কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Friday, July 6, 2018

নাগপুরে ভারত এক খোঁজ

| নাগপুরে ভারত এক খোঁজ |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আবার বাঙালি চিরাচরিত দীর্ঘশ্বাসটি ফেলিলো। জ্যোতি বাবু হয়নি, সোমনাথ বাবু পারেনি, প্রণব বাবুরে হতে দেওয়া হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখা রাহুল গান্ধী পাঁচ বছরে যে পাবলিসিটি পেয়েছেন, ভদ্রলোক এক হপ্তাতে তার তিনগুন মিডিয়া  পাবলিসিটি নিয়ে ফিরে গেলো। আজ গোটা দেশ প্রাইম টাইম মানে প্রনব বুঝলো।

আরএসএস মুখ্যদপ্তরে যাবেন শুনেই কালঘাম ছুটে গেছিলো গোটা কংগ্রেস কূলের। নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো। নিজের মেয়েকে দিয়ে ও নিন্দা করাতে হয়েছিল ওনার সিদ্ধান্ত নিয়ে। অথচ বক্তৃতা শেষেই ভোলবদল। তোফা তোফা!

৩৫মিনিটের বক্তৃতায় ভারতের ইতিহাস এলো, রাজধর্ম এলো, বহুত্ববাদ এলো, গান্ধী এলো, নেহেরু এলো কিন্তু একবার ও আরএসএস শব্দটি এলো না। প্রশংসা তো নয়ই। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে ওনাকে আনা হলো নিজের ঘরে।

নাগপুরে প্রায় ৭৫০ জন সঙ্ঘপ্রচারকের সামনে উনি খোলাখুলি বললেন, এ দেশ হিন্দি,হিন্দু, হিন্দুস্থানের নয়। এ দেশে ১২২ টি ভাষায় কথা বলা হয়, ১৬০০ টি উপভাষা, ৭টি প্রধান ধর্ম, ৩টি জাতিগোষ্ঠী আছে। এখানে বহুত্ববাদী হতে হবেই। এটাই রাজধর্ম।

৮২ বছর বয়সে প্রনব বাবু আবার প্রমান করিলেন যে বাঙালি একটি আপাদমস্তক বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাইলে ও পাইতে পারতো।

সোমনাথ চাটুজ্জের হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি, হলেন স্পিকার। প্রনব মুখুজ্জের হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী, হলেন রাষ্ট্রপতি। মিসটেক মিসটেক।

এখনো কি সম্ভব নয় ? লড়াইটা যদি বহুত্ববাদী বনাম মৌলবাদের হয় তবে কি সবচেয়ে তীক্ষ্ণ তীরকে কাজে লাগানো উচিৎ নয়? যে হাঁসফাঁস করছে সংসদীয় জীবনে আরো একটা মাস্টারস্ট্রোক দিতে?

সোনিয়া গান্ধীর বিবেক এখন কি বলছে জানতে ইচ্ছে করে। প্রোপরাইটারশীপ কোম্পানি করে রাখা কংগ্রেসকে না যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দিয়ে সব দলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা সংকীর্ণ রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে?

দোর্দন্ডপ্রতাপ হিন্দু হৃদয়সম্রাট ২২টি রাজ্য জয় করে ফেলেছেন। আকাশ বাতাশ তেল জল সৈন্য সামন্ত সব নিজের পেয়াদারা নিয়ন্ত্রন করছে। এহেন সময় বিরোধীসকল প্রধানমন্ত্রী সাজার কিম্ভুত সার্কাস দেখাচ্ছিল। ঘরের বউ বা গাড়ির ড্রাইভার ও এদের দেশের নেতা হিসেবে মানবে না। প্রবল দাবদাহে এক পশলা বৃষ্টি ছিল আজ। শেষবার এরকমটা মনে হয়েছিল শশী থরুরের অক্সফোর্ড ইউনিয়নে ভারত সম্বন্ধে বক্তৃতা শুনে। এদেরই তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা পৃথিবীর বৃহত্তম গনতন্ত্রের।

জন্মান্তর বলে কি কিছু আছে? হরকিষাণ সিং সুরজিৎকে কি প্ল্যানচেট করা যায়?

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment