পয়লা যা কিছু ছিল/ আগামীর রোমন্থন এ থাক।
নতুন বছর নতুন কিছু পাক!
বাঙালির কি গল্প কম পরিয়াছে? না পরিলে যে বাঙালি ভাঙা চা এর ঠেক এ গল্পের গরু গাছ এ ওঠাতো, তারা সেই গরুকে মাতৃরুপে দেখতে পেল কবে? এরপর তো পাঁঠা বাবা, ইলিশ বোন হবে। বাঙালি বাঁচবে কি নিয়ে? স্মৃতি মন্থন?
পুরোনো শাড়ির আঁচলে নেপথোলিন এর গন্ধ ছিল। আজ রেস্তোরাঁ থেকে ঘুরে আসা গন্ধ থাকে। কারো শাড়ি তো কেবল স্মৃতি বেঁধে রাখে। মানুষটা কবেই ওপাশ ফিরে শুতে যায়। চাদর হিসাব রাখে চোখের জল।
যে ছেলেটা প্রতিবার প্রেমিকাকে ট্রেনে ছাড়তে গিয়ে ফ্যলফ্যল করে তাকিয়ে থাকে ট্রেনটা মিলিয়ে না যাওয়া অবধি, তার জীবনে একটা নতুন গল্প আসুক।
যে মেয়েটি রোজ রাতে অফিসের খাটনি শেষে ঘুমিয়ে কাদা হয়, কিন্তু গভীর রাতে বর বাড়ি ফেরার আগে সজাগ, তার জীবনে নতুন কিছু ঘটনা ঘটুক।
যে বিচ্ছিরি শব্দ গুলো রোজ হেডফোন ভেদ করে কানে ঢোকে দুষ্কৃতী সেজে, রাস্তার পিচে তাদের কবর দেয়া হোক। কবর দেওয়া হোক হেডলাইটের আলোর দেখানো নগ্ন, চিৎকার করতে থাকা নারী শরীর, কবর দেওয়া হোক বুক নিক্ষেপ করে টিপ্পনী কলেজ থেকে বের হলে। নতুন নীল সাদা ল্যাম্প পোস্টে জেগে থাক, নতুন শব্দ ব্রহ্ম সিগন্যাল এ সিগন্যাল এ।
নতুন কিছু চাইলেই নতুন করে তা পাওয়া যায় না। পুরোনো জিনিস নতুন মলাটে আসলে তাকেও আগুনে শোধন করা হয়। ভয় লাগে মাঝরাতে ছুঁতে।
পরে থাকে প্রতি বছর তৈরি হওয়া এক একটা বছর দিয়ে বানানো এক নৌকা। কাঠের জায়গায় বছর এ পেরেক ঠুকে তৈরি এক নৌকা।
কাঠের মতো বছর ও নষ্ট হয়, পচন ধরে, তখন আর একটা বছর তাকে বদলে দেয়। বছরের পিঠে নতুন বছর চেপে নৌকা বাওয়া। ভূমিকম্পে নৌকার ও ফাটল ধরে।
নতুন সূর্য নৌকার ভিতরে ঢুকে পড়ে। সকাল সব বদলে দেয়। ক্যলেন্ডার এর পাতার মত।
ফ্লাইওভার এর নিচে চাপা পরা লাশগুলো উদ্ধার হওয়ার বেশ কিছুদিন অবধি নৈরাশ্য ছেড়ে নৈরাজ্য নিয়ে বাতেলা করছিলাম, পরবর্তী কম্পন অনুভূত না হওয়া অবধি। ধন্যবাদ নতুন টপিক এলো।
আজ যখন কম্পন অনুভূত হয় শেষ চৈত্র সন্ধ্যায়, তখন স্টুডিও থেকে নিচে হাজার বাঙালিকে দেখছিলাম। তারা সবাই কম্পন খুঁজে বের করতে চাইছিল। কেউ কেউ বোধ করেছে, বাকিরা মাস হিস্টিরিয়া-যাপন করেছে।
এরপরে আবার নতুন করে যারা কম্পন অনুভব করেছে তবে নিরাপদ তাদের সংখ্যা বাড়বে। বাড়ছে নোটিফিকেশন এর ওজন। নতুন করে আবার সবাই safe হবে।
পয়লা যা কিছু ছিল,আগামীর রোমন্থন এ থাক।
নতুন বছর নতুন প্রেম পাক!
নববর্ষ জেগে থাকে সারারাত নিউজফিডে, নেশার গ্লাসে, সকালে কেরানি, রাতের কবির খালাসিটোলার ক্লাসে।
No comments:
Post a Comment