| বংযাত্রীর বম্বে যাত্রা শেষ। প্রায়। |
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
একবার নিজের পরিচিত খাট, কোলবালিশ, কোন দিকে অল্প ফুঁটোওয়ালা মশারি, কেস খেলে পরিচিত পুলিশ, মনখারাপ এর মদের ঠেক, সবকিছুর তিলোত্তমা পেরিয়ে এক সমুদ্দুর তেরো নদী পার হলে আর শহর নিয়ে ভাবতে নেই।
তা সে বম্বে যতই ভালো লেগে যাক না কেন। সে তো সেন কাকুর পুরির হলিডে হোম ও হেব্বি ছিল। একদম সি ফেস, নিচে সুইমিংপুল। ওটা আর পাঁচটা বাড়ি। কোলকাতা ঘর।
তা সে এক বাড়ি থেকে অন্য এক বাড়িতে যাচ্ছি। অর্থনৈতিক রাজধানী থেকে দেশের রাজধানী যেতে হবে এবার। একই চ্যানেল টাইমস নাও। স্রেফ রিপোর্টিং ফ্রম রেপ ক্যাপিটাল। রিপোর্টিং ফ্রম ঠ্যাই ঠ্যাই ঠ্যাই ঠ্যাই ঠ্যাই ক্যাপিটাল। ওফ ইন্ডিয়া।
যে শালা একবার বম্বে দুবছরের বেশি থেকেছে তার শালা সবচেয়ে জ্বালা। এ শহর ছাড়ার জ্বালা। এমন শহর কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, আরবসাগর রানী সে যে আমার কর্মভূমি।
মায়ার শহর, মাঝরাতে মনখারাপ ফুসমন্তরের শহর, স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন ভাঙার শহরের ডায়েরি তো ছাপার অক্ষরে গল্প বলবে কখনো।
আপাতত আমি শক্তি মজুদ করি। সাংবাদিকতা ও ব্লগামি করার। নভেম্বর শেষে দিল্লী যাওয়ার। ওটাও তো নতুন চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজধানী,রাজনীতি, ঐতিহাসিক করিডরে বংযাত্রীর ইস্তেহার।
রোজনামচার ধাক্কা খাওয়ার, রাজা নৌকোর কিস্তিমাতের, প্রজার একা রাস্তায় দুর্বিপাকে ডায়েরি লেখা হবে। এখানেই।
যারা ভাবছেন বং যাত্রীর বম্বে ডায়েরি কি শেষ? তাদের বলি। বংযাত্রীর বম্বে যাত্রা প্রায় শেষ। ডায়েরি নয়। গল্প সবে শুরু।
©------ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment