কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Tuesday, December 12, 2017

| মমতা ডিলিট পায়, হয় চ্যাং মুড়ি কানি |

| মমতা ডিলিট পায়, হয় চ্যাং মুড়ি কানি |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিলিট টা আজ না হয় কাল পেতই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সিন্ডিকেটের জিনে লেখা আছে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। বাকিটা সিস্টেমের নিতম্বের ফুঁটোতে তেল। আর বক্র মেরুদণ্ডী সিদ্ধান্ত।

সিপিএম ও বিক্ষুব্ধ বাম, স্কচখেকো উচ্চবংশীয় বাঙালি, ফ্ল্যাট বাড়ির ফ্লোটিং ভোটারের কাছে তিনি “যে হাতে পূজিনু আমি চণ্ডীকা জননী, সে হাতে না পূজিব কভু চ্যাং- মুড়ি কানি!

যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগকে ছেলেখেলার জায়গাতে নিয়ে যেতে পারে প্রতিবছর এগারো মাস পরে রেজাল্ট বের করে, তাদের বিরুদ্ধতা করবার জন্য বাংলার কোন সাংবাদিক লেখে না। পাছে পিএজডি হাতছাড়া হয়।

যে যতটা পারবে মাখাবে তেল। এইচ.ও.ডি, মেন্টার, সেনেট মেম্বার, ভিসির ক্লোজ, নেতার ভাই। দাও  তেল, পাশ করে যাবে সারাবছরের ফেল।

যাদবপুর আর প্রেসিডেন্সি বরাবরের রাষ্ট্রবিরোধী, বখাটে,বেলেল্লাপনা। ওখানে দিদি বা টিএমসি ইউনিট মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেনের মত। ডিলিট দুরস্ত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিলিট নিয়ে যে এলিটিস্ট খ্যামটা চলছে তা প্রান্তিক। নন্দন যে দিন থেকে বুদ্ধবাবু, রুপাদি,রীনাদি, কাফকা,কামু, গোদার থেকে হরনাথ চক্রবর্তী, দেব, বচ্চন সেদিন থেকে ডিলিটের প্রিপারেশন শুরু।

বাংলার আপামর ধুতি পাঞ্জাবি, দেওয়াল লেখা, মার্ক্সবাদী সাহিত্য এক ঝটকায় পাগলু ডান্স আর একুশে জুলাইয়ের ধিতাং ধিতাং বলেতে যিনি deconstruct করতে পারে, তার নোবেল পাওয়া উচিৎ। পপুলার চয়েস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেই সহজ সত্যকে সম্মান জানিয়েছে।

মমতা ব্যানার্জিকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদানে যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তারা ভুটানের রাজাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালে দেওয়া সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি নিয়ে নিরব। তখন কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। কারন, যুবরাজ জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক প্রজাদের পয়সায় বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। ঝরঝরে ইংরেজি বলতে পারেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পরে রাজা হয়েছেন। অতএব বিরোধিতার কিছু নেই! এলিটিস্ট।

লালুপ্রসাদ, জ্যোতি বসু, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের অনোনারি ডক্টরেট নিয়ে আপত্তি থাকেনা। কারন তারা চাঁদ সওদাগর, ঝা চকচকে। মমতার সাম্মানিক ডিলিট নিয়ে বিরোধিতা থাকে কারন মমতা ঘামের গন্ধ, মমতা বস্তি, মমতা হাওয়াই চটি, মমতা ৩৪ বছরের ইতিসাসের পতনের কারন, মমতা চ্যাং মুরি কানি।

দুটাকা কেজির চাল, জঙ্গলমহলে সাইকেল, কন্যাশ্রীর টাকা আর পপুলার কালচার চটকে জঙ্গলা সাম্মানিক নোবেল দিক বাংলার সাব অল্টার্ন নেত্রীকে ভুখা -ism না বোঝা মানুষ। লড়াই চলতে থাক মমতাকে গদিচ্যুত করার। কারন মমতা এখন একটি প্রতিষ্টানে পরিনত। বিরুদ্ধতা ডিলিট হচ্ছে স্রেফ।

©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment