| "অজানা জ্বর" হয় "অনামিকা" মশার কামড়ে |
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
শুনছি পশ্চিমবঙ্গে মহামারীর আকার ধারন করেছে ডেঙ্গুরোগ। কিন্তু সরকার বলছে অজানা জ্বর। মানে মঙ্গলগ্রহ থেকে সংক্রমিত বা পুজোর সময় ইয়েতির সাথে শহরে ছড়িয়েছে বা কোন দুর্ধর্ষ দুশমনের সরকার ফেলার কারসাজি।
বিজ্ঞান বলে স্ত্রী এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু গোটা ভারতে হয়। এতে কোন সরকারেরই কোন ভূমিকা নেই। কারন সরকার ছোট মাছি প্রজাতির পতঙ্গ নয়। এর কামড়ে রক্ত বের করে নেওয়ার শক্তি নেই, এক চাপড়ে শহীদ হওয়ার মুরোদ নেই। মশাদের জনসভায় ডেকে পাগলু ডান্স দেখালে বা ঝিংকু মামনিদের সেল্ফি তোলালেই তারা তৃণমূলী মশা হয়ে যায় না।
কিন্তু কোন "অজানা" কারনে বাংলার সরকার নিজেকে এক ঝটকায় মশা বলে ভেবে ফেলছে। হয়তো ৩৪ বছরকার বুনিপকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে বলে। বা ডিলিউসনে। ডিলিউসন এটা ভাবার যে গোটা রাজ্যে যা কিছু সবই জোড়া ফুলে ফুলে ঢলছে। তাই হয়তো মশাকে ও তৃনমূলী ভেবে চেপে যাওয়া হয় রোগ কিংবা সব ধর্ষণকারীকেই আড়াল করতে বলতে হয় "সাজানো ঘটনা"। পাছে কেউ বিরুদ্ধাচার করে, কেউ কাগজ নিয়ে আসে নিষিদ্ধ আদানপ্রদানের, কেউ গান গায় সমস্বরে- রাজা ধিক ধিক।
তাই হয়তো অভিধান বদলে দেওয়া হয়, ১০৮টা পুজো আর সংখ্যালঘু পরবে গিয়ে ভোঁ ভোঁ করতে হয়। রামধনু কে বদলে দিতে হয় রংধনুতে।
সব্বাইকে চুপ করিয়ে দেওয়ার এক অসম লড়াই চলে, গোটা শহরটা রাঙিয়ে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট রঙ দিয়ে। রাস্তাঘাট, পেচ্ছাপখানা, মাঠ, ময়দান, ক্রীড়াঙ্গন সব জায়গায় ভোঁ ভোঁ করতে হয়। নিজের নামের জানান দিতে হয়। পাছে অজানা দ্রোহ বাসা বাঁধে জেলায় জেলায়। রক্তপাত শুরু হয় শাসকের, কাঁপুনি দিয়ে গদি হারানোর জ্বর, সাথে ব্রেন হেমারেজ জমে থাকা দুর্নীতির কারনে।
বিশ্বজুরে ডেঙ্গুজ্বর স্ত্রী এডিস মশা কামড়ালে হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে "অজানাজ্বর" হয় "অনামিকা" মশা কামড়ালে।
যেভাবে শিল্প বলতে চপ শিল্প বোঝায়, চাকরি বলতে ১০০দিনের কাজ আর উন্নয়ন বলতে শহুরে সৌন্দর্যবর্ধন। কে দোহাই দিয়েছে পৃথিবী যে দিকে চলছে সেদিকেই চলতে হবে? পেছনের দিকেও তো এগোনো যায়। সব্বাই অগ্রগতি করলে অধোগতি হবে কাদের?
©------- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
#Dengue_Kolkata
No comments:
Post a Comment