| পুলিশ বড্ড অসহায়, ওর পাশে দাঁড়াও |
---ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
মৃত স্বামীর কফিন আগলে এক তরুণী। বাকিরা সামলাতে পারছেনা। চিৎকার করছে: সবাই সব ভুলে যাবে। ওকে কেউ আটকাবে না (কফিনে) ওর নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হবে।
বেশির ভাগ পুলিশই ইনসোমনিয়াতে ভোগে। পুলিশ উর্দি খুলে যখনই স্বামী বা ছেলে বা বাবা হতে যায়, কিছু না কিছু বাঁধা আসে। হয় স্ত্রী অনেক আগেই ছেলে কে নিয়ে পাশের ঘরে শুয়ে পরেছে। বা ছেলে টেবিলের তলায় লুকোতে হচ্ছে দেখে প্রশ্ন করেছে বা মা দুশ্চিন্তা করেছে টিভিতে থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার ছবি দেখে। বাকিটা সময় মেটিয়াবুরুজ এ মিউমিউ বা রাজপথ এ ফ্যালফ্যাল করে ত্রিশূল হাতে মিছিল দেখা।
এবার ও এক পুলিশ পাহাড়ে কাজ শেষ হলে প্রেমিক সাজবে ভেবেছিল। খুন হওয়ার আগে নতুন বউয়ের সাথে খুনসুটি করবে ভেবেছিল। বিধাতার রুলবুকে বোধহয় এসব লেখা নেই। হাউহাউ করে এক কমবয়সী বউয়ের কান্না লেখা আছে। মাথা দারুন গরম হলেও মেরুদণ্ডহীন "ইয়েস স্যার" লেখা আছে।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। ওর ডি.এ নেই, নপুংসক এর রাষ্ট্রগত ছায়া থেকে বেরোনোর উপায় নেই, সেনার মত সম্মান নেই, আল্লা হু আকবর বা জয় শ্রী রামের আড়ালে লুম্পেনবাজি হলে লাঠি চালানোর পারমিশন নেই।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। সাংবাদিক ও বোধহয় আংশিক। ফাটিয়ে লিখতে ইচ্ছে করলেও থেমে যেতে হবে। হাত নিশপিশ করলেও রিপোর্ট থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে প্রশ্ন থেকে বিরত থাকতে হবে, অনেক প্রশ্ন ঢোঁক গিলে নিতে হবে। সবার উপরে কি যেন কি সত্য সেলুকাস।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। ৩৬৪ দিন তোষামোদি, ডিসি সাহেবের বাচ্চাকে স্কুল ছেড়ে দেওয়া, দাপুটে নেত্রীর চাপকানোর হুমকি শোনা, হেলমেট না পরেও নির্দিষ্ট কিছু পাড়া দিয়ে বাইক জুলুস এ কিছু না বলতে পারার হতাশা। ফোকটে গুলি খাওয়া, হজম করা। কারন রাজনীতির পরবর্তী চাল ঠিক হচ্ছে কফিনের পাশে।
পুনশ্চ, গোটা মুম্বাই এ হেলমেট ফেজ টুপির উপরে হলেও পড়তে হবে। তা সে যতই বড় দাড়ি হোক। যেমন মাল খেয়ে শিবাজী মহারাজ এর স্টিকার গাড়িতে থাকলেও ফাইন দিতে হবে। হবেই। পুলিশ নিজের কাজ করবে। কোন বাবা তাকে নির্দেশ দেবেনা কম্প্রোমাইজের।
এই অসহায়তা আমাদের। বেকার পুুলিশদের দোষ দিয়ে কি লাভ!
©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
Kolkata Police
No comments:
Post a Comment