মাঝ রাতে শহরে শিহরণ জাগে। ফুটপাথ, গার্ড রেল এ রক্ত লেগে থাকে। আপনারা তখন মধ্যবিত্ত। আপনাদের টিভি তখন চুপ।
এবার আর একটা গাড়ি দুর্ঘটনা। এবার আর একজন বিনোদন শিল্পের মানুষ এর অপমৃত্যু। সোনিকা সিং চৌহান মডেল ছিল। বহুল পরিচিত মুখ। আহত অভিনেতা বিক্রম আরো জনপ্রিয় সিরিয়াল এর দৌলতে। যেভাবে রনি ছিল। ছিল মাঝরাতে পুকুরে স্নান করতে যাওয়ার আগে। আকন্ঠ পান এর পর।
শিক্ষিতেরা বলবে এই দুর্ঘটনা গুলো নেহাতই কাকতালীয়। অশিক্ষিতরা বলবে বাংলা বিনোদন জগৎ এ মারক লেগেছে।
কিন্তু কোথাও বোধহয় এবার খুব গভীর ভাবে ভাবার সময় এসেছে। বাংলার এই টিভি, সিনেমা, গান, সংবাদমাধ্যম এর মানুষগুলো কি কোথাও ভয়ানক হাঁপিয়ে পরছি কাজ এর চাপে? মারাত্মক স্ট্রেস এর পর নিজেকে আরাম দিতে আপাত "তুফানি" "রোমহর্ষক" কিছু রোজ চেষ্টা করছি? ১৮ ঘন্টা কাজের শেষে যে টাকা আসে, তা অনেক। চাওয়া পাওয়া গুলো তো অনেক লম্বা হয়ে যায় কাজ এর শেষে। বা একই ধরনের কাজ এর দীর্ঘশ্বাস এ।
Work harder, Party harder এর আফিম দাও তরুন প্রতিভাদের। শুষে নাও কোলার বোতল। ম্যানেজরিয়াল।
সব মানুষ মৃত হলে অমর হয়ে যায় না। হয়ে যেতে দেয় না জিম মরিসন কোবেন, হেনরিক্স। ওটা ওদের জাগির। বাকিটা দুদিনের এয়ারটাইম, সাদা জামা, রোদ চশমাখোর কান্না, হয়তো বা স্মৃতিচারণ এ এক এপিসোড বা বুলেটিন।
এই মৃত্যু গুলো, এই দুর্ঘটনাগুলো আমাদের প্রত্যেককে অপরাধী করে দেয়। দমবন্ধ করা কাঁচের বাক্সজাত। কখনো সিরিয়াল, কখনো সিনেমা, কখনো সংবাদ পরিবেশন এর, ১২ ঘন্টা,১৪ ঘন্টা, স্পটলাইটে রান লোলা রান।
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment