| মিসপ্লেস্ট প্রায়োরিটি আর শহুরে দীর্ঘশ্বাস |
মর্মস্পর্শী একটা ঘটনা। এই সময় পত্রিকার ১০এর পাতায়। কি জানি কেন দলা পাকানো কি একটা হচ্ছে খবরটা পড়ে। অবাক হলাম খবরটা দশের পাতায় জায়গা হল বলে। প্রথম পাতার anchor এ কাজুও ইশিগুরোর নোবেলে ভূষিত হওয়ার খবর।
১০এর পাতার খবরটা সংক্ষেপে হল, দু বছরের অরুন্ধতী বিবাহবিচ্ছিন্ন মা বাবার সন্তান। মা বাবা দুজনেই ডাক্তার, সম্ভ্রান্ত। মায়ের কাছে থাকতো পুচকে মেয়েটা। একদিন ভাত খাওয়ার সময় শ্বাসনালীতে খাবার আটকে কোমাতে চলে যায়। তারপর দীর্ঘ লড়াই চলে। অনেক টাকা খরচা হয়। কে কত টাকা দেবে, কোথায় দেবে বাবা মায়ের তা নিয়ে লড়াই। লড়াই ভেন্টিলেটর এর নল খোলা নিয়ে। কারন বাবা মনে করেছিল, বেসরকারি হাসপাতাল টাকা শুষে নিচ্ছে। শেষমেশ অরুন্ধতী মারা গেছে। দু বছরের মেয়ে। এর পর ও লড়াই চলছে লাশের উপর। ময়নাতদন্ত হবে না হবেনা।
এই খবর প্রথম পাতায় পাঠক হয়ে পড়তে চাইবো না? এবাবের নোবেলজয়ী আমার দেশের নয়। অনেকে নাম ও জানতো না। কিন্তু ওই একরত্তি মেয়েটি, ওই টানাপোড়েন এর গল্প, ওই মা বাবার ভাঙা সংসারের গল্প আমাদের দেশের। চারপাশের।
ইশিগুরো তো কালের কথা লেখে। রোজনামচা আর তার না পাওয়া ইচ্ছাসুখ এর কথা লেখে।
আমরা আর একটু এই খবর গুলো লিখতে পারিনা? ওই দু বছরের মেয়েটার নিথর শরীরটা নিয়ে, কোন এক সময় ভালোবাসা ছিল ওর মা বাবার আজকেও শূন্যতা নিয়ে, শহুরে জীবনের অন্ধতা আর দীর্ঘশ্বাস গুলো নিয়ে।
লিখি এখানেই আসুন।
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment