কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, April 30, 2017

Mamata Banerjee আপনার পাশে আছি

শ্রী চৈতন্যদেবকেও কোনঠাসা করা হয়েছিল অন্য ভাষা, অন্য ভাব, অন্য ভক্তির বীজবপন করার অপরাধে। এই চত্বরেই। তারপর তিনি আচমকাই নীলাচল এ গেলেন।

ইন্দিরা গান্ধীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও বাধা দেওয়া হয়েছিল ব্রাহ্ম সমাজ এর বলে।

আমি হিন্দু। আমার মুসলমান-খ্রিস্টানী বন্ধু ও আছে। আমার পাড়ার মন্দিরের সিন্নি ও আসমার গোস্ত দুই ভালো লাগে। আমি ভোরবেলার বীরেন ভদ্র নিয়ে যতটা উত্তেজিত ঠিক ততটাই ঈদের বিরিয়ানি নিয়ে। আমার মসজিদ ভাঙলে খারাপ লাগে, মন্দিরে মাংস ছুড়ে দিলেও।

আমাকে এটা আমার ধর্ম শিখিয়েছে। আমার ধর্ম মানুষ।

Mamata Banerjee আপনার পাশে আছি। কারণ শাস্ত্র মতে আপনার ঢুকতে বাধা নেই তবু রাজনীতি করা হল কারন আপনি চক্ষুশূল। তাদের যারা বাংলার সংস্কৃতি গুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছে।

যে মানুষ আমি কি খাবো,ওর ফ্রিজে কি থাকবে, তার হাঁড়িতে কি রান্না হবে তা দেখতে আসে না, তার পাশে থাকাটা এই সময় এ বেশি দরকারি।

চোরেদের ও পাশে লাগে বর্গী এলে দেশে। লড়াই টা চাপাতি-ত্রিশূল বনাম হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড গড়ার।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ঘুমপাড়ানি |

| ঘুমপাড়ানি |

দিনের ক্ষত,
আমি লুকিয়ে ফেলি চাদর এ/
রাত ঘুমপাড়ানি আদরে,
গল্প ঘুমোতে যায়।

দুপুরের শোক,
রাখা ছিল চিলেকোঠায়/
বালিশ ঘুমোতে চায়,
মিঠে রোদ খোলা চুলে।

গল্পের ঘুম পেলো,
এরপর এলোমেলো/
বাক্যাতীত।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আমি খাবো

সকালে জোমাটো থেকে অর্ডার দেওয়া লিট্টি চোখা, আচার, বেগুন আলু মাখা। এরপর ঘুম। উঠে ইউটিউব এ শ্যাম বেনেগাল এর নিশান্ত দেখা। ফের ঘুম।

স্নান, ভাত ডাল পাপড় খেয়ে ফের এসি চালিয়ে ঘুম। উঠে "হ্যাংলা" থেকে মোগলাই পরোটা তারপর সন্ধেবেলার তোড়জোড়। সে দীর্ঘ হবে মেহেফিল।

ঘোলাটে পানীয় ডাকছে আয় আয়। রাতে "পেটুক" নামক বাঙালি রেস্তোরা ডাকছে আয় আয়। ভাত, মুগের ডাল, ভাজা, রুই মাছ। আয় আয়। তার আগে চান। গরম এখানে। ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে থাকা। তারপর ভাত। গরম। এসিতে। থালার চারপাশে মাছের কাঁটা সাজানো থাকবে।

খেতে পারি। আমি খাবো। তবে খাওয়ার আগে একটা জেলুসিল চেবাবো। তারপর এক ভীষণ ঢেকুর।

এ ল্যাদ, এই সোনামণি ঢেকুর, ওই উপুর হয়ে ঘুমের জন্যই তো লড়াই কালি দা! আশেপাশের "অ"বাঙালি দের গাঁড়ল মাথায় ঢোকাবে কে?

| জয় হিন্দ আর বিশ্ববাংলার ভীড়ে, জয় বাংলার "বিসর্জন" |

| জয় হিন্দ আর বিশ্ববাংলার ভীড়ে, জয় বাংলার "বিসর্জন" |

হিন্দুদের স্বপক্ষে লিখলে, মুসলিম বা মুক্তমনাদের সমর্থন করলে, সিয়াচেন এর জওয়ান, রাশিয়ার শৃঙ্খল এমন কি গরুর বন্দনা হলেও ক্যা বাত! কিন্তু বাংলা বা বাঙালিদের নিয়ে একটু কড়া করে গলা ফাটালেই তুমি প্রাদেশিক, কূপমণ্ডূক।

দক্ষিণ এর ছবি "বাহুবলী"কে সর্বাধিক হল দিতে বাংলাতেই হল থেকে সরিয়ে নেওয়া হল "বিসর্জন"। বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার পর ও। টাকা দিয়ে মানুষ দেখতে চাওয়ার পরও।

যারা লোকাল কমিটিতে চা এর কাপ সরাবো কি সরাবো না- এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনটে মিটিং ডাকে তারা বাজার অর্থনীতির গন্ধ পাবেন আর যারা মসনদে তারা বোঝার চেষ্টা করবেন এই ছবিটার হয়ে গলা ফাটালে কোন স্টিং অপারেশন হওয়ার ভয় আছে কি না! বেহুলা, মনসা, চাঁদসদাগড়, রাজশেখর এর রামায়ণ ভুলিয়ে যারা রাম, হনুমান ইনজেক্ট করতে ব্যস্ত বাঙালির মাথায়, তারা খুঁজবে চুপচুপে আবেগে ভাজা দেশ এর গল্প আছে কি না। বা নিদেনপক্ষে হাম্বা।

সেরা চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে "বিসর্জন"। একটা অসামান্য বাংলা ছবি। এমন ছবি অক্ষয় হোক। কিন্তু অর্থ বা হল না পেলে অবিলম্বে মৃত্যু হবে এই বাংলার সংস্কৃতির। আমরা তখনো ইন্টারন্যাশনাল। আমরা তখনো হিন্দি,হিন্দু, হিন্দুস্থান। আমরা তখনো রংধনু আর পানি।

তুমি কমিউনাল, গোঁড়া, অশিক্ষিত কারণ তুমি বাংলা ও বাঙালির হয়ে গলা ফাটাও। আধা ট্যাঁস, আধা হিন্দুস্থানি আর বাকিটা বিশ্ব নাগরিক হওয়ার চক্করে তুমি না ঘর কা না ঘাটকাই থেকে যাও। এদিকে বাকিরা নিজের রাজ্যের, নিজের জাতির হয়ে গলা ফাটিয়ে নিজেরটা বুঝে নিচ্ছে। এই ভূখন্ড থেকে। কখনো জলের দোহাই দিয়ে, কখনো সংরক্ষন এর চোখ রাঙিয়ে,কখনো ইঁদুর মুখে নিয়ে। গুছিয়ে নিচ্ছে।

আর আমরা মানে যারা বাংলা। আমরা মানে যারা মনে,প্রানে, কাজের বা জন্মসূত্রে বাঙালি তারা হাহুতাস করছি ওল্ড মঙ্ক খেতে খেতে। ফুটবল বা রাজনীতির মন ভালো করা আফিম চেবাতে চেবাতে, বাংলার কি ছিল!

দেশের রাজধানী থেকে প্রথম সারির শিল্প, একাধিক কম্পানির প্রধান দপ্তর, কারখানা, বিশ্বমানের শিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণাগার, বেঙ্গল কেমিকেল, তথ্যপ্রযুক্তি হাব।

এককালে ছিল। এখন দূরবীন এ খোঁজ করি। এখন মগডালে সিপিএম বসলে গোটা গাছটাকেই উঁপড়ে ফেলি জাতীয় সড়কে। আর তৃণমূল কিছু করলে বাধ্যতামূলক বিরোধী হতেই হয়। রাজ্য যায় গাধার এতে!

পাগলা জগাই ভাবে কবে রাজ্যের জন্য, বাঙালির জন্য বাংলার সব দল একসাথে পথে নামবে। বাংলার সমস্ত সাংসদ একজোট হবে শিল্পের দাবীতে,কেন্দ্রের থেকে প্রকল্প, অনুদান, রেলপথ ছিনিয়ে আনার লড়াই এ।

কবে বাংলা ছবি দাদাগিরি করে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সবকটা হল, মাল্টিপ্লেক্স এ অ-বাংলা ছবির প্রদর্শন বন্ধ করে দেবে?

বাঙালির গাড়ি শিল্প গেছে, ভারি শিল্প গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও গেছে। চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে যা খুচরো বড়াই, তাও ছিনিয়ে লিবা?

কি জানি। হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্থানি, স্তালিন, লেনিন, মাটি, মা, গো-মা এর চক্কর এ না বাংলা টারই বিসর্জন হয়ে যায়। কালিদাস তখনো নিজের ডাল নিজেই কাটছে। "আমরা" না হয় ডাল ভেঙে চোট পাবো, "ওদের" যাত্রা ও তো ভঙ্গ হবে!

পুনশ্চ: মুম্বাই এ মারাঠি ছবির জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যায় হল বরাদ্দ থাকে। তা সে যতই অমিতাভ-রেখা-জয়ার কামব্যাক ছবি হোক। আর বিসর্জন এখানে স্ট্যান্ডিং অবেশন পেয়েছে। বাহুবলী ও কিন্তু আমরা দেখবো।

জয় বাংলা!

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

সিঁদুরের প্রলেপ লাগিয়েছ কপালে/ তবু আজও তো রয়ে গেছে ক্ষত।

সিঁদুরের প্রলেপ লাগিয়েছ কপালে/
তবু আজও তো রয়ে গেছে ক্ষত।

তোমার দাম্পত্যের নিচে চাপা পড়ে/
আমার আদরের সম্ভাবনা যত।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| রান লোলা রান |

মাঝ রাতে শহরে শিহরণ জাগে। ফুটপাথ, গার্ড রেল এ রক্ত লেগে থাকে। আপনারা তখন মধ্যবিত্ত। আপনাদের টিভি তখন চুপ।

এবার আর একটা গাড়ি দুর্ঘটনা। এবার আর একজন বিনোদন শিল্পের মানুষ এর অপমৃত্যু। সোনিকা সিং চৌহান মডেল ছিল। বহুল পরিচিত মুখ। আহত অভিনেতা বিক্রম আরো জনপ্রিয় সিরিয়াল এর দৌলতে। যেভাবে রনি ছিল। ছিল মাঝরাতে পুকুরে স্নান করতে যাওয়ার আগে। আকন্ঠ পান এর পর।

শিক্ষিতেরা বলবে এই দুর্ঘটনা গুলো নেহাতই কাকতালীয়। অশিক্ষিতরা বলবে বাংলা বিনোদন জগৎ এ মারক লেগেছে।

কিন্তু কোথাও বোধহয় এবার খুব গভীর ভাবে ভাবার সময় এসেছে। বাংলার এই টিভি, সিনেমা, গান, সংবাদমাধ্যম  এর মানুষগুলো কি কোথাও ভয়ানক হাঁপিয়ে পরছি কাজ এর চাপে? মারাত্মক স্ট্রেস এর পর নিজেকে আরাম দিতে আপাত "তুফানি" "রোমহর্ষক" কিছু রোজ চেষ্টা করছি? ১৮ ঘন্টা কাজের শেষে যে টাকা আসে, তা অনেক। চাওয়া পাওয়া গুলো তো অনেক লম্বা হয়ে যায় কাজ এর শেষে। বা একই ধরনের কাজ এর দীর্ঘশ্বাস এ।

Work harder, Party harder এর আফিম দাও তরুন প্রতিভাদের। শুষে নাও কোলার বোতল। ম্যানেজরিয়াল।

সব মানুষ মৃত হলে অমর হয়ে যায় না। হয়ে যেতে দেয় না জিম মরিসন কোবেন, হেনরিক্স। ওটা ওদের জাগির। বাকিটা দুদিনের এয়ারটাইম, সাদা জামা, রোদ চশমাখোর কান্না, হয়তো বা স্মৃতিচারণ এ এক এপিসোড বা বুলেটিন।

এই মৃত্যু গুলো, এই দুর্ঘটনাগুলো আমাদের প্রত্যেককে অপরাধী করে দেয়। দমবন্ধ করা কাঁচের বাক্সজাত। কখনো সিরিয়াল, কখনো সিনেমা, কখনো সংবাদ পরিবেশন এর, ১২ ঘন্টা,১৪ ঘন্টা, স্পটলাইটে রান লোলা রান।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Saturday, April 22, 2017

| যারা আগুন খেয়েছিল |

" চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে / গাছে ডাকছে পাখি,
ভুলের কথা ভুলে গিয়ে/ আগুনে হাত রাখি।"

দুজনেই আগুন ভালোবাসতো। তবে ধর্ম ও লিঙ্গ এক ছিল না । একজন যুবক, ধর্মে দেশলাই আর একজন খাতুন, বারুদ সম্প্রদায়। বাড়ির লোকের চাপে যে কোনদিন খাতুন, বেগম হয়ে যাবে। বারুদ বেগম।গল্প সেখানেই বাঁক নেবে।

একজন blue blooded বারুদ ছিল, মামা কাকা, পিসির পরিবার এর সাথেই একটা বারুদ পাড়ায় পাশাপাশি থাকে দীর্ঘদিন আর অন্যজন দেশলাই কূল, বন্ধুদের সাথে গাদাগাদি করে থাকতে থাকতে গোষ্ঠিছাড়া, ভিড়ে একক।

ধরা যাক একজনের নাম অগ্নিস্নাত আর একজন অগ্নিমিতা। দেশলাই বারুদ সমাজে ওদের নামের গোঁড়ামি নেই। আগুন কে আগুন আর জলকে জল বলে। পানি ফল হয় আর চাপাতি মানে মোটা ছোট রুটি।

তবে ওরা জানে পানি হোক বা জল, এদের থেকে দূরে থাকতে হয়। দেশলাই এর নিজের একটা ডবকা, লক্ষ্মী শ্রী বারুদ আছে। একসাথে থাকে এরা। যেরকম বারুদের প্রেমিক আছে। ছিল।

বড় সোহাগ করে কাঠিতে বারুদ ডুবিয়ে মিলন ঘটে। তখন চারপাশে অনেকে আলো, সানাই, রাত জেগে খুনসুটি। বিদায় বেলায় কাঁদতে হয়, কান্নার জলে আগুন লাগে না। একসাথে অনেকগুলো বছর থাকার অঙ্গীকার করে দুজন। জল সরবরাহ নিস্প্রয়জন।

অগ্নিস্নাত আর অগ্নিমিতার দেখা অনেক পরে হবে। এই ছেলে মেয়ে দুজনেই খুব আগুন খেতে ভালবাসে। আগুন খেলে ওদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মাথায় মুখে আগুন লাগে, ঝলসে যায়, নতুন করে শুরু হয়, আগুন ধারন। এসবই কল্পনা অবশ্য।

দেশলাই বিবাহিত বেশকিছু দিন। তার বউয়ের আগুন ভালো লাগে না। আগুন জ্বলে কেবল কর্মরত থাকলে। কমিউন থেকে বেরিয়ে নিজেকে জ্বালিয়ে দেয়া। এদের এখনো সেই সুযোগ আসেনি। একইভাবে একইসাথে পাশাপাশি থাকতে থাকতে damp পরে যাচ্ছিল ওরা। বারুদকে দেশলাই আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু বারুদ ঝুরঝুরে হয়ে এদিকে সেদিকে ছিটিয়ে যাচ্ছিল। বেডরুমে চাদর গায়ে বুঝতে পারতো ওরা।

অগ্নিমিতা আবার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে চেয়েছিল ধুমা প্রেমে পড়ে। পারেনি কারণ সুযোগ পায়নি। চিৎকার, ঝগড়ার মাঝে দুম করে ঝাপিয়ে পড়ে চুমু খেতে চেয়েছিল, এর ওর ঠোঁটে বারুদ লেগে থাকুক চেয়েছিল। বারুদ হয়ে আগুন এ শুয়ে সোহাগ করতে চেয়েছিল।

অগ্নিস্নাত আর অগ্নিমিতা কোন এক দারুণ গরমে প্রেমে পড়ে গেছিলো। দুজনেই আগুনে পুড়ে প্রেম করতে চেয়েছিল।

আগুন না মেনে নেওয়া সম্পর্কের উত্তাপ, সামাজিক চাপ, অনেক কিছু জানতে পারার ভয় থেকে তৈরি করা হয়। নিষিদ্ধ বাতাস আগুনকে লালন করে।

একদিন অগ্নিস্নাত আর অগ্নিমিতা ব্যাগ গুছিয়ে ভোর বেলা দিঘার বাসে উঠে পড়লো। একসাথে অনেক নেশা করেছে, আজ আগুন খেতে যাবে। delux বাসে গান চলছে: একটা দেশলাই কাঠি জ্বালাও, তাতে আগুন পাবে। অগ্নিমিতা শক্ত করে অগ্নিস্নাত-র হাত চেপে ধরলো। বাস রামনগর পেরিয়েছে।

জায়গাটা তাজপুর। এসি ঘর, জলের জগ আছে, দরজা খুললে ঝাউ গাছ, পাশের জানালায় একটা নোনতা গামছা মেলা।

অগ্নিস্নাত আলতো করে কাছে টেনে নিলো অগ্নি কে। অগ্নির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ও। নিশ্বাস ঘন হয়ে আসে। এসির শব্দ ছাড়া দূরে দুপুরে সমুদ্রের গর্জন।

পাথরে পাথর ঘষে আগুন লাগে। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আয়োজন শুরু হয়, অগ্নিমিতা আগুন হতে পারে, অগ্নিস্নাত তা বুঝতে পারছে। বুঝতে পারছে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে, যেকোন সময় দাবানল হবে।

অগ্নিমিতা এখন অসম্ভব সুন্দর লাগছে। চারদিক খুব উজ্জল আলোতে ভোরে উঠেছে। এখন সম্ভোগ হবে। অগ্নিস্নাত থরথর করে কাঁপছে।
অগ্নিসংযোগ হবে এবার কিন্তু অগ্নি কাঁদছে কেন না চোখ কয়েক ফোঁটা জল সরবরাহ করছে শেষবেলা?

এখন দুটো শরীর যতটা সম্ভব জাপটে আছে, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা, পিঠে আঙুলের আঁকিবুকি, শিহরণ শরীর জুড়ে।

হঠাৎ ফশ্ করে একটা শব্দ। আগুন লেগেছে। দুজনের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো, মুখ মিলিয়ে গেল আগুনে। হাতে হাত ধরেই আগুন খেলো ওরা। পিঠে আঁকিবুকি খেলতে খেলতে।

-------------- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ।

ঋনস্বীকার: " চাঁদ উঠেছে......" জয় গোস্বামীর কবিতার লাইন।

Thursday, April 20, 2017

| প্রত্যাখান |

| প্রত্যাখান |

বৃষ্টি এখন নামবে ঝেপে/
জলের চাদরে নে কান্না ঢেকে।

প্রচুর লোকে দেখছিল তোর ফুঁপিয়ে কাঁদা/
গড়িয়াহাটার মোড়ে।

------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| কাশ্মীর |

| কাশ্মীর |

রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ হলে উপত্যকার/
একুশের স্পর্ধা খতম জঙ্গি বেশে।

ভূস্বর্গের প্রতি ঘরে, স্পর্ধা লালন করলে পরে/
জনসংখ্যাই রাষ্ট্রকে জঙ্গি বানায়, দ্রহশেষে।

------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

মেলানকোলিয়া

মনখারাপি এ বর্ষাতি ভিজছে জিয়া /
বাড়ির ভিতর অসুখ এর নাম মেলানকোলিয়া।

-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
mayukhrghosh.blogspot.com

Monday, April 17, 2017

পয়লা যা কিছু ছিল/ আগামীর রোমন্থন এ থাক।

পয়লা যা কিছু ছিল/ আগামীর রোমন্থন এ থাক।
নতুন বছর নতুন কিছু পাক!

বাঙালির কি গল্প কম পরিয়াছে? না পরিলে যে বাঙালি ভাঙা চা এর ঠেক এ গল্পের গরু গাছ এ ওঠাতো, তারা সেই গরুকে মাতৃরুপে দেখতে পেল কবে? এরপর তো পাঁঠা বাবা, ইলিশ বোন হবে। বাঙালি বাঁচবে কি নিয়ে? স্মৃতি মন্থন?

পুরোনো শাড়ির আঁচলে নেপথোলিন এর গন্ধ ছিল। আজ রেস্তোরাঁ থেকে ঘুরে আসা গন্ধ থাকে। কারো শাড়ি তো কেবল স্মৃতি বেঁধে রাখে। মানুষটা কবেই ওপাশ ফিরে শুতে যায়। চাদর হিসাব রাখে চোখের জল।

যে ছেলেটা প্রতিবার প্রেমিকাকে ট্রেনে ছাড়তে গিয়ে ফ্যলফ্যল করে তাকিয়ে থাকে ট্রেনটা মিলিয়ে না যাওয়া অবধি, তার জীবনে একটা নতুন গল্প আসুক।

যে মেয়েটি রোজ রাতে অফিসের খাটনি শেষে ঘুমিয়ে কাদা হয়, কিন্তু গভীর রাতে বর বাড়ি ফেরার আগে সজাগ, তার জীবনে নতুন কিছু ঘটনা ঘটুক।

যে বিচ্ছিরি শব্দ গুলো রোজ হেডফোন ভেদ করে কানে ঢোকে দুষ্কৃতী সেজে, রাস্তার পিচে তাদের কবর দেয়া হোক। কবর দেওয়া হোক হেডলাইটের আলোর দেখানো নগ্ন, চিৎকার করতে থাকা নারী শরীর, কবর দেওয়া হোক বুক নিক্ষেপ করে টিপ্পনী কলেজ থেকে বের হলে। নতুন নীল সাদা ল্যাম্প পোস্টে জেগে থাক, নতুন শব্দ ব্রহ্ম সিগন্যাল এ সিগন্যাল এ।

নতুন কিছু চাইলেই নতুন করে তা পাওয়া যায় না। পুরোনো জিনিস নতুন মলাটে আসলে তাকেও আগুনে শোধন করা হয়। ভয় লাগে মাঝরাতে ছুঁতে।

পরে থাকে প্রতি বছর তৈরি হওয়া এক একটা বছর দিয়ে বানানো এক নৌকা। কাঠের জায়গায় বছর এ পেরেক ঠুকে তৈরি এক নৌকা।

কাঠের মতো বছর ও নষ্ট হয়, পচন ধরে, তখন আর একটা বছর তাকে বদলে দেয়। বছরের পিঠে নতুন বছর চেপে নৌকা বাওয়া। ভূমিকম্পে নৌকার ও ফাটল ধরে।

নতুন সূর্য নৌকার ভিতরে ঢুকে পড়ে। সকাল সব বদলে দেয়। ক্যলেন্ডার এর পাতার মত।

ফ্লাইওভার এর নিচে চাপা পরা লাশগুলো উদ্ধার হওয়ার বেশ কিছুদিন অবধি নৈরাশ্য ছেড়ে নৈরাজ্য নিয়ে বাতেলা করছিলাম, পরবর্তী কম্পন অনুভূত না হওয়া অবধি। ধন্যবাদ নতুন টপিক এলো।

আজ যখন কম্পন অনুভূত হয় শেষ চৈত্র সন্ধ্যায়, তখন স্টুডিও থেকে নিচে হাজার বাঙালিকে দেখছিলাম। তারা সবাই কম্পন খুঁজে বের করতে চাইছিল। কেউ কেউ বোধ করেছে, বাকিরা মাস হিস্টিরিয়া-যাপন করেছে।

এরপরে আবার নতুন করে যারা কম্পন অনুভব করেছে তবে নিরাপদ তাদের সংখ্যা বাড়বে। বাড়ছে নোটিফিকেশন এর ওজন। নতুন করে আবার সবাই safe হবে।

পয়লা যা কিছু ছিল,আগামীর রোমন্থন এ থাক।
নতুন বছর নতুন প্রেম পাক!

নববর্ষ জেগে থাকে সারারাত নিউজফিডে, নেশার গ্লাসে, সকালে কেরানি, রাতের কবির খালাসিটোলার ক্লাসে।

Wednesday, April 12, 2017

বিপ্লব = হনুমান এর বীর্যধারন না সানি লিওনিতে বীর্যস্খলন?

মুম্বাইতে যোগেশ্বরী স্টেশন এর থেকে একটু এগিয়ে একটা স্টেশন নতুন হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে রাম মন্দির। রেল এর দেওয়া নাম। আদর- ভক্তি-নেশা ধরানো নাম।

যোগেশ্বরী, বেহেরামবাগ এলাকাটি ৭০% মুসলিম প্রধান। এখানে দোকান এর নাম হয় ইলাহি স্টোর, ফ্ল্যাট এর নাম হয় অল্ মদত, অটোর পেছনে বিসমিল্লায়ে রেহমান এ রহিম। স্টেশন এর নাম রাখাই যেত হাজি আলি। হয়নি এবং এই নিয়ে কারোর কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারন স্টেশনটি হওয়াতে বহু মানুষ উপকৃত। পেছনে বিসমিল্লায়ে রেহমান এ রহিম লেখা সারি সারি অটো ভাড়া পাচ্ছে। চা এর দোকান, হালিম, কাপড়, কফি, বোরখা, মাফলার- সব সম্প্রদায়ের দোকানির জটলা।

কয়েক লক্ষ বার মানুষ গুলো রাম উচ্চারণ করে। এতটা পড়ার পর যাদের মনে হচ্ছে, সত্যি তো একটা আরবী নাম রাখা উচিত ছিল, তাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে মসজিদ নামক সেন্ট্রাল লাইন এ একটি স্টেশন দীর্ঘকাল ধরে আছে। গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে স্নান করে, ভাত খেয়ে, তিলক কেটে অনেক লোক তাড়াহুড়ো করে মসজিদ যায়। রোজ মসজিদ যায়। সেখান থেকে কাজে। ব্যাবসায়। ধান্দায়।

আম্মি বলেছিল, ধান্দার থেকে বড় কোন ধরম নেই। আর তাই ৯২' এর দাঙ্গা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল, কিভাবে এক সম্প্রদায়ের গাছের ডাল কাটলে আদপে গাছটাই রুগ্ন হয়ে পরে। অর্থনীতিতে ধস নামে। যেভাবে আধাসেনা নামে অলি তে গলিতে দাঙ্গা হলে। এক বুক অবিশ্বাস আর যত্নে রাখা ঘৃণা গৃহবন্দি তখন।

বাংলাতে এখন রাম, হনুমান নিয়ে মিছিল এর হিরিক পরেছে। ফেসবুকে জিফ ফাইল এ সবার বুক চিড়লে হনুমান বা রাম বেরোচ্ছে ইদানীং। হাতে ত্রিশূল, তরোয়াল। গদা বা তির ধনুক চোখে পরছে না। ওগুলোই তো রামায়ণ এ সাক্ষী ছিল বোধহয়।

টিভিতে দেখলাম প্রচুর তরুন, সদ্যযুবক, স্লাইট ধেড়ে যুবক অস্ত্র হাতে। তা নিক গিয়ে। অস্ত্রের প্রতি নেশা মা বাবাই ছোটবেলায় ধরিয়ে দেয়। ক্যাপ বন্দুক, জিআইজো, শব্দ করা স্টেনগান, ডাব্লু ডাব্লু এফ।সে আলোচ্য নয় এখানে। হলেই মহরম এর তুলনা টানা হবে। যেভাবে ইদানীং একটা খারাপ জিনিস ঢাকতে আর একটা খারাপ সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয় বা চৌত্রিশ বছরের উদাহরণ বা কিছুতেই যুক্তি তে না পারলে- সিয়াচেন ম্যে হামারে জাওয়ান মর রহে হ্যায়।

যে ছেলেগুলো বাংলাতে অস্ত্র হাতে হিন্দুবীর সাজছে তারা কেউ পুজো আচ্চাতে নেই। হনুমান এর বীর্যধারন না সানি লিওনিতে বীর্যস্খলন তারাই জানে। কিন্তু তারা একটা জিনিস বুঝেছে।
দুবার জয় শ্রীরাম বললে আর বিনি পয়সায়, উইদাউট কেস তরোয়াল হাতে রাজপথে ঘুরলে যদি চাকরি জোটে ক্ষতি কি?

এতে ধর্ম নেই। চাকরি পাওয়ার জীভ ঝোলা অর্গাজম আছে। বাবার কারখানা বন্ধ, ঘরে আধ পেটা খেয়ে থাকার পর মনোরঞ্জন এর ডোজ আছে। কলেজ এর পর ইট বালি সিমেন্ট এর সিন্ডিকেট এ না ঢুকতে পারার হতাশা আছে। ওটাই প্রধান শিল্প।

এই ছেলেগুলোকেই ব্রিগেড এ লাল পতাকা ধরতে দেখেছিলাম। এদেরকেই পরিবর্তন চেয়ে দেব এর সাথে পাগলু ডান্স করতে দেখেছিলাম। এরাই এবার অস্ত্র হাতে। জয় সিয়ারাম। জয় সিয়ারাম।

রাম আজ ও এদের বোতল বন্দি। নয় ছয় করে ১৪০ হাতে এলেই একটা পাঁইট। সাথে ছোলা, গরুর কিমা, শুয়োর ভাজা, জলজীরা, মারোয়াড়ী হাওয়া ঢোকানো রকমারি নোনতা। সব পাঁচ টাকা।এলাহি!

বাঙালি হিন্দু হাফিজ এর রেওয়াজি খাসি তে আছে, আসমার বিরিয়ানিতে আছে, বিয়ের ভোরবেলা থেকে বিসমিল্লার সানাই এ আছে, এক থালায় ভাত খেয়ে কৃশানু- রহিম নবীর খেলায় আছে। সাবিনা রুনার গলায় আছে। পদ্মার ইলিশ এর কানকোয় আছে। বাঙালি খারাপ আছে।

ভয় হয় যদি ওই অস্ত্র গুলো সত্যি ব্যাবহার করে ফেলে বাঙালি।  যারা তেভাগাতেও শিল্প হবে বলেছিল তাদের বিরুদ্ধে, পরিবর্তন মানে পুরনো কারখানা খুলবে, নতুন কোম্পানি আসবে তাদের বিরুদ্ধে, ধর্ম  নিয়ে বেসাতি করে, গরুকে মা বলে আর গফুর চাচাকে শত্রু- তাদের বিরুদ্ধে।

আম্মি বলেছিল, ধান্দার থেকে বড় কোন ধর্ম   নেই। ধান্দা পানির লড়াই করার পালা।

এক হও। অস্ত্র শানাও।

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ময়ূরের বীর্য, হাইওয়ের বার আর কিছু যান্ত্রিক জজ|

জজ সাহেব বলেছেন ময়ূর এর চোঁখের জল আসলে বীর্য। যেরকম গরু আসলে মা আর পীঠস্থান এ অর্ধ শিক্ষা লো জিডিপির কারন।

জজ সাহেব রক্ত মাংসেরই মানুষ। উনি টিভি সিরিয়াল দেখেন, বউ এর খ্যাদানি খান, মাঝেমধ্যে ক্লাবে পান, চোঁয়াড়ে ঢেকুর তোলেন, বুক পকেটে নিজের প্রিয় বাবার ছবি রাখেন মোবাইল এর সাথে।

জজ সাহেবদের সাথে চোখে কাপড় বাঁধা ন্যায় মূর্তির কোন সাদৃশ্য নেই। পাওয়া যায় না। জজ সাহেব যাই বলুন না কেন তিনি সত্য। তিনি সুন্দর।

শেষবার বিস্ময় প্রকাশ করেছিলাম আদালত এর এক বিকট রায় শুনে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো রোধ করতে হাইওয়ের পাশের সব মদের দোকান তুলে দিতে। "জুতো আবিষ্কার" কেস আরকি।

আমার ফ্ল্যাট মুম্বাই এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে থেকে ২০০ মিটার দূরে। এই হাইওয়ে একদিকে যুক্ত করেছে মুম্বাই শহরকে আর অন্যদিকে চলে গেছে বরোদা, আমেদাবাদ অব্দি।

প্রায় ২০০০ লোক থাকে বিভিন্ন ফ্ল্যাট এ। এরা যদি মদ্যপান করে হাইওয়ে তে গাড়ি চালায় বা সোজা কোন গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় বা মাঝ রাস্তায় মাতলামি শুরু করে? আমার বিল্ডিং এ মদ্যপান নিষিদ্ধ হবে না?

জুতা আবিষ্কার এ গোটা পৃথিবী চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা হয়েছিল। এই দেশ এ দেখছি হাইওয়ের পাশে পুলিশ ভ্যান, কড়া নজরদারি, ব্রেথ এনালাইজার এর বালাই নেই। তথ্য ও প্রমাণ বলেছে দোকান গুলোই দোষী তাই দাও তুলে।

কানুন আন্ধা হ্যা জানতাম এখন দেখছি যান্ত্রিক ভি হ্যা। ঠাণ্ডা ঘরে বসে, ঠাণ্ডা গাড়ি চড়ে, লাল বাতি হেঁকে বিচার আসে। একে প্রশ্ন করা যায় না। খাড়া নেমে আসে মানহানি ও অবমাননার।

অথচ এ দেশেই তো আদালতের দীর্ঘশ্বাস থেকে খবর তৈরি হয়। ১২ বছর সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে জেল খেটে বেকসুর খালাস হয়ে যাওয়া, এক প্রভাবশালীর খুন এর বোঝা নিজের ঘাড়েচাপা ও জেল এ পচতে থাকা, রাষ্ট্রকে দেশপ্রেম সুখ দিতে ফাঁসিতে ঝুলে পরা। এ দেশেই তো দেখেছি। তবে কোন প্রশ্ন করিনি।

এ কানুন আন্ধা হ্যা। এ কানুন যান্ত্রিক হ্যা। এ কানুন এর ঘুমের ব্যাঘাত ট্রামের শব্দে হলে, ট্রাম খারাপ হ্যা। এ কানুন এর মেয়ে বিলেত ফেরত ট্রামডিপো তে সেল্ফি নিয়ে বাবাকে ট্যাগ করলে ট্রাম হেরিটেজ হ্যা।

মার্সিডিজ চেপে আইনজীবি আসলে এম্বাসেডর চেপে আসা কানুন বিব্রত করবেই। কানুন আন্ধা হ্যা। চোখ বুজে অল্প টাকার বান্ডিল নিলে সংবিধান বদলে যাবে না।

ঠান্ডা ঘরে রোবোটদের রাখা হয়। এদের চোখের চিপে কাপড় বেঁধে দিলেও তারা দেখতে পায় মাদারবোর্ড দিয়ে। ভারতের সমস্ত আইপিসি, সিআরপিসি আপলোড করে ডেটাবন্দি করে দিলেই কেল্লা ফতে হবে।

সুতরাং অবসর নেওয়ার আগের দিন সরকারকে তুষ্ট করে একটু ওকালতি করাই যায় গরু যাতে জাতীয় পশু হয়। সাথে ময়ূর এর যৌন এনালজি। চোখের জলে বীর্যস্খলন। এক ফোঁটাতেই কেস!

হাইওয়ে তে গাড়ির মধ্যে মেয়েটা কে রেপ করলো যারা, সতেরো বছরের যোনিতে লিঙ্গ, পাথর কুচি, জলের বোতল দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করলো যারা তারা নিষিদ্ধ হবেনা? বা নিদেনপক্ষে তাদের লিঙ্গটি বা গাড়িখানা? নাকাবন্দিতে দু হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার কসম এরা মদ্যপায়ী।

কিংবা কার ফ্রিজে কি মাংস রাখা আছে সেই অপরাধ এ পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি? গরুর সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে মেয়েগুলোর বিসর্জন দেওয়া জিন্দাবাদ।

যেই ভিনদেশী ট্রাক গুলো মানুষ পিষে কয়েক বছর জেল এর রুটি খেয়ে আসে, তারা বার এ বসে মদ্যপান করে না। তাদের জন্য হাইওয়ের পাশে লোক দাঁড়িয়ে থাকে। ঝোলা নিয়ে, মেয়ে নিয়ে, পুরিয়া নিয়ে। কানুন সব জানে। কারন পুলিশ জানে এদের। এদের ঘামের গন্ধ চেনে। তবে যে ছেলেটি মদ না খেয়েও, নিজের ভুল না থাকলেও পিষে মরে? কানুন অন্ধ কিন্তু বোবা হল কই?

বিবেক বুদ্ধি রক্ত মাংস বোধ ভাবনা- কানুন এর থাকতে নেই। থাকার মধ্যে রায় থাক। আইনরক্ষক, গাছ তলার মুহুরি, লক্ষ লক্ষ পেন্ডিং কেস সামলে রাখা কেরানির আয় আছে আর কনটেম্প এড়িয়ে চলা কিছু নিউজপ্রিন্ট।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ