাক করে - কাশ্মীরের এই ছবি ও আরো কয়েকটি ছবি যারা তুলেছেন, তারা পুলিৎজার পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। খুব ভালো! কিন্তু কেন যেন এদের জোহরাদের ছবি, ওর মতো আরো বাচ্চা যারা ভারতের পতাকা স্বগর্বে ওড়ায়, তাদের ছবি, পন্ডিতদের ফেলে যাওয়া বাড়ির ছবি, সুফিদের কুপিয়ে মারার ছবি দেখালেই ক্ষেপে যায়। এসব নিয়ে কথা বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক আর বুরহান ওয়ানি বিপ্লবী! 

একবছর হতে চললো কাশ্মিরের অন্তর্ভুক্তির, সাধারণ কাশ্মীরিদের কাজ আসছে হাতে, পাথরবাজদের চাকরি গেছে, সন্ত্রাসীদের উপরে পাঠানোর কাজ চলছে রোজ। ওরা Burnol মলম লাগাবে না? লাগাবে না ওরা Burnol? জোহরা তোমার চোখের জলের প্রতিশোধ নেবে দেশ। নেবেই। কাশ্মীরের মানুষ মানে তো ১৩০ কোটি মানুষের একজন। সময় এসেছে এটা বোঝানোর যে কাশ্মির মানে স্রেফ বিচ্ছিন্নতাবাদ না, কাশ্মির ভারতের তাজ ও, কাশ্মির আমাদের ভূস্বর্গ ও। কাশ্মির আমাদের স্বপ্নের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন, বলিউডের প্রিয় লোকেশন। ফের কাশ্মির ছন্দে ফিরছে, এবার ভারতের শত্তুরদের টুকরো টুকরো হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ!

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Note: The author has used photos of Zohra, the daughter of the assistant sub- inspector (ASI) of police Abdul Rashid who was killed in 2017. This article is about Riyaz Naikoo, situation in Kashmir & aspirations of common Kashmiris post abrogation of Article 370. No Fake News peddled. AI generated Facebook auto correction is wrong & needs amendment.

No comments:

Post a Comment