কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Thursday, July 13, 2017

| তাজ এর ঝাড়বাতিতে শত্রুর খোঁজ |

| তাজ এর ঝাড়বাতিতে শত্রুর খোঁজ |

কি অদ্ভুত সমাপতন। বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা দিবস পালন হল মুম্বাই তাজ হোটেল এ। সাক্ষী থাকলো মুজিবর রহমান আর জামশেদজী টাটা। দুজনেই স্বপ্ন দেখতো।

একটা দেশ যেখানে প্রত্যেক দিন আত্মঘাতি হামলা চালাচ্ছে উগ্রবাদীরা আর সরকার তার জবাব দিচ্ছে দাঁতে দাঁত চেপে তার স্বাধীনতার দিন উদযাপন। ৫০,০০০ বাঙালীর রক্তের বিনিময়, বাংলা ভাষায় কথা বলার জেদের স্বাধীনতা।

আর একটা শহর যার মেরুদন্ড বার বার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা  করে উগ্রবাদীরা কিন্তু সে শহর আবার মাথা তুলে ব্যস্ত হয়ে যায়। এই হোটেল সাক্ষী। এই সিঁড়ি, ওই যে গলিপথ, বিলিতি ঝাড়বাতি, দেওয়াল এর ছবি। এরা সবাই মাথা তুলে আবার দাঁড়িয়ে।

অনেক খুঁজলাম দেওয়াল এ আর বুলেটের দাগ নেই। মেঝেতে রক্তের গন্ধ নেই। যেরকম মুজিব এর ছবি বসানো হয়েছে আজ। ১৫ আগস্ট এর রক্তপাত ঢাকার বাসাতেও তো নেই। তাজ থেকে বাইরে এলেই ইন্ডিয়া গেট তারপর আরব সাগর। ওখানে নৌকো চলে। নৌকো চেপেই মৃত্যু এসেছিল। ২৬ তারিখেই। দুটো দেশ। একই শত্রু।

একটা দেশ লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল, আর একটা দেশ আজ ও প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। তাজ, লিওপল্ট, লোকাল ট্রেন, উড়ি, বারামুলা। অর্থাৎ শত্রু তারাই। গোটা দেশ। নাকি নয়? স্বাধীনতা উদযাপন এ রুনা লাইলা এসেছিলেন। মহারাষ্ট্র এর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ এর স্ত্রী অমৃতা এসেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ তে লড়াই করেছেন এরকম ভারতীয় সৈনিক এসেছিলেন, বহু দেশের কুটনীতিবিদ এসেছিলেন।

রুনা দি নিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানটা ধরলেন। বলরুম এর কেতাদুরস্ত আদব, সাহেবিয়ানা, রাষ্ট্রগত শিষ্টতা তখন ভেঙে চুরমার। রুনা লাইলা দামা দম মস্ত কলন্দর/ আলি শাহবাজ কলন্দর গাইছেন। বাবা বুল্লে শাহ এর সেই বিখ্যাত কাওয়ালি। লাল শাহবাজ কলন্দর এখনো পাকিস্তান এ আছে। পাকিস্তান এর পাঞ্জাব প্রদেশ এর এই গান শাহবাজ কলন্দর এর দরগাতে এখনো গাওয়া হয় কিছু রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে।

এই দরগা বানানোর সময় ইরান থেকে শ্রমিক, লাল পাথর আর কিছু সুর এসেছিল। টাটারাও তো ইরান থেকেই এসেছিল। টাটাদের এই স্থাপত্য,তার দেওয়াল, ঝাড়বাতি, গোলাপ কাঠ এর দরজাতে আস্তে আস্তে বাবা বুল্লে শাহ হাত রাখছেন, মস্ত কলন্দর,মস্ত কলন্দর, মস্ত কলন্দর মন্ত্রচ্চারন এর মত গোটা হল পাকিস্তানি গান গাইছে। তাহলে শত্রু কে?

লাল শাহবাজ কলন্দর দরগাতে আগের মাসেই সন্ত্রাসবাদী হানা হয়েছিল। প্রার্থনা চলছিল তখনো। আর সন্ধেবেলা গান। তাহলে শত্রু কে? দুমুঠো ভাত জন্নতে গরুর ঝাল দিয়ে খাওয়ার স্বপ্ন দেখা মানব বোমা ওপারে না এপারে নৌকো থেকে নেমে হাসতে হাসতে মানুষ মারা যন্ত্র মানুষ যে ফাঁসির আগে বিরিয়ানি খেতে চায়?

অস্ত্র ব্যাপারীরাও খায় নিশ্চিত। যেরকম বাড়ি ফিরে মেয়ের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে ভাত খায় নেতা। বেওয়ারিশ লাশ বদলে গিয়ে হয় সন্ত্রাসবাদীর, সন্ত্রাস হানায় নিহত মানুষ এর স্তুপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জেলে পিটিয়ে মারা নাম। নির্দিষ্ট নাম। পদবী। শত্রু কে?

বাইরে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে গেটওয়ের দিকে। অনেক দূরে পাকিস্তানি বন্দর। ওখানেও কেউ গান গাইছে রুনা লাইলার। কেউ লুকিয়ে ছবি দেখছে শাহরুখের। দামি মোবাইল আছে ওদের। সস্তা ইন্টারনেট। অন্ধকার থেকে একটা গলা এল: জন্নত যাবি?  ভালো খাওয়া, কাপড় পাবি। তোর বিস্ফারণ এ মৃত্যু, আমার শত্রুতাকে জিন্দা রাখবে।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| মদ্যপ আবিষ্কার ও কিছু যান্ত্রিক জজ |

| মদ্যপ আবিষ্কার ও কিছু যান্ত্রিক জজ |

আমার ফ্ল্যাট মুম্বাই এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে থেকে ২০০ মিটার দূরে। এই হাইওয়ে একদিকে যুক্ত করেছে মুম্বাই শহরকে আর অন্যদিকে চলে গেছে বরোদা, আমেদাবাদ অব্দি।

প্রায় ২০০০ লোক থাকে বিভিন্ন ফ্ল্যাট এ। এরা যদি মদ্যপান করে হাইওয়ে তে গাড়ি চালায় বা সোজা কোন গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় বা মাঝ রাস্তায় মাতলামি শুরু করে? আমার বিল্ডিং এ মদ্যপান নিষিদ্ধ হবে না?

জুতা আবিষ্কার এ গোটা পৃথিবী চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা হয়েছিল। এই দেশ এ দেখছি হাইওয়ের পাশে পুলিশ ভ্যান, কড়া নজরদারি, ব্রেথ এনালাইজার এর বালাই নেই। তথ্য ও প্রমাণ বলেছে দোকান গুলোই দোষী তাই দাও তুলে।

কানুন আন্ধা হ্যা জানতাম এখন দেখছি যান্ত্রিক ভি হ্যা। ঠাণ্ডা ঘরে বসে, ঠাণ্ডা গাড়ি চড়ে, লাল বাতি হেঁকে বিচার আসে। একে প্রশ্ন করা যায় না। খাড়া নেমে আসে মানহানি ও অবমাননার।

অথচ এ দেশেই তো আদালতের দীর্ঘশ্বাস থেকে খবর তৈরি হয়। ১২ বছর সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে জেল খেটে বেকসুর খালাস হয়ে যাওয়া, এক প্রভাবশালীর খুন এর বোঝা নিজের ঘাড়েচাপা ও জেল এ পচতে থাকা, রাষ্ট্রকে দেশপ্রেম সুখ দিতে ফাঁসিতে ঝুলে পরা। এ দেশেই তো দেখেছি। তবে কোন প্রশ্ন করিনি।

এ কানুন আন্ধা হ্যা। এ কানুন যান্ত্রিক হ্যা। এ কানুন এর ঘুমের ব্যাঘাত ট্রামের শব্দে হলে, ট্রাম খারাপ হ্যা। এ কানুন এর মেয়ে বিলেত ফেরত ট্রামডিপো তে সেল্ফি নিয়ে বাবাকে ট্যাগ করলে ট্রাম হেরিটেজ হ্যা।

মার্সিডিজ চেপে আইনজীবি আসলে এম্বাসেডর চেপে আসা কানুন বিব্রত করবেই। কানুন আন্ধা হ্যা। চোখ বুজে অল্প টাকার বান্ডিল নিলে সংবিধান বদলে যাবে না।

ঠান্ডা ঘরে রোবোটদের রাখা হয়। এদের চোখের চিপে কাপড় বেঁধে দিলেও তারা দেখতে পায় মাদারবোর্ড দিয়ে। ভারতের সমস্ত আইপিসি, সিআরপিসি আপলোড করে ডেটাবন্দি করে দিলেই কেল্লা ফতে হবে।

হাইওয়ে তে গাড়ির মধ্যে মেয়েটা কে রেপ করলো যারা, সতেরো বছরের যোনিতে লিঙ্গ, পাথর কুচি, জলের বোতল দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করলো যারা তারা নিষিদ্ধ হবেনা? বা নিদেনপক্ষে তাদের লিঙ্গটি বা গাড়িখানা? নাকাবন্দিতে দু হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার কসম এরা মদ্যপায়ী।

যেই ভিনদেশী ট্রাক গুলো মানুষ পিষে কয়েক বছর জেল এর রুটি খেয়ে আসে, তারা বার এ বসে মদ্যপান করে না। তাদের জন্য হাইওয়ের পাশে লোক দাঁড়িয়ে থাকে। ঝোলা নিয়ে, মেয়ে নিয়ে, পুরিয়ে নিয়ে। কানুন সব জানে। কারন পুলিশ জানে এদের। এদের ঘামের গন্ধ চেনে। তবে যে ছেলেটি মদ না খেয়েও, নিজের ভুল না থাকলেও পিষে মরে? কানুন অন্ধ কিন্তু বোবা হল কই?

বিবেক বুদ্ধি রক্ত মাংস বোধ ভাবনা- কানুন এর থাকতে নেই। থাকার মধ্যে রায় থাক। আইনরক্ষক, গাছ তলার মুহুরি, লক্ষ লক্ষ পেন্ডিং কেস সামলে রাখা কেরানির আয় আছে আর কনটেম্প এড়িয়ে চলা কিছু নিউজপ্রিন্ট।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

চাপাতি-ত্রিশূল বনাম হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড

শ্রী চৈতন্যদেবকেও কোনঠাসা করা হয়েছিল অন্য ভাষা, অন্য ভাব, অন্য ভক্তির বীজবপন করার অপরাধে। এই চত্বরেই। তারপর তিনি আচমকাই নীলাচল এ গেলেন।

ইন্দিরা গান্ধীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও বাধা দেওয়া হয়েছিল ব্রাহ্ম সমাজ এর বলে।

আমি হিন্দু। আমার মুসলমান-খ্রিস্টানী বন্ধু ও আছে। আমার পাড়ার মন্দিরের সিন্নি ও আসমার গোস্ত দুই ভালো লাগে। আমি ভোরবেলার বীরেন ভদ্র নিয়ে যতটা উত্তেজিত ঠিক ততটাই ঈদের বিরিয়ানি নিয়ে। আমার মসজিদ ভাঙলে খারাপ লাগে, মন্দিরে মাংস ছুড়ে দিলেও।

আমাকে এটা আমার ধর্ম শিখিয়েছে। আমার ধর্ম মানুষ।

Mamata Banerjee আপনার পাশে আছি। কারণ শাস্ত্র মতে আপনার ঢুকতে বাধা নেই তবু রাজনীতি করা হল কারন আপনি চক্ষুশূল। তাদের যারা বাংলার সংস্কৃতি গুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছে।

যে মানুষ আমি কি খাবো,ওর ফ্রিজে কি থাকবে, তার হাঁড়িতে কি রান্না হবে তা দেখতে আসে না, তার পাশে থাকাটা এই সময় এ বেশি দরকারি।

চোরেদের ও পাশে লাগে বর্গী এলে দেশে। লড়াই টা চাপাতি-ত্রিশূল বনাম হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড গড়ার

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ঘুমপাড়ানি |

| ঘুমপাড়ানি |

দিনের ক্ষত,
আমি লুকিয়ে ফেলি চাদর এ/
রাত ঘুমপাড়ানি আদরে,
গল্প ঘুমোতে যায়।

দুপুরের শোক,
রাখা ছিল চিলেকোঠায়/
বালিশ ঘুমোতে চায়,
মিঠে রোদ খোলা চুলে।

গল্পের ঘুম পেলো,
এরপর এলোমেলো/
বাক্যাতীত।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ল্যাদ

সকালে জোমাটো থেকে অর্ডার দেওয়া লিট্টি চোখা, আচার, বেগুন আলু মাখা। এরপর ঘুম। উঠে ইউটিউব এ শ্যাম বেনেগাল এর নিশান্ত দেখা। ফের ঘুম।

স্নান, ভাত ডাল পাপড় খেয়ে ফের এসি চালিয়ে ঘুম। উঠে "হ্যাংলা" থেকে মোগলাই পরোটা তারপর সন্ধেবেলার তোড়জোড়। সে দীর্ঘ হবে মেহেফিল।

ঘোলাটে পানীয় ডাকছে আয় আয়। রাতে "পেটুক" নামক বাঙালি রেস্তোরা ডাকছে আয় আয়। ভাত, মুগের ডাল, ভাজা, রুই মাছ। আয় আয়। তার আগে চান। গরম এখানে। ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে থাকা। তারপর ভাত। গরম। এসিতে। থালার চারপাশে মাছের কাঁটা সাজানো থাকবে।

খেতে পারি। আমি খাবো। তবে খাওয়ার আগে একটা জেলুসিল চেবাবো। তারপর এক ভীষণ ঢেকুর।

ল্যাদ, এই সোনামণি ঢেকুর, ওই উপুর হয়ে ঘুমের জন্যই তো লড়াই কালি দা! আশেপাশের "অ"বাঙালি দের গাঁড়ল মাথায় ঢোকাবে কে?

এর পর সূর্য অস্ত যাবে

এর পর সূর্য অস্ত যাবে। সূর্য ডুবতে ডুবতে নিকষ হবে। খুচরো যেটুকু বা রোদ্দুর গীটার এর গায়ে লেগে আছে তা সন্ধে নামার আগের গান।

এখন রোদ্দুর এসে পরেছে গিটার এ। স্ট্রিং এ, ফ্রেটবোর্ড এ, ভীষণ বন্ধুতার গান এ। রোদের তাপে প্রেম ছিল নিশ্চই। নয়তো বা বিচ্ছেদ এর রিদিম এল কই?

আমার ফ্ল্যাট  এ একটা বিয়ার বোতল এ রংবেরং এর কাগজ লাগানো পিন হুইল আছে। ওটা আমার ছেলেবেলার। ফ্যান ঘুড়লেই স্মৃতি ঘুরতে থাকে। আমাদের কাজে লাগবে স্মৃতি রোমন্থনে। গান বাঁধা হবে চাপাতি উপেক্ষা করে।

এর পর সূর্য আস্তে আস্তে যাবে। সূর্য ডুবতে ডুবতে নিকষ হবে। থেকে যাবে মধ্যরাত অবধি খবরের শিরোনাম।

আমার ফ্ল্যাট এর নতুন অতিথি জিন্দাবাদ। অনেক গন্ধ জমা আছে। দেওয়াল এ দরজায় দেখা হবে।

প্রতিবিম্ব সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে অব্দি হাসছিলো, মিষ্টি একটা স্মাইল। সূর্য ডুবতে ডুবতে নিকষ হবে। হাসি লেগে থাক চার দেওয়াল এ।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

নিশিযাপন দিস

স্বেচ্ছায় সে বসেছিল পাশে/
ঈষৎ ঠোঁটে লাগিয়েছিল বিষ।

চোখের আঁচড়ে যে মৃত্যু পাওনা ছিল/
তার আদরের নাম নিশিযাপন দিস

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ছুট |

| ছুট |

মধ্যরাতে মুম্বাই ছেড়েছি। এখন ৬ ঘন্টা দূরে পাশের রাজ্যে। সুখা রাজ্যে।

এখন তপ্ত দুপুর। ভিতর থেকে বোঝা যায় তাপ জানালায় হাত দিলে। গরম ভাতেও হাত লাগাতে হয় তুলতুলে খাসির সাথ পেলে। এ খাসিতে পেপে ছিল, ঘি ছিল, পাতলা ঝোল ছিল আর ছিল বাঙাল বাঙাল গন্ধ।

বরোদা শহর নির্জলা থাকে, নিরামিষাশী এর শ্বাস প্রশ্বাস। এর নিশ্বাস জুরে ভুজিয়া আর ঘোল। বড়জোর ধোকলা। এর মাঝে ভাত, ডাল, লেবু, লংকা, পনীর আর শেষ পাতের রাজকীয় খাসি। হেমা মালিনীর গালের মত তুলতুলে, সানি লিওনির মত নেশাতুর, বাহুবলীর সমান পিস। এরপর ঢেকুর!

তপ্ত দুপুর। ভিতর থেকে বোঝা যায় তাপ জানালায় হাত দিলে। আমরা ক'জন এসির আস্তরনে আপাত গৃহবন্দি। এখানকার কুকুর গুলি ভারি রুগ্ন, হয়তো বা নিরামিষাশী। রাজকীয় খাসির অবশিষ্ট যা কিছু আজ ওদের জন্য।

এরপর সন্ধে নামবে। পকেটে পারমিট নিয়ে আমরা খুঁজে আনবো নিষিদ্ধ তরল। মেটে গিলে ম্যারিনেট করা আছে। হলুদ, রসুন,আদা, তেল, মরিচ বোলানো।

এসো শৈশবকাল আড্ডা রুক্ষ দুপুর শেষে। রোজনামচা থেকে ছুট।

----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| এই মেয়ে তোর কাপড় কোথায়? |

| এই মেয়ে তোর কাপড় কোথায়? |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

লাল ভালোবাসার রঙ।  লাল রজঃস্বলার ও রঙ। এই সময় কাপড় প্রয়োজনীয় হয়। পরিস্কার এক ফালি কাপড়। প্রয়োজনীয়।এই মেয়ে তোর কাপড় কোথায়?

বৃহত্তম গনতন্ত্রের অধুনা কর কাঠামো জিএসটিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন একটি সৌখিন দ্রব্য। অর্থাৎ দুধ, ওষুধ বা সিঁদুর এর মতো এটি নিত্য প্রয়োজনীয় বা আবশ্যক জিনিষ নয়।

অর্থাৎ সরকার বলতেই পারে মেয়েরা যেভাবে ছোট জামা পরে, ফ্রিল লাগানো অনলাইন এ অর্ডার করা একটুকরো কাপড় পরে বা মায়াবী সুগন্ধি কেনে, সেরকম।

রজঃস্বলা নারী দেবতার ও অরুচি। তাই দেবালয় এ ঢুকতে মানা। তবে বাঁকুড়া মেম পেজ এ মস্করা চলতেই পারে। যেরকম মাসের সেই দিন গুলোতেও ধর্ষণ চলতেই পারে। বা প্রবল পেটে,কোমর এ ব্যাথা হলেও অফিসে ওভারটাইম করতে হয়। বা মিনিটে মিনিটে ভয়। লাগা চুনরি মে দাগ।

এই মেয়ে তোর কাপড়  কোথায় প্রশ্ন করিস নি। যে রাষ্ট্র ট্যাক্স বসায় ঋতুস্রাব এ তাকে ছুঁড়ে মারিস নি 'সৌখিন' কাপড় খানা, ঘিনঘিনে তবে জবর হবে। সাদা পাঞ্জাবি রঙিন হবে। হাল্লা বোলে।

বাজার কবে চিৎকার করে ন্যাপকিন বিক্রি করবে? কবে ব্রান্ড এর নাম হুইস্পার এর বদলে শাউট আউট হবে!

কবে নেতা ন্যাপকিন বিতরন করবে ভোটের দায়ে? অবশ্য যেভাবে সাংসদ বিধায়ক পায়খানা বানিয়ে ও তাতে নিজের নাম খোদাই করে দেয়, তাতে এখানেও তাই হতে পারে। ক্ষতি নেই। রক্ত নাম ধুইয়ে দেয়। থেকে যায় যন্ত্রণা।

এটা লজ্জার নয়। এটা স্বাভাবিক। যেভাবে বমি হয়। যেভাবে আপনি প্রাতঃক্রিয়া করেন। স্বাভাবিক। প্রয়োজনীয়।

যে দেশে এখনো ১০% নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারে আর বাকিরা খোঁজে এক টুকরো কাপড় ইনফেকশন হওয়ার আগে, সেখানেই তো সিঁদুর করমুক্ত হবে।

ঋতুস্রাব এর রক্ত কবেই বা পুরুষ সিঁথিতে মাখিয়েছে?

©--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| জামাই-ঢেকুর |

| জামাই-ঢেকুর |

-----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

রাম ঢেকুর বড় বেয়াদব জিনিস। সচরাচর তেলেভাজা খাইয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলে ওঠে।

কিন্তু জামাই ঢেকুর উঠাইতে শ্রম ও অধ্যবসায়, দুই লাগে। এতে তৃপ্তি আছে, আবেশ আছে হেঁশেল সাধনার, ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আছে।

শাশুড়িকে নিজে হাতে রন্ধন কার্য সম্পাদন করিতে হয় ও পাশপাশি এও নজর দিতে হয় যাতে জামাই আদরে আল্লাদে ঢেকুর তোলে। সর্টকাটে কোকা কোলা খাওয়াইয়া ঢেকুর তোলাইলে পয়েন্ট কাটা যায়।

বাঙালি জামাইগন ভাগ্যবান!! ধরে নিন একটি স্বপ্নিল জামাইষষ্ঠী। এসব জামাইষষ্ঠী জন্ম দেয় রাম ঢেকুর এর। হোক না স্বপ্ন।

ধরুন আজ আপিস হইতে আসিতেই আম, লিচু, কালো আঙুর, রাজভোগ, মাখা সন্দেশ।

এরপর ধরুন আইলো ভেটকি মাছ এর ফ্রাই, পিছন পিছন লেনিনের দেশ খ্যাত সুগন্ধি সোমরস।

তারপর ক্রমাগত মাছ ও মদিরা রিফিল হইতেছে।
মধ্যরাতে অনাবিল মুখে আসিলো সাদা ভাত, নারকেল দেওয়া মুগডাল, ইয়া বড় গলদা চিংড়ি, খাসির লাল ঝোল সমেত মাংস। একে অন্যের শরীরে ঘষাঘোষি করিলে এদের স্বাদ খোলতাই হয়।

এ প্রবল যুদ্ধ শেষে রনক্লান্ত যোদ্ধা যখন পায়চারি করিতেছে অস্বস্তি কমাইতে ও আশ্রয় খোঁজে এসির হাওয়ার, সহসা শাশুড়ি আসিলো দুশ্চিন্তামুখর হইয়া। ওটাই কিস্তিমাত।

বাবা এমা তোমায় ইলিশ মাছ দিতে একদম ভুলে গেছি গো! প্লেটে দিচ্ছি এমনি খেয়ে নাও।

ফ্যান এর দিকে তাকাইয়া জামাই কিরকম উদাস হইয়া গেল। একটি মঙ্গলসূচক ঢেকুর উঠিল। গাম্ভীর্যপূর্ণ কিন্তু আদরের।

বেঁচে থাক জামাই আদর। সিঁথিতে অক্ষয় থাক স্বপ্নিল ঢেকুর গুলো তৃপ্তি মাখা।

©------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| শুভ জন্মদিন মা |

| শুভ জন্মদিন মা |

সেই কবেকার আদরমাখা গাল/
ছেলেবেলার লুকোচুরির শেষ।
এখন ছেলের প্রবাস জুরে আছে/
মায়ের আঁচল হলুদমাখা রেশ।

সেই রোজকার বকাঝকা নেই/
এখন রোজনামচা জরুরি ফোনকল।
জন্মদিনে উইশ করতে যাব
ফোন তুলেই, কেমন আছিস বল!

Mummies উইল রিম্যেইন Mummies!

--ময়ূখ
Sutapa Ray Ghosh

| বর্ষা বাড়ি |

| বর্ষা বাড়ি |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

বর্ষা এলো বম্বে জুরে। অঝোর। সারা রাত। সকাল ও। কাল রাত থেকে এসেছে সাদা হয়ে।আমার জানালার গ্রিলে, ওই যে কাপড় মেলার দড়িতে, কাঁচে, কব্জাতে, রঙ চটে যাওয়া প্লাস্টিক এর ক্লিপে।

ভোরবেলা থেকে শুয়ে আমার ঘর আগলে ছিল। এখন ভিজে আছে চারপাশ। এক বৃষ্টিজলের পিঠে আরেক বৃষ্টিজল।

আমাদের শোয়ার ঘরের জানালার ঠিক ওপরে এসি আউটলেট এ দুটো পায়রা থাকে। আজ ওরা বড্ড জুবুথুবু।

তিনটে পুচকি গাছ কিনে এনেছিলাম। পাতাবাহার, টগর আর এলোভেরা। ছোট্ট পাতা, গুটলি গুটলি চোখে চেয়ে থাকতো। অনেকটা মাটি জুরে মুখ বাড়িয়ে থাকতো আমি অফিস যাওয়ার আগে। অনেক রাতে বাড়ি ফিরলে একবার চোখ খুলে দেখে নিত। আর কার্বন দীর্ঘশ্বাস এ ছাড়তো।

ইদানীং বড় হচ্ছিল। চোখে মুখে আকাশ ছোঁয়ার স্পষ্ট ছাপ ছিল। আজ দেখি অনেকাংশ সবুজ বেশী, বড় হয়েছে, বেশ লাগছে।

দূরে একটা ফ্ল্যাট বাড়িতে একটা ন্যাংটো বাচ্চা খালি গ্রিল বাজাচ্ছে বৃষ্টি পেয়ে। আর এক ফ্ল্যাটের আলুথালু বউদি দেখছি মেলা কাপড় তুলে নিতেই ব্যস্ত। রান্না চাপানো আছে বোধহয়। আতপ চাল খায় ওরা।

এই সময় সব শব্দ স্পষ্ট শোনা যায়। ঝমঝম ঝমঝম ক্রমাগত। এবার রান্নাঘর এ কৌটোয় চাল তোলার শব্দ শোনা যাবে, ডাল এ কাঁকর বাছার শব্দ ও। চপ বোর্ড এ আলু, কপি, পেঁয়াজ ছুরি দিয়ে কাটার শব্দ। কান পাতো গ্যাস জ্বালানো শব্দ শুনতে। চাপা ধুপ করে একটা শব্দ। পেঁয়াজ রসুন মিহি করার শব্দ। কড়াই ওভেন এ রাখলে কোন শব্দ হয়না। মিঠে শব্দ হয় মশলা তেল এক সাথে এলে। ঝমঝম ঝমঝম ক্রমাগত ঝাঁঝ। আজ খিচুরি হবে।

ঘরে অনেক কাপড় মেলা এখন। বাস্প প্রচুর চার দেওয়াল জুরে। এসব রবিবার খিচুরি, মামলেট, আনুষঙ্গিক ভাজা খেয়ে বর্ষা ঘুমের। একপাশ ফিরে বালিশ এ মাথা দিয়ে আরেক কান দিয়ে বৃষ্টি আওয়াজ শোনার।

এ শহর বছর এ চার মাস বর্ষার মঙ্গলকাব্য শোনে। আজ সেরকম এক দিন। মেঘলা। বাড়িতে বন্দি থাকার। সারাদিন।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

উথালপাতাল শহর জোড়া ঢেউ

উথালপাতাল শহর জোড়া ঢেউ /
মেঘ বসেছে ফ্ল্যাট বাড়িদের গায়।

ছাতার নিচেই নগরযাপন হবে/
কংক্রিট ও তো বর্ষা হতে চায়।

-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

বম্বে, মেরিন ড্রাইভ ২০১৭

ভারত পাক যুদ্ধং হেব্বি

| ভারত পাক যুদ্ধং হেব্বি |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আজ রবিবার।  আকাশ আংশিক মেঘলা। রোদ্দুর যেটুকু তাতে বারুদ বারুদ গন্ধ। আজ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হবে। বাইশ গজ এ পারমানবিক বিস্ফারণ হবে দেশাত্মবোধের।

আজ দিকে দিগন্তে ভারত আমার ভারতবর্ষ এড্রেনাল রাশ। বদলা নেওয়ার শপথ চ্যানেল  এ চ্যানেল এ। এক একটা ডেলিভারি মোক্ষম চাল পাকিস্তানকে পৃথিবীর ম্যাপ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার। প্রতিঘাতততততত!!!!!!!

কোন সালে কতগুলো ভারতীয় মেরেছিল পাক সেনা, কতগুলো বুলেট লেগেছিল মুম্বাইবাসীদের মেরুদন্ডে, কটা সেনার কাটা মুন্ডু সাক্ষী ছিল পাক হিংসার- আজ গুনতি হবে। প্রতি ওভারে। আমরা হিসেব রাখবো পকোড়া খেতে খেতে।

আজ বউদের বড় ব্যস্ততা। এ যুদ্ধে সেবাদাসী তারা। পুরুষ সিংহ তাঁর বন্ধুদের বাড়িতে ডেকেছে। বোতল বোতল দেশাত্মবোধ ঢালা হবে, সাথে আদর করে ভাজা পকোড়া, এক বুক রাগ, রাতে জেলুসিল।

বাজার থেকে দরদাম করে রেয়োজি খাসি আনা হচ্ছে। মালের দোকানে দোল এর দিন এর মত লাইন। পেঁয়াজ, রসুন,আদা, দই এর প্যাকেট, দেশাত্মবোধের পুড়িয়া। জাতীয়তাবাদী তেল এ রাঁধুন, উপরে ছড়িয়ে দিন কাশ্মীর হামারা হ্যা অহমিকা। স্বাদ খোলতাই হচ্ছে। বাজারের ব্যাগের ভিতরে লাজে রাঙা হুইস্কির বোতল। বউনি হবে সন্ধে নামার আগে। গেলাস বের করে রাখা।

আমার ফ্ল্যাট এর ওয়াচম্যান বৃদ্ধ মানুষ। সুরক্ষা কম, গল্প বলে বেশি। ৯২ এর দাঙ্গা দেখেছে, ৯৩ এর বম্বে ব্লাস্ট দেখেছে, ২৬/১১ দেখেছে। আজ বড় উসখুস করছে তিনটের আগে বাড়ি ফেরার। ম্যাচ দেখবে। জিতলে দারুন হাততালি আর সিটি দেবে। যেরকম বিএসএফ জওয়ানরা দেবে স্লোগান। ভারত মাতা কি জয়।

টিভির সামনেই এরা যুদ্ধ করে। মধ্যরাতে আয়নার সামনে বিপ্লব। এরা জানে সরকার আদপে চুলটিও ছিঁড়বে না প্রতিবেশীর। বিরয়ানী খেয়ে আসবে, বিদেশে হাত মিলিয়ে আম্মির খবর নেবে। প্রশ্ন করলে চুপ করিয়ে দেবে- সিয়াচেন মে হামারে জওয়ান মর রহে হে।

এ অভিশাপ আমাদের। রক্ত আমাদের হাতে লেগে। ক্ষত দেশ ভাগের স্মৃতিতে। এখানে আর কোন উপায় নেই টিভির সামনে বিপ্লব করা ছাড়া।

যাদের একজন ও কাশ্মীর এ গুলিবিদ্ধ হয়নি, যাদের স্ত্রী দাঙ্গার আগুন এ গনধর্ষিতা নয়, যার বন্ধু ২৬/১১ তে নিহত নয়,তাদের আজ মউকা মউকা!

আয়নার সামনে অসহায় যুদ্ধরত। এক সন্ধে আচ্ছে দিন। বাদ বাকিতো জাতীয়তাবাদী উচ্ছাস এ পিটিয়ে মারা, মুদ্রাবন্দি ভারত ও চুলবুল চুলবুল ধুম ধারাক্কা। হু হাঃ  হু হাঃ!

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ভিজতে শিখছে ধুসর কলকাতা

মাছের বাজার ইলশেগুঁড়ি ভীড়/
শহর দখল রামধনু সব ছাতা।

বৃষ্টি মেঘে চরৈবেতি হবে/
ভিজতে শিখছে ধুসর কলকাতা

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| সিঁদুর ধোয়া বৃষ্টি ভিজবো চল |

| সিঁদুর ধোয়া বৃষ্টি ভিজবো চল |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

একটু আগে বৃষ্টি হল খুব/
সাবধানী প্রেম ছাতার আস্তরনে।

কথায় প্রথম ভিজতে শিখিয়ে ছিলি/
বুঝিয়েছিলি আগুন ছোঁয়ার মানে।

এখন আগুন জ্বলতে থাকে রোজ/
ছাতার নিচে একলা বাসস্থল।

আবার কি আজ মনখারাপি হবি?
সিঁদুর ধোয়া বৃষ্টি ভিজবো চল।

©- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| বিক্রিত করিয়া মুখ, গন পেটাইতে বড় সুখ |

| বিক্রিত করিয়া মুখ, গন পেটাইতে বড় সুখ  |

-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আমরা কমবেশি সবাই গন পেটাতে ভালোবাসি। টিভি থাকুক বা না থাকুক।  একজন গর্ততে পরে থাকতে দেখলে, আচ্ছা করে পেছন, সামনে, খচ্চরের মত মেরে দিই। এতে খারাপ কিছু নেই। সবজান্তা কাক বা দেশপ্রিয় নায়ক এতে খারাপ কিছু দেখে। যেরকম বাম, ধর্ম নিরপেক্ষ নেতার মেয়ে মুসলিম কে নিকা করলে চাপকানো জরুরী।

কোন দোষ না করলেও কিছু মানুষের মুখ দেখলেই খিস্তি করতে ইচ্ছে করেনা? বা কোন মেয়ে কে অযথা হয়রানি করতে?  বস্ হয়ে?  সুযোগ বুঝে ভিড় বাসে নরম পেছনে হাত দিতে?  জানি মাংসের পিন্ড, তবে নিশ্চয়ই আলাদা অনুভূতি,  নয়তো ইচ্ছে করেই বা কেন ।

আখ্লাক বা জুনেইদ নামক মুসলমান লোকটিকে যারা পিটিয়ে মারল তারা সবাই পূজো করে? যারা আমার ছেলেবেলার বেকবাগান এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে তসলিমা দাহ করেছিল, তারা কেউ তার বই পড়তে শিখেছে? আমি কিন্তু ইয়াসমিন এর সাথে গোস্ত খেয়েছি।

আপিস ফেরত বাবারা ও শোষন এর শিকার বুঝি । নয়তো ছেলেদের ওরম ধোলাই দেবে? নিশ্চয়ই মাসের শেষ এদিকে শালার বিয়ে। ওদিকে মিউচুয়াল ফান্ড এর টাকা বাকি। মার শালা ব্যাট দিয়ে।

কোনদিন এক আফ্রিকার তানজেনিয়ার মেয়ে কে উলঙ্গ করে, তার গাড়ি তে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। তো একদিন মুসলিম এক লোককে কেবল মুসলিম বলে মারা হল। কোনো কারণ ছাড়াই । গরুর মাংস খেয়েছিল হয়তো।

আচ্ছা আমরা কি এর সমালোচনা করতে পারি?  আমরা তামিল, তেলেগু  সব ঘেঁটে ঘুঁটে সাউথ ইন্ডিয়ান বানিয়ে দিইনি?  বা মনিপুর, অসম হোক বা মায়ানমার, এদের চিঙকি বলি না? মুসলমানিতেই আমরা একজোট হই।

আসুন রোগ প্রতিরোধ করি এবার । রোগী কল্যাণে নিউজ প্রিন্ট প্রচুর খরচ হল।