| স্যার |
জীবন থেকে রোজ শিক্ষা নিই। আমার করা ভুল থেকেও। ঠেকে ও শিখি, বম্বে ও শেখায় রোজ। কিন্তু সে তো এখন।
শিক্ষক বলতে যে নামটা সবার প্রথম মাথায় আসে সে আমাকে কখনো ইঁদুর দৌড়তে বলেনি, নম্বর বেশী পাওয়ার টোটকা দেয়নি, ভালো ছাত্র না হওয়া স্বত্তেও সালামী আর পাঁউরুটি খাইয়ে গেছে দীর্ঘদিন আর বিনিপয়সার রাম। হ্যা, কাঁচের কাপে লালচে তরল, নাটকের রিহার্সাল শেষ হলে। বরাদ্দ ছিল ৪ পেয়ালা। তারপর না।
আমার শিক্ষক আমাকে বামন হয়ে চাঁদ ছোঁয়ার স্পর্ধা শিখিয়েছে, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জমে যাওয়া প্রতিভা ঝড়াতে সাহায্য করেছে, কথা বলতে, মেপে হাসতে, শব্দ নিয়ে খেলতে শিখিয়েছে। পিঠ চাপড়ে দিয়েছে দারুণ ধ্যারালেও।
ওটাই বোধহয় প্রয়োজন ছিল। একজন অসমবয়সী বন্ধু, মাথা খাওয়া খুড়ো, ব্লু হোয়েল থেকে আগলে রাখা কাঁধ।
নয়তো কবেই দশটা পাঁচটার নিরাপত্তায় সেঁধিয়ে যেতাম আর শেষ রাতে এপাশ ওপাশ করতাম না হতে পারা অনেক কিছুর গ্লানি বয়ে।
আমার খিদ্দা ছিল না, ফুংসুক ওয়াংরু বা নিকুম্ভ স্যার ছিল না। একটা Mrinal Chakraborty ছিল।
ওই টেঁকো বুড়োকে একটা নেভি কাটের বড় প্যাকেট আর এক লিটার রামের বোতল ছাড়া আর কি বা দিই? গুরুদক্ষিণা!
©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment