|আশ্বিনের আরবসাগরে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর |
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
আর এক ঘণ্টায় আলো ফুটবে। বারান্দা তে রেডিও রাখা হবে, ইজি চেয়ার এ চা, সকাল নামলো বলে কলকাতায়। রাজপথে ইতিউতি দুধওয়ালা, খবরের কাগজ গাড়ি ও কিছু উশখুশ জটলা।
বালিশের তলায় শুকিয়ে যাওয়া জল আর চেপে থাকা মনখারাপের মাত্রা কম হলে বম্বেতেও মহালয়া ফুটবে। অমাবস্যার সীমানা ডিঙিয়ে আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনকে প্রত্যক্ষ করা হবে, দেবীর মহান আশ্রয়, উত্তরণের লগ্ন তখন আমার ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ি।
এপাশ ওপাশ জেগে থাকা কাঁহাতক ভালো হয়? বেড়িয়ে পরতেই হয়। দূর থেকে একটা ট্রেনের শব্দ বান্দ্রার দিক থেকে, কয়েকটা কাশ ফুলের ছবি মনে মনে আঁকা, সামনে বিশাল সমুদ্র। অনেক নৌকো। সব নৌকো করে ঢাকি আসছে।
অনেকক্ষন ফাঁকা ট্রেনে সওয়ার শেষে এবার হাঁটা। ঠিক যেখানে বোল্ডার দাঁড়িয়ে অনেক। এখানে আকাশবাণী নেই। বাবার ডেকে দেওয়া নেই, মায়ের তারস্বরে দূরদর্শন চালিয়ে সবাইকে তুলে দেওয়া নেই।
থাকার মধ্যে ফোরজি ডেটা আর ব্লুটুথ স্পিকার। অন করে সমুদ্রজল দেখা, অতল। গভীরতম মনখারাপ এর শেষে। অপেক্ষা নতুন সকালের। ৩.৫০ এর অপেক্ষা, অশ্বিনের শারদপ্রাতে যখন জেগে উঠবে আলো।
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা। প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীমছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন।
বেঁচে থাকার, লড়াই করার, উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ি গুলোর চাপে দমবন্ধ না হয়ে মাঝরাত আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকার সঞ্জীবন।
©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment