কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, October 15, 2017

জগ্গা জাসুস, নেতাজী,বামফ্রন্ট,অস্ত্র আর মিঁত্রো

| জগ্গা জাসুস, নেতাজী,বামফ্রন্ট,অস্ত্র আর মিঁত্রো |

-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

জগ্গা জাসুস এই বিক্ষুব্ধ সময়ে দেখে নেওয়াটা জরুরি। হলে গিয়ে। যদিও ছবিটি কম টাকা রিকভারির সম্ভাবনা। প্রবল পরাক্রমশালী সলমান ও নিজের শান্তির বাণী নির্গত টিউবলাইট জ্বালাতে অক্ষম। আর যে আঁতেলগুলো ভারতীয় ছবির মান ও বিষয় নিয়ে ছিছিকার করেন, তারাও ছবিটা ডাউনলোড করে দেখবেন। হলে শাহরুখের কম্পাসিয় উদ্বাহু দেখাটা দরকারি।

অভাগী স্বর্গ পাইয়াছিল। স্বর্গত বসু ও বিশ্বাস বাবু এবং তামাম বিপ্লবীগণ যারা দীর্ঘকাল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কালো ছায়া দেখতেন বামফ্রন্টকে বিপন্ন করতে, তারা পাশ ফিরে শুলেন বোধহয়।

এ প্রজন্ম গুগল খোঁজা শুরু করে দিয়েছে পুরুলিয়া অস্ত্র বর্ষণ কি জানতে। কি করে একটা ভিনদেশী যুদ্ধবিমান বাংলায় অস্ত্র ফেলে চলে গেল এবং যে বিদেশি পালের গোঁদা ধরা পরলো, সে কিভাবে লাল বাতির গাড়ি করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ে টাটা করলো, টুটি ফূটি ও সেই প্রশ্ন তুলেছে। রাষ্ট্র সব জানে। মুচকি হাসে।

মুচকি তো নেতাজী ও হাসেন ছবির ফ্রেমে। গুমনামি বাবা ও নাকি মরেও মরেন নি, অজানা কোন দেশে গরীব মানুষদের আপলিফটমেন্টে বাকি জীবন কাটিয়েছিলেন। গেরিলা ওয়ারফেয়ার রাষ্ট্র মনে রাখলো কই? থাকার মধ্যে ডিক্লাসিফায়েড কিছু ফাইলের ধুলো আর বাঙালীর চোঁয়ারে ঢেকুর। তিনি আছেন।

জগ্গা ভাবে সব নষ্টামোর মূলে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। পাকিস্তান, চিন বা ইসলাম রাষ্ট্র নয়। মিঁত্রো এই ছবি কোন মুখে ভক্ত করিবে ভক্ষন যখন বিশ্বজোড়া যুদ্ধ লাগানোর আসল ফন্দি এ করিছে বর্ণন।

সত্যি তো ভারত জগতসভার অস্ত্রভাণ্ডার এ নয়নের মণি এখন। আজ ইজরায়েল, কাল মার্কিন পরশু রাশিয়ান গান স্যালুট পাচ্ছে মিঁত্রো। আর দেশে ফিরেই যুদ্ধ যুদ্ধ গন্ধ। ভিতর ও বাহিরে বারুদে বারুদে আছো তুমি ব্যাবসা জুরে। ভাতের বদলে যুদ্ধ নিন।

সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে ভাইস মিডিয়ার একটি তথ্যচিত্র দেখেছিলাম। সাংবাদিকের অস্ত্র মেলায় প্রবেশাধিকার ও চোখের সামনে যুদ্ধবাজদের বিবিধের মাঝে দেখা মিলন মহান। খুব জমেগা রঙ যব মিল ব্যয়ঠেঙে তিন ইয়ার- আপ,মে আউর কালাশনিকভ।

জগ্গা, গুপী বাঘা,ফেলুদা এই বন্ধুত্বর বিরুদ্ধেই কথা বলে। মিঁত্রো ও দেশবাসীও বলে তার পক্ষে। তাই পাকিস্তান শত্রুই থাকবে, কাশ্মীর নিয়ে সমাধান সুত্র বের করা চলবে না, চুলকে চায়নাকে ঘা করতে হবে, দেশের বিদ্রোহ পেলেট, গ্রেনেড, জল কামানে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

অস্ত্র, অস্ত্র, অস্ত্র-পৃথিবীতে বেঁচে থাকার একটাই মন্ত্র। মিঁত্রোওওওও দেশ মে হামারে জওয়ান মর রহে হ্যা।

ছবিটা দেখে ফেলুন। সব সময় সুযোগ আসে না হলে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদা, মুচকি হাসার। Anuragদা কে ধন্যবাদ।

©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment