কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Friday, July 6, 2018

অবোধ সঞ্জুর গোবধের অসামান্য আত্মকথা, দু ড্রপ চোনা সহ

| অবোধ সঞ্জুর গোবধের অসামান্য আত্মকথা, দু ড্রপ চোনা সহ |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

না সঞ্জু বাবা সন্ত্রাসবাদী নন। গো বধ ও করেন নি। তবে মুম্বাই পুলিশের তদানিন্তন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধদমন) এম.এন. সিংহ একটা কথা বারবার বলেন। ৯৩' সিরিয়াল ব্লাস্টের খবর যারা করেছিলেন, তারা ও আপশোশ করেন।

১৬ জানুয়ারি ১৯৯৩ সঞ্জয় দত্ত যদি একবার ও ওর প্রভাবশালী সাংসদ-বাবা বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বলতেন যে বাড়িতে পিস্তল বা রাইফেল না অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় একে ৫৭ আর বিপুল কার্তুজ রাখা আছে যা সেসময় ভাবা ও যেত না কেউ ভারতে ব্যবহার করছে, তাহলে মুম্বাই সন্ত্রাসহানার ইতিহাসটাই অন্য হতে পারতো। হয়তো অনেকগুলো প্রাণ বাঁচতো। পাকিস্তান ও আর পরবর্তী ছকগুলো মুম্বাইকে কেন্দ্র করে কষতে দুবার ভাবতো।

সঞ্জয় দত্ত ৯৩' মুম্বাই বিস্ফোরণে ব্যবহার হওয়া ৭১টি কালাশনিকভ, ৯০০টি কার্তুজ, ৫০০টি গ্রেনেড আর ৪টন আরডিএক্স থেকে ৩টি একে রাইফেল ও ২৫০টি কার্তুজ নিজের কাছে রেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের বয়ান অনুসারে 'নিরাপদ আস্তানায়'। সঞ্জু এই সব অস্ত্র নিজে হাতে নিয়েছিলেন আবু সালেমের থেকে। যে ভ্যানে করে সুনীল দত্তের বাড়িতে সেদিন অস্ত্র এসেছিল, সেই ভ্যানটিও মুম্বাই বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়।

আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন মুম্বাই পুলিশ স্টেন গান আর রাইফেলে আটকে। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন আরডিএক্স কি ভারতে কেউ সেরকম জানে না। কিন্তু এটা জানে ওই বিপুল অস্ত্র যদি সবটা ব্যবহার হতো মুম্বাই এ, সমুদ্রপারে ধুলো বাদে আর কিছু অবশিষ্ট থাকতো না বানিজ্যনগরীর৷ আমরা ও কি জানি না? ১০টা কালাশনিকভ হাতে ২৬/১১ এর রাতে কি কি করা গেছিল?

কিন্তু সঞ্জু যে অবোধ বালক ছিলেন। সরল মন আর শিশুর মস্তিষ্ক। দুষ্টু বন্ধুর পাল্লায় পরে ড্রাগ নিয়েছেন, প্রেমে দাগা খেয়েছেন বলে আরো দুশো মেয়েকে শুইয়েছেন, বোর্ডিং স্কুলে যেতে হয়েছিল বলে বেহিসেবি-বাঁদর তৈরি হয়েছেন, মা বাবার চোখের মনি বলে উচ্ছন্নে যাওয়া লম্পট হয়েছেন। এর একটাও সঞ্জয় দত্ত নিজের দোষে হন নি। হয় বন্ধুদোষে বা ভাগ্যদোষে বা সঙ্গদোষে।

'সঞ্জু' ছবিটা নায়কের আত্মকথা নয়। ভারতের দুজন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের হাতে তৈরি এক খলনায়কের ইমেজ মেকওভারের কথা। দরকার হচ্ছে কেন? সঞ্জয় কি রাজনীতিতে আসছেন? নিসন্দেহে এক অসাধারণ সিনেমা, রনবীরের দারুণ অভিনয়, মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু দৃশ্য, থ্রি ইডিয়েটের মতো চটুল এক কমিক সিন কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন বারবার এটাই বলার চেষ্টা- সঞ্জয় দত্ত নিজের দোষে কিছু হন নি। খারাপ হয়েছেন হয় বন্ধুদোষে বা ভাগ্যদোষে বা সঙ্গদোষে। আর মিডিয়া এসব জেনে ও তাকে নিয়ে উদ্বাহু নৃত্য করেনি।

"ঘনিষ্ঠ মহল", "ওয়াকিবহাল সূত্র", "প্রশ্ন উঠছে", "সূত্র মোতাবেক" দের নিয়ে অনেকের অনেক কৌতূহল। এরা কারা? এদের পেশা কি? কি করে এরা এতো খবর পায়? খবর জানে? খবর বলে? সিনেমায় রাজু হিরানির চিত্রনাট্য বলে বেশ করে কটাক্ষ করা হয়েছে এ নিয়ে। হওয়ারই কথা। যেভাবে নিজের এজেন্ডা এই শব্দগুলোর মোড়কে অনেকে ছাপিয়ে দেন তাতে আজ না হয় কাল এ নিয়ে কথা উঠতোই৷ কিন্তু সঞ্জু বাবা কেন যেন একটু বেশি  Cry Baby এখানে।

সঞ্জয় দত্ত টাডাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে নিম্ন আদালত তাকে খালাশ করে দেয়। ভালো কথা। কিন্তু সিবিআই কোন কারনে আর উচ্চ আদালতে আপিল করে না, মিডিয়া ও সেসময় এই নিয়ে লাফালাফি করে না। সঞ্জয় দত্ত বাদে অন্য কোন সন্ত্রাস হানায় পরোক্ষ অভিযুক্তকে দেখেছেন এতটা দয়াশীলতা পেতে?

সুনীল দত্ত ছেলের স্নেহে অন্ধ ছিলেন। ওর মুক্তির জন্য ক্ষমতার সমস্ত দরজা খটখটিয়েছিলেন। তা সে নরসিংহ রাও হোক, বাজপেয়ী হোক বা বালাসাহেব ঠাকরে। গোটা বলিউড পাশে দাঁড়িয়ে ছিল৷ প্ল্যাকার্ড হাতে সলমান খানকে দেখা গেছিল। উই আর উইথ সঞ্জু। এতগুলো প্যারোল কি ভাবে পায় লোকে? কিভাবে সাজা মুকুব হয়? সাধারণ আসামির মতোই প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ তবু সঞ্জু বাবার রাগ।

ছবিতে সঞ্জু বাবা কিভাবে মাধুরীর গলায় সাপ ঝুলিয়ে তাকে প্রপোজ করেছিলেন আর ভয়ে কাঠ মাধুরী ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন, তা নেই। সেরকমই সঞ্জু বাবা বলিউডের পরের প্রজন্মকে কিভাবে কোকেন বা স্টেরোয়েডের সাথে আলাপ করিয়েছিলেন তা ও নেই। যেরকম আরো অনেক রসালো, মুচমুচে অধ্যায় নেই। রিচা নেই, আগের পক্ষের মেয়ে নেই, সঞ্জয় গুপ্তে নেই, সলমান নেই, রউফ লালা নেই। রাখা হয়নি অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হবে মাথায় রেখে। হু হু বাওয়া! ভারতে বসে কি আত্মকথা ফিল্মবন্দি করা এতো সহজ? একি হলিউড নাকি হে যে জীবনটা, তার কেচ্ছাগুলো, হতাশাটুকু পুরো স্ক্যান করে চিত্রনাট্যে লেপ্টে দেওয়া হবে?

সঞ্জু অবোধ বালক ছিলেন। সরল মন আর শিশুর মস্তিষ্ক। নিজের দোষে খলনায়ক হন নি। হয় বন্ধুদোষে বা ভাগ্যদোষে বা সঙ্গদোষে। এই নিয়ে যদি কথা হয় হোক না। কুছ তো লোগ কহেংগে ! ব্লাস্ট মে কুছ আদমি তো মরেংগে,দাঙ্গায় কুছ বাস তো জলেংগে! ছোড়ো বেকার ইন বাতো কো ! 

©------- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

তথ্যসূত্রঃ হুসেইন জায়েদী, বাচি করকরিয়া, শেখর গুপ্তা,এমএন সিংহ।

সেই যদি কং মাড়ালি তবে কেন লোক হাসালি

| সেই যদি কং মাড়ালি তবে কেন লোক হাসালি?|

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

কংগ্রেসে কংগ্রেসই এলো শেষে। হ্যাঁ। বিপ্লবী সুধীজন। ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি নিজের রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ করিয়াছিল পার্টি কংগ্রেসে। গদাই লস্করি চালেই যুক্তি পাল্টা যুক্তি  আসিয়াছিল ও শেষকালে পরিবর্তন আসিলো আসিলো আসিলো। কংগ্রেসি হাতই ধরিবে কাস্তে, আস্তে আস্তে।

ভোটাভুটি এড়াইয়া আজ সিদ্ধান্ত হইলো, কংগ্রেসের সঙ্গে ‘জোট’ কিংবা ‘সমঝোতা’ নয়, এই শব্দ দুটি রাজনৈতিক কৌশলগত দলিল হইতে বাদ দেওয়া হইবে। অর্থাৎ কংগ্রেস আর অচ্ছুৎ নহে। জোট হইতেই পারে। যেভাবে বুদ্ধবাবু ও রাহুলজীর পাশে তিরংগা উত্তরীয় পরে বসিতে পারে। রাজীব গান্ধী হাসিতে পারে জ্যোতি বসুর ছবির পাশে। ইনকালাবে জুড়িতে পারে মাতরম।

অভ্যাগতদের সম্মুখে প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট এবং সীতারাম ইয়েচুরি দুজনেই ঘোষণা করেন, বিজেপির বিপদ রুখিতে কংগ্রেসের সহিত সংসদের ভিতরে এবং বাহিরে সমঝোতা রক্ষা করিয়াই চলা হইবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও তাই জানানো হইলো। বড্ড দেরীতে জানানো হইলো। সৈফুদ্দিন চৌধুরী মৃত, জ্যোতি বাবু মৃত, হরকিষণ নেই, সোমনাথ ব্রাত্য, গৌতম অসুস্থ। অনেক দেরী করে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হল। ২০০৬ থেকে ২০১৮। এক দশক পর।

কাট টু ২০০৬, দিল্লির এক হাই লেভেল মিটিং রুম। সোনিয়া জী, প্রণব বাবু, কারাত সাহেব, ইয়েচুরি বাবু এবং আরো কয়েকজন উপস্থিত। গোটা দেশে রটে গেছে।৬২টা সাংসদ নিয়ে বামেরা ইউপিএ সরকার ফেলে দিতে বদ্ধপরিকর তাও এমন এক নিউক্লিয়ার ডিলকে কেন্দ্র করে যা খায় না মাথায় দেয় আজ ও জানা গেল না। প্রণব বাবু প্রায় বাবা বাছা করে কারাত সাহেবকে বোঝালো এই সিদ্ধান্ত না নিতে। এতে বিজেপির হাত শক্ত হবে, সাংগঠনিক বিস্তার পাবে আরএসএস, এনডিএ আবার পুনরুজ্জীবিত হবে। করবেন না প্লিজ করবেন না। কারাত সাহেব দাঁতে দাঁত চেপে বলেছিল, I want to see your Government Fall। ২০০৮ এর লুটিয়্যান্স দিল্লি সাক্ষী আছে সেই মহাকাব্যিক ক্লাইম্যাক্সের। বাকিটা ইতিহাস।

এরপর যমুনা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। যে বামফ্রন্ট একটা ছোট টেবিলের পয়েন্ট A থেকে পয়েন্ট B চায়ের কাপ সরাতে পাঁচটা সিসি, তিনটে পিসি, সাতটা খসড়া সংশোধন করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেই গতিতেই ভোট রাজনীতি ও আদর্শগত লাইনের মাঝামাঝি লটকে থেকেছে ও আরো কনফিউজ করেছে, হয়েছে। পুরন্দর ভাট হলে বলতো, এক পা স্বর্গে এক পা নরকে ঝোলা। একটি কামান, দুটি কামানের গোলা।

এরপর কনফিউজড টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি, স্থবির, হাম্বড়া,গোহারা হেরো, সব বোঝেন আর মিনিটে মিনিটে স্বীকার করেন নিজেদের ভুল কিছু জন(বিচ্ছিন্ন) নেতা বুঝলেন পৃথিবীটা অনেক এগিয়ে গেছে। এখন আর বাজারি মিডিয়াকে খিস্তি করা যাবে না। তার বাইরে ও সোশ্যাল মিডিয়া বলে একটি বস্তু আছে যা বেশ শক্তিশালী এবং না এটা রাশিয়া বা চিনের নয়। বুর্জুয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সেই ফেসবুকই কয়েক বছর পর বিপ্লবী বুকুনির সবচেয়ে লোভনীয় জায়গা হবে। কমরেড বুঝবেন এই দেওয়ালে লিখলেও ডবল ডিভিডেন্ড মেলে আর সংশোধনবাদী ও হতে হয় না।

প্রতিবার বিশাল এক বেড়াল ফোলান, ভাবেন বাঘ হয়েছেন, লালন পালন করেন তাকে, বিপ্লবী ভাষণ ছাড়েন সর্বহারার প্রতিনিধি হয়ে ওঠার আর শেষমেষ ঘ্রোঁয়াও ক্রমাগত মিয়াওঁ এ বদলে যায়। মুঠো হাত বদলে যায় হাতজোরে। তারপর ঢোঁক গিলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। চলেছে চলেছে সেই ট্রেডিশন সমানে চলিছে। এরমাঝে কেউ যদি বলে, স্যার আসল শত্তুর বিজেপি, কংগ্রেসের হাতে হাত ধরে লড়ি চলুন, সাথে সাথে মোটা বই এর অমুক নম্বর পাতার রেফারেন্স ঝেড়ে দেওয়া হবে। চোপ! ট্রটস্কি এই বিষয়ে কি বলেছিল জানো?

ইদানীং সিপিআইএম এর বড্ড জ্বালা ছিল। ওই এক পা ভোট রাজনীতির হাগু আর আরেক পা জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের পায়েসে ফেলে ঝুলছিল। এবার অভাগী স্বর্গ পেলো। বুঝলো ভারতে ভোট বড় বালাই। ওসব তত্ত্বকথা ভেনেজুয়েলা নিয়ে সেমিনারে ভালো লাগে কিন্তু এ দেশের মাঠে ময়দানে থাকতে গেলে ভোটবাক্সে ও থাকতে হয় নয়তো নেঁপোয় দই মেরে কেটে পরে।

মুম্বাই এ যে বিশাল কৃষক মিছিল হলো, তার লাভের গুড় কি আপনার মনে হয় বামফ্রন্ট খাবে? কচুপোড়া।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট আর বিধানভবনে আলোকোজ্জ্বল রাত। মন দিয়ে এবার ভোট রাজনীতিটা করতে হবে বুঝেছে বিপ্লবী। ওটাই পথ। গ্রামে গ্রামে দাঙ্গা করছে, কোটি টাকা মারছে নেতা মন্ত্রী, বললেই মেরে স্যাটা ভেঙে দিচ্ছে, জেলে পুরছে, কেস দিচ্ছে আর আপনি বিরোধী কে আক্রমণের আগে গাঁড় বাঁচাও আন্দোলন করছেন যাতে ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করে, যাতে লাইন ঠিক থাকে। সরকার, প্রশাসন, সাংসদ, বিধায়ক পদ চলে গেলে বিপ্লবের পথ বুকুনি দিয়ে হয় না বুঝেছে সে। তখন ইদার তুমি কিষাণজী হও অথবা হরকিষাণ। মধ্যিখানে থেকেছো কি সবজান্তা মাতব্বর এলসিএস হয়ে থেকে গেছো। তখন ঘরের বউ বা কাজের লোক, কেউ পোছে না। ওই যে পুরন্দর ভাটের কথায়, এক পা স্বর্গে এক পা নরকে ঝোলা। একটি কামান, দুটি কামানের গোলা।

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ড্রাইভার মুসলিম, ওলা রাইড ক্যানসেল করে দিই

| ড্রাইভার মুসলিম, ওলা রাইড ক্যানসেল করে দিই, জেহাদিকে টাকা দিতে চাইনি: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চিন্তাবিদ |

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

এখনো ভাবছেন বড়ে গুলাম আলি খান আর ভীমসেন যোশীর ভারতে দাঙ্গা কেন হয়? এখনো ভাবছেন ভারতবর্ষ ক্রমশ পাকিস্তানের মত কেন দেখতে হয়ে যাচ্ছে? 

এখনো ভাবছেন যেখানে বিসমিল্লার সানাই বাজে হিন্দু বিয়েতে,  যেখানে ঈদের নামাজের আগে মাইক বাঁধে হিন্দু ছেলে, যেখানে দেবীর মূর্তি বানায় গফুর চাচা, যেখানে মহরমের মিছিল পাহারা দেয় পৈতেধারী- সেখানে ঘৃণার পাহাড় কেন?

অভিষেক মিশ্র নিজেকে VHP Thinker, Social media manager বলেন। Verified Twitter account আছে।

১২ হাজার লোকের মধ্যে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সিতারমন, রেল মন্ত্রী পিয়ুশ গোয়েল , ক্রীড়া মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর, সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধরমেন্দ্র প্রধান ও একে ফলো করেন। ফেসবুকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কভার পিকচার।

ইনি গর্বিত ওলা রাইড ক্যানসেল করায়। ড্রাইভার মুসলিম ছিল নিজেই লিখেছেন। সাথে ScreenShot।

ধর্ষনের রাজনীতি করা ঠিক নয়, দাঙ্গার রাজনীতি করা ঠিক নয়, কিন্তু রাজনীতিটা অর্থাৎ Politics টা কোথা থেকে Polluted Tricks এ বদলে যাচ্ছে সেটা নিয়ে কথা বলতে হবেই। জানাতে হবেই এ ধরনের খবরগুলো নয়তো স্বপ্নের ভারতবর্ষ জুরে কেবল একটি ধর্ম, একটি ভাষা, একটি সংস্কৃতি, একটি রাজা থেকে যাবে। বধ্যভূমির মত।

প্রচার করুন। ঘেন্না করুন। সতর্ক হোন।

©------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

পয়লা মে: হাগোড়ে হাবাতের যুদ্ধ জয়ের দিন

| পয়লা মে: হাগোড়ে হাবাতের যুদ্ধ জয়ের দিন |

----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আপনি সদ্য ব্যাক্ল কফির মাগ হাতে দেওয়াল জোড়া কাঁচের সামনে দাঁড়িয়েছেন এসে। সতেরো তলার এই পরিষেবা-কারখানা থেকে শহরটা বোঁদের মত লাগে। আপনি হাম্বরা কর্পোরেট। ১৪ ঘন্টার ওয়ার্ক কালচারাল। উদয়াস্ত বসের থাপথাপানিতে আরো মোটিভেটেড। আরো ট্যাবলেট ঠুঁসে দিলখোলা গল্ফ খেলেন।

আজ গোটা শহরজুরে সাইরেনের শব্দ। বিকট সে জয়ধ্বনি। পাথরের দেওয়াল, লোহার গ্রিল, প্রকাণ্ডকায় নিরাপত্তাবলয়, কাঠের দরজা, সৌখিন আসবাব, অফিসের শীতাতপনিয়ন্ত্রক ভেদ করে নরম বিছানাপত্তরের অহেতুক পোঁদে লাগে সেই সাইরেন। আমাদের পলিটিকাল কারেক্টনেস ভেদ করে।

এরকম অপয়া দিনেই সেনাবাহিনী রুট মার্চ করাতে হয়। জল কামান মজুদ করতে হয় রাস্তায় রাস্তায়, ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয় চৌমাথায়। আশে পাশের এলাকা থেকে পুলিশ মোতায়েন হয়। বেয়োনেটে শান দেওয়া হয়। ফরাসি সুগন্ধি আর জার্মান গাড়িওয়ালারা আগাম সুরক্ষা নিয়ে রাখেন। কাঁচের ঘরে ক্রমাগত পায়চারী করে ধবধবে পাঞ্জাবি। পাছে তাদের সৌখিন ঘরের কোনে পেচ্ছাপ করে দিয়ে যায় প্রোলেতারিয়েৎ নুনু গলা অবধি খেয়ে। আজ প্রগাঢ় কম্পন হবে বাবুদের। এরা নাকি অন্তবিহীন কাল মৃতবৎ ঘোরে।

ওদিকে যুদ্ধ জয়ের যুগযুগান্তরের আয়োজন তুঙ্গ। আজ গরুর মাংস রাঁধা হবে শুয়োরের তেল দিয়ে। সোহাগি নাস্তিক চচ্চড়ি বলে তাকে। পেঁয়াজ রসুন আদা বাটা আদর করে রাখে। মুসলমান আর হিন্দু মিলেমিশে একশা হয় এই দিনে। খালি পেটে ধম্ম হয় না। গরম ভাতের গন্ধ। দুনিয়ার হাবাতে এক হও।

হিন্দু চটকল শ্রমিক মুসলিম ইটভাটার মজুরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার কথা বলে। দিন বদলে দেওয়ার কথা বলে। ভুঁড়ি ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলে। দরকার হলে প্ল্যানচেট করে নবারুণকে আনতে হয়। পরিহাসের রসিকতায় উৎসারিত হয়ে
সৈন্য, নটী, দালাল, ভাঁড়, ব্রাত্য, সার্থবাহের ঘরে
স্বচ্ছলতা আশা আপোষ কাড়াকাড়ি বিলাস ব্যর্থতায় যাকে দেখা যায়। ওই মক্কেলই লাইন বাতলে দেয়।

"হোপলেস কেস, আধমরা, লাথখোর ছেলে, খুচরো চিটিংবাজ, উটকো দোকানদার, খিদিরপুর, একবালপুর, কাঁটাপুকুর, সোনাগাছি, গরানহাটা, ভাল্লুকপাড়ার মাগ, হিজড়ে, আলবাল পদ্যগদ্য লেখক"- সব্বার নেমন্তন্ন থাকে মাঠে। কেবল আপনি বাদ। আপনার জেলুসিল লাগে মিনারেল ওয়াটার না খেলে, মাইনের অর্ধেক খরচা হয় নিজেকে চকচকে টাই আর কোম্পানির দেওয়া শার্ট শোভিত রাখতে।

বিশাল মাঠ জুরে কলা পাতা, বসার জন্য খবরের কাগজ বেছানো হয়েছে। রাম,পচা ফ্যাপড়া বড়া, ডিম সেদ্ধ, ছোলাসেদ্ধ , বিট নুন, গরুর ঝাল, শুয়োর ভাজা, শুঁটকি শুক্তো। সাথে গলা খুলে গান। চা বাগান শ্রমিকের গান, ড্রাইভারের গান, মুটে মজদুরির গান, হাত দিয়ে সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করে যে মা, তার গলায় ছোটবেলায় শোনা হরিজন বস্তির গান।

আজ ঘামের গন্ধ উদযাপনের দিন। আজ যারা ধর্ম নিয়ে বেসাতি করে তাদের ধরে এনে হাত পা বেঁধে কবিতা শোনানোর দিন। "আয় মোরা সব গরিব যত/ বাঁধব জবর জোট/ একসুরে আয় বলব তেড়ে/ ভোটমারানি ফোট।"

আজ ন্যায্য মূল্য চেয়ে হরতাল করার দিন। আজ ডবল মুনাফা করছে যারা তাদের চোখ রাঙানোর দিন। আজ লাল পতাকা শক্ত করে ধরে থাকার দিন। গোটা দিন। আজ পয়লা মে।

এই সবকিছু করতে চাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, ওদের সাথে গলা ছেড়ে গাওয়ার সাধ থাকলেও, এক পাতে খাওয়ার আহ্লাদ থাকলেও আপনি অনেকটা দূরে চাঁদবদন সুটকেস হাতে কোন কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন আজ্ঞাবহ দাস হয়ে যতক্ষণ না আপনার বসের ডবকা সেক্রেটারিকে হামি খাওয়া শেষ হচ্ছে। এক পা ও এগোতে পারবেন না। এক পা পিছোতে পারবেন না। পে চেকের চাপে চিউইংগামের মত চ্যাপ্টা হয়ে থেকে যাবেন মালিকের হ্যান্ডমেড বুটের তলায়। নবারুণ আর লেনিন খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসবে শ্যাওড়া গাছে বসে।

আপনার লেবার আছে কিন্তু ইউনিয়ন নেই, আপনার ক্ষোভ আছে কিন্তু দ্রোহের মুরোদ নেই।  আপনার কলারের রঙ সাদা। আর গাঁড়ে চাকরি যাওয়ার ভয়। মে দিবস আপনার জন্য নয়।

©------ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

নিলামে বাজারি হল লাল কেল্লা: এবার দেশের পালা

| নিলামে বাজারি হল লাল কেল্লা: এবার দেশের পালা |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আজ্ঞে! জবর খবর। ভারতের ইতিহাসে এটাই প্রথমবার। ইউনিয়ান জ্যাক সরিয়ে দেশের পতাকা যেখানে উত্তোলন হয়, নেহেরু যেখানে স্বাধীন ভারতের প্রথম ভাষণ দেন, পাকিস্তান যেটা দখল করে নেবার হুমকি দেন যুদ্ধ হলেই, সেই লাল কেল্লা পাঁচ বছরের জন্য নিয়ে নিল ডালমিয়া গ্রুপ। প্রথম বিশ্বে যেমন হয়। বদলে সরকার বাহাদুরকে ওরা ছুড়ে দেবে ২৫ কোটি টাকা। এই টাকায় পর্যাপ্ত গরুর আধার কার্ড, মন্দির নির্মাণ, গোলওয়াল্কার সাহেবের মূর্তি স্থাপন হবে অথচা স্রেফ ব্যাংকে রেখে দেওয়া হবে টাকাটা, যাতে কোন এক সময় নীরভ মোদি গোটা টাকাটা নিয়ে কেটে পরতে পারে। হয়তো।

ঠাকুর বলেছেন, মনই গুরু। মনের কথা শোনো। মন যা চায় তাই করো। সাহেব বলেছেন মন কি বাত করো। মন চাইলে দেশ কিনে নাও। দেশ বেচে দাও। প্রশ্ন করলে Anti National তকমা দেগে দাও।

এরপর লাল কেল্লাতে বিয়ের মন্ডপ হবে। ডিজে মিউজিক বাজাবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেয়। গাঁকিয়ে লোক আসবে চিড়িয়াখানার মত পিকনিক করতে, দেওয়ালে Bittu Love Tittu লিখে রাখতে।  বাগানে গলা অবধি খেয়ে বমি করে পরে থাকবে বরযাত্রী। হানি সিং সংগীত সন্ধ্যা হবে। আমরা গদগদ হবো নয়া উদারবাদের প্রসাদে।

আমরা শুনবো মোটা টাকা দিয়ে লাল কেল্লা বুক করছে বজরং দল। সেখানে ভারতের অন্য ইতিহাস শোনানো হবে। তাজ মহল ছিল তেজো মন্দির। লাল কেল্লা ছিল কোন হিন্দু দেবের পিকদানি যা রেনোভেট করে নিজের বলে চালিয়ে দেয় মোঘল সম্রাট।

এরপর একদিন দেখবেন তাজ মহল এক মাসের জন্য নিলামে উঠেছে। তাতে রিসোর্ট বানানো হবে। জোছনা রাতে মমতাজ মহলের পাশে শুতে পারবেন এক রাত। ওই যে নির্বাক ছবিতে ঋত্বিক শুয়েছিল না মৃত সুস্মিতা সেনের পাশে।

আপনি খাজুরাহো মন্দিরে মধুচন্দ্রিমা করতে পারবেন, পয়সা থাকলে মুতে ও আসতে পারবেন ওর দেওয়ালে যেখানে স্তন খোদাই করা আছে।

আচ্ছা আপনার শখ হয়েছে NSG কম্যান্ডো ভাড়া করে আপনার বাড়িতে দারোয়ানি করাবেন? তাই হবে। কিংবা একদিন আপনি ভাড়া করে যুদ্ধ জাহাজ ধানক্ষেতে ও ল্যান্ড করাতে পারেন। পয়সা ফেকো তামাশা দেখো।

গোটা দেশ খোলা বাজারে সাজানো। আপনার রেস্তো থাকলে কিনে নিন। মাথায় রাখুন রেল, কয়লা, তেল,জল সেনাবল, সন্ত্রী সব আপনার মানিব্যাগের অপেক্ষায়। আপনি ক্রেতা হয়ে আসুন, দামী টয়লেট পেপারে ইতিহাস মুছে ফেলুন, ফ্লাশ করে দিয়ে মুখ মুছুন পর্যটনের মুনাফায়। মুনাফাই রাষ্ট্র গঠন করে। ইতিহাস তো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও লিখতে পারেন।

©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ভাগাড়ে 'চক্রান্ত' ছিল,হুজুগে পাব্লিক চেটেপুটে খেলো রে তোপসে

ভাগাড়ে 'চক্রান্ত' ছিল,হুজুগে পাব্লিক চেটেপুটে খেলো রে তোপসে |

©----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

কখনো দেখেছেন আলু মাখার আগে কোথায় কোথায় হাত দেয় আপনার প্রিয় ফুচকা ভাই? বা ড্রেনের পাশে যে ডাঁশা ফুলকপি আর নিটোল ক্যাপসিকামের চপ গুলো ভাজা হয় যেগুলো এত বছর গোগ্রাসে খেয়েছেন, তা কি তেল দিয়ে ভাজা হয়? নিদেনপক্ষে যে চিকেন রোলটার স্বাদ অনেকক্ষণ অবধি জিভে লেগে থাকে, তা দেখতে গেছেন কোথা থেকে চালানি? ফেলুদার তীক্ষ্ণ প্রশ্ন জটায়ুকে।

নো স্যার। উত্তর দিল মনমরা জটায়ু। ইদানীং যিনি  ভাগাড়ের মাংস নিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে যে বিশ্লেষণ চলছে তাতে যার পরনাই বিষণ্ণ ও হতবাগ। বেশ অনেকবার আমার কাছে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওয়াটসআপে ভাইরাল হওয়া খিল্লি নিয়ে। কে কত কেজি বিড়ালের মাংস খেলো, মরা কুকুরের মাংস খেলো তাই নিয়ে স্টেটাস আপডেট চলছে। ভাবতে পারছো ময়ূখ ভাই।

মোগলাই,নর্থ ইন্ডিয়ান , সাউথ ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, টিবেটিয়ান, লেবানিজ সব খাবারের রাজধানীতে শেষে কিনা কুকুর বিড়ালের মাংস? উফফফফফ!

সিগারেটের ধোঁয়ার দুটো রিং ছেড়ে ফেলুদা বলতে শুরু করলো, গোলবাড়ির কষা মাংস, অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা, কুসুমের কাঠি রোল, ফেয়ারলী প্লেসের ফিশ কাটলেট, টেরিটি বাজারের মোমো, মিট স্যুপ, মিত্র কাফের কবিরাজি কাটলেট, জামজামের বিফ মালাই, নিজামের ভুনা নিদেনপক্ষে ক্যাবলার কেবিনের কোন খাবার খেয়ে কখনো মনে হয়েছে কুকুর বেড়াল বা ভামবেড়াল খাচ্ছি?

এত বছর ধরে খাওয়া ম্যাগির সোডিয়াম গ্লুটামেট, চালানি মাছের ফর্মালিন, ডিমের প্লাস্টিক, সব্জির ভেজাল রঙ, কোলার এসিড, কাউয়া বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত ভাগাড়ের মাংস- যা খেলেই ক্যান্সার হবে, সেসব খেয়ে এ যাবত কিছু মারণ রোগ হয়েছে কি?

উট যেমন মরুভূমির ক্যাকটাস কাঁটা বেছে খায় না, লালমোহন বাবু জেনে রাখুন ভেতো বাঙালি ও মানুষ, কুকুর বা বেড়ালের পচা মাংস খেতে পারে না। খেলে তার বিকট গন্ধ পাওয়া যেত। ভোঁটকা গন্ধ। কষটা স্বাদ। মন্দার বোসকে দিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন। ও জিনিস পাঁঠা বা বিফ না। চিকেন তো নয়ই সব রাবিশ!

জেনে রাখুন, পচা, ভাগাড়ের কোন মাংস ফ্রিজে রেখে দিলেও তাতে ফাংগাস জন্ম নেবে। পচন ধরবে রান্না হলেও। খেলে ফুড পয়জেনিং অবধারিত। প্রথমে শ'য়ে শ'য়ে লোকের আন্ত্রিক হবে, তারপর ওলাওঠা, তারপর রক্ত বমি, পাতলা পায়খানা করতে করতে মৃত্যু হবে অর্ধেক কলকাতাবাসীর। অনেক লাশ। আমাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে কেস। বোমকেশ বক্সিকে আসতে হবে এই বধ্যভূমিতে।

যারা এই প্রচারটা করছে তাদের একাংশ  সুপরিকল্পিত ভাবে করছে রে তোপসে। তারা দেখবি বেছে বেছে কলকাতার স্ট্রিট ফুডওয়ালাদের টার্গেট করেছে।  তাদের যারা জিএসটির আওতায় নেই, যারা অসামান্য স্বাদু খাবার দিচ্ছে কম খরচায়, যারা এখনো ওয়ালমার্ট, পতাঞ্জলী ও রিলায়েন্স ফ্রেস এর কাছে মাথা নোয়ায়নি। যাদের খাবার খেতে এখনো দেশ বিদেশ থেকে লোক আসে কলকাতা কালচার চেখে দেখতে।

সরল মন। আমি জিজ্ঞেস করেই বসলাম। ফেলুদা একাংশ কেন বললে? আর এক অংশ তবে কে? কারা ভাগাড়, আমিষ, কুকুর, বেড়াল এসব জুরে আমাদের বমি করাচ্ছে?

সিলুয়েটে ছ'ফুটের ফেলুদা। অমোঘ উক্তি। মগনলাল মেঘরাজ অভি জিন্দা হে ভাই। ওর আমাদের Food habit নিয়েই এলার্জি। সাথে মোটা টাকার ক্রুনি ক্যাপিটালিজম সুড়সুড়ি। পতাঞ্জলী, রিলায়েন্স, মেট্রো,ওয়ালমার্ট ছাড়া কোন মাছ, মাংস, সব্জি, মুদির দোকান থাকবে না। থাকতে পারেনা।

"হাইলি সাসপিশিয়াস" অনেকক্ষন ফেলুদার মোনোলগ শুনে লালমোহনবাবুর রিয়েকশন। এরপর পঞ্চায়েত ভোট আসবে, ক্ষেতে খামারে লাশ পরবে যা ভেজাল রঙের চেয়ে বড় খবর। লালমোহন বাবু দিব্বি আবার চিকেন খাবে। প্রেফার করবে কেএফসি। যদিও কবেকার মাংস ভিনিগার দিয়ে দেওয়া হয়, কেউ প্রশ্ন করবেনা।

ফেলুদা আগেও যেমন রাস্তার বিরিয়ানি, রোল, কাটলেট খেতো, এখনো তাই খাচ্ছে। স্রেফ মগনলাল মেঘরাজ ইজ ব্যাক। যেন তেন ভাবে বাঙালিকে ও চাড্ডি ও শাকাহারি বানিয়েই ছাড়বে।

এসবের মাঝে সিধু জ্যাঠা বলেছিল, আমাদের বেঁধে বেঁধে থাকতে হবে। ভাগাড়ে পচা মাংস না 'চক্রান্ত' ছিল,হুজুগে পাব্লিক চেটেপুটে খেলো রে তোপসে। তাই থাকছি। হরি ও হায়দার মিলে।

পুনশ্চ : তপেশ রঞ্জন মিত্র এখানে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। তোপসে ইদানিং ভজহরি মান্না রেস্তোরাঁ চালায়। ভাগাড়ের মাংস দেয়না বলেই জানা গেছে।

©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ