| মিসটেক মিসটেক |
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী কান্তি গাঙ্গুলীর একটি ছবি পেলাম। গোহারা হেরেছে যে দেবশ্রী রায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। না পাওয়াই স্বাভাবিক। হারলে আবার কেউ ফিরে ফিরে আসে নাকি? কৌটো ঝাঁকানো দলের নেতা মন্টুরাম পাখিরাকে শেষ কবে দেখা গেছে কেউ মনে করতে পারছে না। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। নেই নেই উনি নেই। দিদিকে বলোর নম্বরটা যেন কি? কি গুলিয়ে যাচ্ছে তো? সব হিসেব, সব মুখগুলো? অস্ফুটে চোদ্দতলার চেম্বার থেকে উনি ও কি মিসটেক মিসটেক বলছেন? কাদের টিকিট দিয়েছিলেন? স্রেফ একটা বিশাল বটবৃক্ষের মতো ব্রান্ডকে সামনে রেখে জিতে আসা কিছু অপদার্থকে। এরা কাজ করলে ৬৫বছর বয়সী মহিলাটিকে পাগলের মতো এমাথা ওমাথা রাজ্য বাঁচাতে দল বাঁচাতে ঘুরতে হয়? পিকে বাবু শুনছেন?
সুন্দরবনে বাকিদের নিয়ে বাঁধ দিচ্ছেন, হাতের তালুর মতো চেনেন যে সুন্দরবনের জায়গা গুলো সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন চাল, ত্রিপল নিয়ে, প্রশাসনকে মন্ত্রীর মতো নিজে বলে দিচ্ছেন কোথায় কি লাগবে, কোন এলাকা যেতে গেলে এখন কোন পথ ধরতে হবে আবার এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের মতো নিজে চেয়ার নিয়ে বসে তদারকি ও করছেন। এখন তো বোধহয় বনবিবি ও জেনে গেছে, দুর্যোগের আগে কান্তি আসে।
মিসটেক মিসটেক মিসটেক! সুন্দরবন, রায়দীঘির মানুষ বলছে হয়তো। মিসটেকই তো। কান্তি পাগল তাই যায়। কোন নেতাকে দেখেছেন হেরে গিয়ে ও ওখানেই মানুষের জন্য পরে থাকতে? কেউ ভিলেন হয় আর কেউ বাজিকর। ওই সিনেমার মতো বললে, হার কে জিতনেওয়ালে কো কান্তি কেহেতে হে!
মন্টুরাম বাবু, দেবশ্রী দেবী আপনারা সাবধানে থাকবেন। পরের বার ভোট চাইতে আসবেন ততোদিন ৭৭ বছর বয়সী এক হাই সুগার, প্রেসারের বুড়ো সুন্দরবন সামলাক আর ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা আপনাদের জয় সুনিশ্চিত করতে একা হাতে জুতোসেলাই থেকে চন্ডীপাঠ করুক।
©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment