তিন তিরিক্ষে নয়। নয় নয় করে তিনের গন্ডি পেরিয়ে গেলাম সুখের বারান্দা ও শীতের বারান্দা দিয়ে । অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদে বলা আছে, যারা তিন বছর একটানা চুলোচুলি, মারামারি, রক্তক্ষয়ী ভালোবেসেছে বৃষ্টি হোক বা একে অপরের ভরসায়, তাদের গেরস্থালী অক্ষয় হয়। রোদ্দুর এসে বসে তাদের গায়ে, কৃষ্ণচূড়া ডালপালা নিয়ে আসে ঘর করবে বলে।
তিন বছরে তিনটে শহর পেরিয়ে, একটা সাগর আর দুটো নদী পেরিয়ে অনেক বিমান বয়ে এনেছে প্রেম। আর অভিমান ও তো বটে। সেসব বয়ে নিয়ে চলতে চলতে দারুণ ঝগড়া করেছি দুজনে, এরপর চুমু ও খেয়ে নিয়েছি।ও তখনো ছিল পাহাড়ের মত স্থানু, আমি নদীর মত বহমান।
মোনালিসাকে কতজন কতবার বলেছে এ বাউণ্ডুলেকে ত্যাগ করতে। আলাদা আলাদা থেকে ঝগড়া করে দেখেছি, ঠিক মতো জমেনা। তার চেয়ে সোহাগ আর উত্তাপকে সাক্ষী করেই পথ চলা ভালো। জোৎস্না আজ ও আছে কিছুটা। দরজার কাছে চুপটি করে অপেক্ষার মত, কাজের শেষে ফোনের খুটখুটের মত, খাবলা মেরে পাত থেকে মেটের টুকরো নিয়ে নেওয়ার মত, সারা রাত মহানগর টহল দেওয়ার মত, কাঁধের কাছে ঠোঁট ছোঁয়ানোর মত, আরবসাগরের দিকে ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকার মত। বেহেড প্রেমিক হয়ে উচ্ছন্নে যাওয়ার মত।
মোনালিসা আমায় প্রেম শিখিয়েছিল আর আমি শিখিয়েছিলাম ওকে বাউণ্ডুলে হতে।
--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment