| ত্রিপুরা : মানিকের থাকা না মগনলালের আসা |
-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
ভালো লাগছে না রে তোপসে। ত্রিপুরা নিয়ে ভালো ঠেকছে না। কি যেন একটা খচখচে ব্যাপার থেকে থাকছে আজ রাতে কিছু রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে। ঘনিষ্ঠতম সূত্র মোতাবেক, মানিক বাবু নিজেও দুশ্চিন্তায় আছেন। শুকনো মুখ। যদিও পাক্কা রাজনীতিবিদের মত মুখে বলছেন, জিতছি।
ওদিকে, মাধব আর হেমন্ত শর্মাজী হেড আপিসে মগনলাল মেঘরাজকে খবর পাঠিয়েছেন, তারা জিতছেই। তিনটে রাজ্যই।উদযাপন এর তইয়ারি করতে হবে। এ শুনেই নাকি মগনলাল চেঁচিয়ে উঠেছে: নাজুক, নাজুক, তনখা বর যায়গি তুমহারি।
আদিবাসী ও তপশিলী ভোট গোটাটাই পদ্মফুল খাওয়া শিখছে বলে মনে করছে টিভিতে টিভিতে বিজ্ঞানী । যেরকম যুবা সম্প্রদায় প্রায় অনেকটা ইদানীং "আচ্ছে দিন" এর আফিমে বুঁদ হিন্দুত্বের যন্তর মন্তরে।
তোপসে মাথায় রাখিস, মানিক সরকার ভারতের দারিদ্র্যতম মুখ্যমন্ত্রী। নিজের গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, মোবাইল ও নেই। তাঁর হাতে থাকা হাজার দেড়েক নগদ ছাড়া অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে মাত্র ২৪১০ টাকা। না কোন খাঁজে কোন কালো টাকার ও হদিস পায়নি কেউ হাজার কসরত করে।
আরো জানিস, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা তিনি নেন না ৷ গাড়ির বদলে রিক্সায় চেপে যান স্ত্রী৷ নিজে ও গাড়ি যতটা কম খরচ করা যায় তাই দেখেন। সজ্জন ব্যক্তি।
ভালো লাগছে না রে তোপসে। সাধারণ মানুষের ১১,০০০ কোটির এক টাকাও যে খায়নি, দেশের সম্পদ আর প্রতিষ্ঠান গুলো এক এক করে যে আম্বানি,আদানিকে জলের দড়ে বেচেনি, যার ছেলে চার বছরে তিনগুন মুনাফা করে নেয়নি বাবার ক্ষমতাবলে, যার জন্য এখনো গ্রামে গ্রামে সংগ্রামী অভিবাদন দেওয়া হয়, তাকে অলরেডি হারিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রখর রুদ্রের মত কিছু আষাঢ়ে অংকে। তবে কি অংকটা পরিক্ষা হলেই মিলিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা ছিল? যা নিয়ে এখনো দুষ্টু লোকেরা আওয়াজ তোলে? ট্যামপারিং না কি।
ভবিষ্যৎ এ আর কেউ সৎ পথে একটা টাকা ঘুষ না নিয়ে, অনাড়ম্বর জীবনযাপন করে, মুড়ি আর রিক্সা চড়ে রাজনীতিটা করবে তো রে তোপসে?
রাত ১২টায় ও বিশ্বাস করি, মানিক বাবু ফিরছে। কঠিন কিন্তু ফিরছে। দুর্ধর্ষ দুশমন। মারকাটারি চেষ্টা করেছে, কিন্তু মগনলাল মেঘরাজ কি আর সাত বোনের (seven sisters) ধন এক মানিকবাবুকে টেক্কা দিতে পারে?
©-----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment