কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, October 15, 2017

রাজ্যসভায় অমিত শাহ ঢুকছে, সীতাকে বিদায় দিচ্ছে সিপিএম: ঐতিহাসিক ভুল?

| রাজ্যসভায় অমিত শাহ ঢুকছে, সীতাকে বিদায় দিচ্ছে সিপিএম: ঐতিহাসিক ভুল? |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

হ্যাঁ এবার অমিত শাহ সংসদে প্রবেশ করবেন। সম্ভবত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কোন মন্ত্রী হচ্ছেন। হয়তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক এমন এক সময় প্রাগৈতিহাসিক সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে সীতারাম ইয়েচুরিকে সংসদে আর দরকার নেই।

ন্যাঁড়া কয়বার বেলতলা যায়? বিরল বোকা#*দা হইলে নাকি একই রাস্তা ধরে একাধিক বার যায়। সিপিএম হইলে অগুন্তি।

মানুষ কয়বার ঐতিহাসিক ভুল করে? গণতন্ত্রের Untraversed path হইলে এক কি দুইবার। বোদ্ধা *চি হইলে অগুন্তি।

সিপিএম হইলে ভুল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি। অগুন্তি মানুষের কথা যেখানে  বলা যায়, খেটে খাওয়া, খুটে খাওয়া, কম খাওয়া ভোটারের কথা, পিটিয়ে মারা সংখ্যালঘুর কথা যেখানে বলা যায় সেই সংসদে রাম থাকিবে। সীতারাম থাকিবে না। হ্যা, শ্রেষ্ঠ সাংসদের পুরষ্কার পাওয়া স্বত্ত্বেও। কারণ পার্টি মনে করেছে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার থেকে টিমবাক্টুতে বামপন্থা নিয়ে ভাষণ দেওয়া অনেক জরুরি।

কারণ সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে পার্টি লাইন। আমার গভীর ধারনা সীতা এই অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। খোঁয়াড়ে শুয়োর থাকে, পলিটব্যুরোয় বিপ্লবী।

এই বিক্ষুব্ধ  সময় সীতারামকে সংসদে না পাঠানো এবং কুমার শানুর শোয়েব আখতারের মুখোমুখি হওয়া প্যাড, এবডোমেন গার্ড ছাড়া- দুই সমান। এটা এখন পার্টি লাইন। তাই সত্য এবং সুন্দর সিদ্ধান্ত।

ভবিষ্যৎ এই  ভুল ফের স্বীকার হবে। সেই কবেকার পার্টি বিশাল এক বেড়াল ফোলায়, ভাবে বাঘ হয়েছে। তাকে রুশ কায়দায় লালন পালন করে, বিপ্লবী ভাষণ ছাড়ে সর্বহারার প্রতিনিধি হয়ে ওঠার আর শেষমেষ ঘ্রোঁয়াও ক্রমাগত মিয়াওঁ এ বদলে যায়। তারপর ঢোঁক গিলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। সেই কবে জননেতা বুদ্ধ বাবু হাত জোর করেছিলেন, ব্যস হা রে রে করে মধ্যমেধা সব নামিলো ক্ষমা চাইতে। চেতেই থাকলো।

জ্যোতি বাবু প্রধানমন্ত্রী হলেন না, সোমনাথ চাটুজ্জে রাষ্ট্রপতি ভবন পেলেন না, সীতারাম টিকিট পেটে লাথি খাওয়া মানুষের কথা বলতে। থাকার মধ্যে থাকিলো দীর্ঘসূত্রী এক লাইন। পার্টি লাইন। যা কনফিউজড।

দেওয়াল লিখন পরিস্কার! মায়োপিয়া থাকলে চশমা পাল্টান আর পারলে ধারনা। দুনিয়া বদলেছে, আম্বানিরা এখন অনেক সজাগ ও ক্ষমতাশালী, আপনি রিপ ভ্যান উইংকিল। আপনার স্ট্রিট কর্নার শিশু ফেসবুকে ওই চাড্ডি প্রোপাগান্ডার কাছে। পুঁজিবাদী কালো হাত অনেক অনেক হাত ধরেছে।

কমরেড বাঁশি বাজাচ্ছেন যাচ্ছেতাই আর তাতেই ইদুঁরের দল পিল পিল করে গা এ গা ধা এ ধা মেলাচ্ছে ব্রিগেডে ব্রিগেডে। কেউ মাথা খাটাচ্ছে না। কেউ অন্য সুর এ কথা বলছে না।আজি হতে শতবর্ষ আগেও এই পার্টি প্রতিবাদ করতে হলে সহস্র মাথা চুলকে সেই বন্‌ধই ডাকত, এখনও চিন্তা-দেওয়ালে মাথা কুটে সেই বন্‌ধই ডাকছে। কী ব্রেন-বিবর্তন!

জ্যোতি বসুু,হরকিষন  আপনারা ঘুমোন। আমরা এই অবস্থা দেখবো বলে জেগে থাকি। আধা বিজেপি, আধা কংগ্রেসি হই। নকশাল হওয়ার মুরোদ নেই।

পুনশ্চ: আমি শ্রেণিশত্রু, পাতিবুর্জোয়া, তিনোমূলি বা চাড্ডী নই। আরো খারাপ। আপনারা অযাচিত ভালো। হবেন না। প্লিজ।

©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment