| পার্টিজান |
--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
সিপিআই(এম) দলটা না সেলিম না ঋতব্রতর। সিপিআই(এম)টা ক্ষ্যাপাটে একবগ্গা পার্টিজানদের।
সিপিআই(এম) টা সেই একগুঁয়ে মধ্যবয়সী রিফিউজিটার যার হাত,পা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও ল্যাংড়াতে ল্যাংড়াতে কোনক্রমে ইভিএমে কাস্তে হাতুড়ি বোতাম টিপে আসে।
সিপিআই(এম) সেই অযথা সবকিছুতে পার্টিকে ডিফেন্ড করে যাওয়া লোকটার যাকে মেরে রাষ্ট্র চোখ ফাটিয়ে দেয়।
সিপিআই(এম) সেই দু দশক ধরে স্রেফ দেওয়াল লিখে যাওয়া ভোলা দার। যে আজ ও মনে করে দোরগোড়ায় সমাজতন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে। এক ধক্কা ঔর দিলে, বিপ্লব আসবে পাড়ায়।
সিপিআই(এম) সেই যুবকদের যাদের আজ ও জানকবুল সব খোয়া যাওয়া দলের জন্য। দল হাজার কিল চড় মারলেও তারা পরে থাকে।
ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের মালিক যেরকম বিজয় মাল্য ছিল না, দুর্গা ঠাকুরের বা সব হিন্দুদের ঠেকা নিতে যেরকম আরএসএস কে বলা হয়নি, সেরকম সিপিআই(এম) দলটা না সেলিম না ঋতব্রতর।
সিপিআই(এম) রাগে অভিমানে দূরে চলে যাওয়া গ্রাম কে গ্রামের। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে থাকা আঞ্চলিক নেতার, দলের প্রতিটা ভুল সিদ্ধান্তে রেগে যাওয়া, গালি দেওয়া সমর্থকের।
এরাই হেরে যাওয়া ডার্বি ম্যাচের পাতলা হতে থাকা গ্যালারিতে বা বুক চিতিয়ে মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে দলটা করে। বাকিরা কেবল ৯০ মিনিট খেলে বা সংসদীয় ভাষণ ঝাড়ে।
পিছিয়ে পরা, খেটে খাওয়া, প্রলেতারিয়েত দলের ও পিছিয়ে থাকা, দেওয়াল লেখা,মার খাওয়া একটা অংশ থাকে।
এরাই পার্টিজান। এরাই ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। লালঝান্ডার উত্তরাধিকার।
অজয় দার মত। বিগত ২০ বছর ধরে যে কোন আত্মপ্রচার, কোন স্বাদ আহ্লাদ, দাবী দেওয়া বিক্ষোভ ছাড়াই চুপচাপ নিজের ভাঙা সাইকেল চেপে রোজ সকালে পাঠকদের বাড়ি বাড়ি গণশক্তি বিলি করে নিজের মুদির দোকান খুলে বসে, টিভিতে নেতায় নেতায় তর্জা দেখে কষ্ট পায়।
©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment