| আজকে শনিবার, আজকে জঙ্গল কাটার দিন |
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
না অপমানিত বোধ করছিনা তবে প্রয়োজন মনে করছি জঙ্গল সাফ করে নিকানো উঠোনের। জঙ্গল নিয়ে কোনদিনই ভাবিত ছিলাম না ফেসবুকে। জঙ্গল ও একটা বৈচিত্র্য আনে প্রোফাইলে। নিজের থেকে নানা উদ্ভিদ, গাছগাছালি, লতাপাতা। কিন্তু তারমধ্য থেকে যদি শিয়ালকাঁটা, আকন্দ, হিজল বা ধুতরার সংখ্যা বাড়ে তা পীড়া দেয়৷ সাফ করা জরুরি তখন। বিষ-নিশ্বাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কিছু বিপ্লবীকে প্রথম ভাগে ছাঁটলাম। ওই যারা ভাবে তাদের জন্য আমার লেখালেখির বাজার চলছে। যারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা লেনিন নিয়েই শুধু লিখলে উদবাহু নৃত্য করে কিন্তু পরমুহূর্তেই পছন্দমতো লেখা না পেলে হরেক বিশেষণে দাগিয়ে দেয়। মাক্কালির দিব্বি আমি কিন্তু কোনদিন গণশক্তির মতো লিখিনি৷ তবে ওনাদের হয়তো ধারণা হয়েছিল আমার একটা করপোরেশনে কাজ লাগবে বা ইবাচুসির লাইসেন্স। ইবাচুসি জানেন না? সিন্ডিকেটের আগে ছিল৷ ইট-বালি-চুন-সিমেন্টের ব্যবসা।
ইদানিং কিছু বিপ্লবী আমাকে slander করে বা প্রকাশ্যে/ ইনবক্সে মোনোলগ কপচে পেটোয়া বন্ধুমহলে নায়ক সাজছে। সে সাজতেই পারে তাতে যদি আনন্দ পায়। কিন্তু বিষয়টা নোংরামি আর ঔদ্ধত্যের দিকে যাচ্ছে বলে লিখতে হলো। আগে ও লিখেছিলাম। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা গৌতম দেবকে তো সাধারণ মানুষ দেখতে পায় না। পায় হাম্বরা লোকাল দাদাকে। তাদের দেখেই perception মান অভিমান ইত্যাদি।
আমি যখন বেলা চাও নিয়ে লিখেছিলাম ইটালির কমিউনিস্ট পার্টি এক ইউরো ও ট্রান্সফার করেনি, "দিদি নাম তো সুনা হোগা" র সময় তৃণমূল ও না, কাশ্মীর নিয়ে লেখার সময় আরএসএস ও না। কমিউনিটি কিচেন নিয়ে লেখার সময় এক বস্তা চাল ও আমার বাড়ি ঢোকেনি। তা এই ধারণাটা এলো কিভাবে যে আমি সেই দলটি থেকে সুবিধা পাচ্ছি, ওকে বেচে খাচ্ছি বলে ওদের নিয়ে লেখা! ৭৭বছরের কান্তিবাবু আর ৬৫র মমতাদিদিকে নিয়ে লিখলেই দেগে দেওয়া!
অবশ্য আগে ও এটা হতো৷ কৌতূহলী ছাত্র চারু সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছুক বলে দাদা বলে দিলো সে নকশাল, ড্রেনে জল উপচে পরছে কেন বললেই তুমি শালা কংগ্রেসি!
মাঝেমাঝে ভয় হয়! এই অতিবিপ্লবটাই না বিজ্ঞাপন হয়ে থেকে যায়। আর ওই পাগলের মতো ঝড়ে জলে খেটে চলেছে যারা তাদেরটা আনুষঙ্গিক। Below the belt ভাবছো যেটা আসলে সেটা তোমার পচাগলা আত্মতুষ্টিটা। কাল অবধি যে ছিল মেনি আজ সে বাঘ হয়ে আমাকে বলে, অমুক লাইনটা কেন দিলে? আমরা শুধু না অমুক দা ও অসন্তুষ্ট হয়েছে!
বন্যরা বনে সুন্দর আপনি False Notion এ। আপনি আপনার মতো থাকুন। স্রেফ বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দিলাম কারণ অনেক বন্ধু আছে যারা রোজ নিয়ম করে লেখা পড়ে, ফলো করে কিন্তু ৫০০০ হয়ে যাওয়ার ফলে যুক্ত হতে পারেনি। এবার পারবে, খুব আনন্দ হচ্ছে। এই এতো ধরনের মানুষকে পেয়েই তো আনন্দ হয়। মানুষই শেষ কথা বলে যে। যারা Pureblood Partisan প্রমাণ করতে গিয়ে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়, তাদের চৈতন্য হোক।
আমার লেখা চলবে। যখন যেটা মনে হবে সেটা নিয়ে। উল্লাস!
©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment