কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, October 15, 2017

দুগ্গা ঠাকুর বধ করুক বদ সাম্প্রদায়িকাসুর

| দুগ্গা ঠাকুর বধ করুক বদ সাম্প্রদায়িকাসুর |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

জাবেদ হাবিবের দুর্গা পুজার বিজ্ঞাপন নিয়ে লেখার প্রয়োজন মনে করিনি। ভিন রাজ্যে ওনার নামে অভিযোগ দায়ের হওয়া ও কেটে দেবো, মেরে দেবো বলার পর এখন করছি। দোকান ভাংচুর হওয়ার লিখছি। ভাবছি ক্ষমা ও চাইবো। জাবেদ, হাবিব, ওয়াশীর, ইশাক, মুস্তাফার মত নাম আছে যাদের, তাদের কাছে। বাংলার হয়ে। বাঙালির হয়ে।

বাংলাভাষায় কুরান শরীফের অনুবাদ করেছিলেন গিরীশচন্দ্র সেন। একজন হিন্দু।

যেভাবে বাঙালি হিন্দু বিয়েতে বিসমিল্লার সানাই জরিয়ে থাকে। নহবতে আসে খান সাহেবেরা। আদর করে পান সাজে বিলাল চাচা। সিঁথিতে তখন সিঁদুর লেগেছে হিন্দু মতে।

অবাঙালি নবরাত্রি শুরু হলে নিরামিষ খায়। মদ ছোঁয় না, পুজো যে কার্নিভাল হতে পারে মানে না।

বাঙালিরা দুর্গা পুজোয় বাজার থেকে সেরা ইলিশ আর পাবদাটা কিনে আনে। পাঁঠার লাইন দেয় লুচি আর সাদা আলু জিরের তরকারি খেয়ে। অঞ্জলি শেষে সশ্রদ্ধ বিয়ার খাওয়া হয় মন্ডপে বসে, কুচো মাছ ভাজা, সেদ্ধ ছোলা, লেবু লবন সহ।

দুর্গা উমা গৌরী কবেই বা ঐশ্বরিক ছিল? আনন্দমেলা পুজা বার্ষিকীর প্রচ্ছদ, থিম পুজো, তামাম নাম করা শিল্পীর প্রতিমায় তো সে ঘরের মেয়ে। হলুদমাখা আঁচলের মা, আধুনিকা নারী।

পুজোর কোলকাতা ওয়াজিদ আলি শাহের। লাল কাপড় মোড়া বিরিয়ানির। বিরিয়ানির নরম আলুর। কাঠি রোলের। এখানে চাড্ডি, চাড্ডির অতি দেশভক্তি আর নিরামিষাশী হিন্দি হিন্দু, হিন্দুস্থানের জায়গা হলো কবে?

বাঙালির সব গেছে। বাঙালিয়ানাটা যেতে দেবেন না। ওটা গেলে নবরাত্রির গরবা থাকবে, বুন্দি কা লাড্ডু, করওয়াচৌথ থাকবে কিন্তু বিজয়ার মিষ্টিমুখ আর দশমীর সিঁদুরখেলার ঐতিহ্য থাকবে না।

দুগ্গা ও তার ছেলেপুলে বাঙালির। জগরাতা যারা বাংলার সংস্কৃতিতে ঢোকাতে চাইছেন তাদের আসুন কীর্তন শোনাই, লালনগীতি গাই। অনাদি খুঁড়ো আর গফুর চাচার গল্প শোনাই। নকশী কাঁথার মাঠে নিয়ে যাই।

প্রতিবার পুজো কমিটিগুলোতে মিটিং চলে এবছর জ্বালাময় প্রাসঙ্গিক কোন অসুর টাইপকাস্ট করা যায়। এই শারদোৎসবে সাম্প্রদায়িক অসুরগুলোকে  বধ করা যায় না?

এই ঘৃণার বিসর্জন হয় না? এই ঘৃণাতে যারা মদত দিচ্ছে তাদের বধ করা যায় না?

সব ঘৃণা বিনাশ হলে, আলো ফুটুক কাঞ্চনজঙ্ঘার ফাঁকে, মিঠে রোদ বাংলার গ্রামে গ্রামে আসুক। আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠুক আলোকমঞ্জীর। ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত হোক মেঘমালা।

মেঘের মধ্যে থেকে অনেকদূর অবধি শোনা যাক:

ইয়া দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা/
নমস্তস্যই নমস্তস্যই নমস্তস্যই নমো নমঃ।

©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment