| প্রাপ্তবয়স্ক ভ্যালেন্টাইন U/A |
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কখন যেন চুপিসারে বড় হয়ে গেছে। প্রস্টেট, হাঁপানি আর দাঁড়ানো' সর্বস্ব মাংস পিন্ড প্রেমে। হামি ও তো বদলে গেছে চুমুতে।
কখন যেন নিক্কো পার্ক এ বসে ভাগাভাগি করে ঠোঁট এ ঠেকানো স্ট্রবেরি আইসক্রিম বদলে গেল স্ট্রবেরি ফ্লেবার এ। কোল বালিশ জ্যান্ত হয়ে উঠলো পায়ের ফাকে। খাটে ক্যাঁচ ক্যাঁচ ক্যাঁচ ক্যাঁচ।
গোলাপ ফুল যেটা বারান্দা থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিল ও, তা বই এর মাঝে থাকতে থাকতে চ্যাপটা এখন, সে ও তো এক কন্যার মা এখন। মুখ এ এখন ও জেল্লা আছে যদিওবা আর আছে অফিস, মেয়ের স্কুল, পাড়ার মুদির দোকান করার মাঝে ব্লাউজ এর খোপে ঘাম, নিষিদ্ধ একটা প্রেম মেসেঞ্জারে।
আর্চিস এর দোকানের থেকে কবে যেন Zivame-র ডিসকাউন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল আর কৈশোরের এফ-টিভির 'লিংগেড়ি' যে আসলে 'ল্যঞ্জরে' তা জানা গেল। নাইটফল থেমে গেলে। তখন ছোট ছিলাম।
বেপাড়ার সিডির দোকান থেকে ভাড়া করা যৌনতা বেওয়ারিশ হল, ফাঁকা ফ্ল্যাট এ প্রথম একলা যাপন এ স্কুলপ্রেমিকার সাথে। অগোছালো ইউনিফর্ম এদিক ওদিক মেঝেতে।
এরই মাঝে কলেজ করিডর এর চুমু খাওয়ার রোমাঞ্চ বদলে গেল 'ঠাটানো' সর্বস্ব মাংস পিন্ড প্রেমে। কিন্তু ও তো ততদিনে না বলতে শিখে গেছে।আমি তৈরি হলাম পুরুষ হতে। ভ্যালেন্টাইন কে জাপ্টে ধরলাম, মুখে উপহার দিলাম এসিডদগ্ধতা।
আমি। আমারই মতো লন্ডধারী আমরা। এসিড এ তুষ্ট না হলে তুলে নিয়ে গেলাম। কাছ থেকে হাতিয়ে হাতিয়ে ভ্যালেন্টাইন এর শরীর জরিপ করলাম, মাঝরাতে অনেক ভালোবেসে ছুঁড়ে দিলাম ধানক্ষেতে। ওখানে হেডলাইট এর আলো পৌঁছোবার ব্যবস্থা আছে। নগ্ন 'শলীলে'।
আমার ভ্যালেন্টাইন আমার ক্রাশ কখন যেন আমার সাথে বড় হয়ে গেছে। একদিন গোলাপ এ, বাকিদিন সংবাদ শিরোনাম এ, মুখ ব্লার করে ঘটনার সমস্ত বিবরন টানা ক্যামেরার সামনে দিয়ে যাওয়া এক অভিযোগকারিনী হয়ে।
আমাদের ও হয়তো মেয়ে আছে বা হবে। কারোর তো ভ্যালেন্টাইন হবেই। চোখ মারবে, অভিব্যক্তির কারনে ইউটিউব সেন্সেশন হবে। ছোট পোষাক পরবে, ডান্স ক্লাসে যাবে। সন্ধে নামার আগে বুক টিপটিপ করবে না তো ভ্যালেন্টাইনের বাবার?
©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment