| রেল দুর্ঘটনার কারন জানুন, লজ্জা পান |
--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে?
বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে।
নতুন রেল মন্ত্রী এত হাজার রেল দুর্ঘটনা ও এত গন্ডা মানুষের প্রাণ যাওয়ার পর আবিষ্কার করেছেন যে দেশের রেল লাইনগুলো ম্যানুয়ালি পরিক্ষা করা হয়। একজন লাইনম্যান একটা লোহার রড লাইনে ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ শুনে ঠিক করেন কোন লাইন বদলাতে হবে আর কোন লাইন ট্রেন চলার সক্ষম। কোন ট্রেন স্ক্যানিং বা এক্সরে কোচ নেই, কোন অত্যাধুনিক যন্ত্র নেই।
ঠিক কতগুলো রেল দুর্ঘটনা দরকারি কতৃপক্ষের টনক নড়ার জন্য। ঠিক কতগুলো দলা পাকানো লাশে বোধোদয় হয় ভগ্ন রেল লাইন সারানোর? উত্তর আসবেনা। নতুন রেলমমন্ত্রী আসবে আমি জানি!
বিগত এক বছরে ১৯৩ জন যাত্রী মারা গেছে রেল দুর্ঘটনাবশত। দশ বছরে সবচেয়ে বেশি। দশ বছরে প্রায় পাঁচশো জন মানুষ মরেছে। নিজেদের কোন দোষ বা গাফিলতি না থাকা স্বত্তেও।
এদের কেউ হয়তো ছেলেকে জড়িয়ে লোয়ার বার্থে শুয়ে ছিল। কেউ হয়তো বাড়িতে সবে ফোন করে কোন স্টেশন আসছে তা জানাচ্ছিল, কারোর হয়তো মধুচন্দ্রিমা যাওয়ার কথা ছিল, কেউ হয়তো ঘরে ফিরছিল। কেউ হয়তো সাইড বার্থে বসে বউকে নিয়ে টিফিন বাক্সজাত খুশবুদার খাওয়ার খাচ্ছিল। দুম করে ট্রেন উল্টে গিয়ে মারা গেল। বাড়ির লোক অনেক পরে পেল দু লাখ আর রাষ্ট্রীয় সহানুভূতি। ব্যাস!
লজ্জা হচ্ছে। আমরা বুলেট ট্রেন আনছি দেশে। আমরা আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছি শক্তিশালী মিশাইল। আমরা যুদ্ধবিমান কিনছি বিদেশ থেকে। আর ট্রেন লাইন পরিক্ষা করছি ঠুকে ঠুকে।
রাগ হচ্ছে। দারুন রাগ হচ্ছে। আমার ট্যাক্স এর টাকায় রেলের মন্ত্রী সন্ত্রীর মোটা মাইনে বাড়ছে, তেনারা যাচ্ছেন হাওয়াই জাহাজ চেপে আর আমাদের রেল পরে থাকছে ব্রিটিশ জমানায়। অথচ এটাই দেশের লাইফলাইন। এর উপর ভরসা করে ৮০% ভোটার। হ্যা, মন্ত্রীকে নির্বাচিত করে যারা।
কে বলেছে এত বছর প্রযুক্তির প্রয়োগ না করতে? দাম বাড়ান, কিন্তু যাত্রী সুরক্ষা দিন। বুলেট ট্রেনের ফুটানি পরে হবে, আগে রেল লাইন ঠিক করুন। যদি বিমুদ্রাকরনে, জিএসটি লাগুতে আমাদের না জিগ্যেস করে করতে পারেন, তবে এটাও করুন। এখন প্রযুক্তি না ব্যাবহারের অজুহাত কেন?
এই ভিডিও ও তার বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া ও দেশের শোনাটা দরকারি।
©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment