| পেহলাজ থকে প্রসূন- ট্রেডিশন চলবে না তো? |
--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
পেহলাজ নিহালনি কে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনতাম। বম্বেতে সাংবাদিকতার সূত্রে। অমায়িক গাম্বাট মানুষ। আমার আপনার চারপাশে একাধিক মানুষ যেমন হয়। হাই প্রেসারের রুগী। মশলা রাখে পকেটে। একটা পুরনো সিডান চেপে সেন্সার বোর্ড অফিসে বসতো নিয়ম করে দুপুর ১২টা থেকে।
ভদ্রলোককে যখনই ফোন করতাম, প্রথমেই না না না না না করে চিৎকার জুরে দিত। অনেকটা এবিপি আনন্দে দেবনারায়ন সরকার যেভাবে বলতো। তার মিনিট ক্ষানেক পর গলে জল।
ভদ্রলোক গাম্বাট হওয়ার সমস্ত গুণাবলী রাখতেন। ব্লাউজ এর কাট থেকে হুমা কুরেশির বাট- ওনার সমস্ত মুখস্ত থাকতো। কত সেমি এদিক ওদিক হলে ভালগার হয়ে যায় সিন, উনি জানতেন।
নিহালনিকে কম নাস্তানাবুদ করেনি সাংবাদিকরা। সামনে পিছনে মাথায় হাঁটুতে ওর বাণী ছেপেছে, খিস্তয়েছে, বেকুব বানিয়েছে ক্যামেরার সামনে। উনি মুচকি হেসে ফের ছবি বিশ্বাস আর আলোকনাথ সাজতে চেষ্টা করেছেন। ল্যেবড়েছেন। উনি আসলে মেইনস্ট্রিইম হতে চেয়েছিলেন। উনি আসলে রাষ্ট্রজাত হতে চেয়েছিলেন।
প্রসূন জোশি ভদ্রলোকটিকেও আমি কম বেশি চিনি। প্রাক্তন বস অর্ণব গোস্বামীর খাশ দোস্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে অফিস আসতেন। নিজেও বিজ্ঞাপন দুনিয়ার বড় সাহেব। তার উপর কবি।
কিন্তু উনিই সেই মানুষ যিনি মোদীজির বন্দনায় একাধিক গান লিখেছেন। " ইস বার মোদী সরকার" "মেরা দেশ বদল রাহা হয়" একাধিক ক্যাম্পেইন ওনার মস্তিষ্কজাত। তার ওপর উনি মিচকে স্বভাবী গুজরাটি।
ইদানীংকালে আসলে গুজরাটিদের প্রতি ভয় ধরে গেছে। মাইরি বলছি আমি কিন্তু রেসিস্ট নই। আমার স্কুলের বন্ধু ছিল কুন্দন। তন্বী, লম্বা চুল, টিফিনে ঘি এ ভাজা রুটি আর করোলা ভাজা খেত। প্রসূন বাবুও হয়তো খান, খেয়ে ইসবার মোদী সরকার গুন গান।
প্রসূন বাবু রঙ দে বসন্তি, তারে জমিন পর সহ একাধিক কাল্ট ছবির গান লিখেছেন। এবার বোধহয় সবচেয়ে কঠিন এক অধ্যায়ে গান লিখবেন। লংকায় বসে রাম নাম।
অনুরাগ কাশ্যপ - যার একাধিক ছবি সেন্সর এর রক্তচক্ষু দেখেছে, তাকে ফোন করে খবর টা প্রথম জানিয়েছিলাম প্রতিক্রিয়ার জন্য। পেহলাজ বিদায় নিচ্ছে শুনেই সে বলে- " ময়ূখ তুনে মেরা দিল খুশ কর দিয়া"।
আমাদের চোখ থাকলো। দিল কতটা খুশ হয় আর কতটা কাঁচি।
©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment