কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Monday, August 22, 2016

| সব চিনার কাল্পনিক |

| সব চিনার কাল্পনিক |

ভেবে নিতে হবে একটা রাত/
রাত এর পিঠে রাত।
বুলেট এর শব্দ মাখা যে রাত/
দেহ গুলো বহন করে আনে।

এসব রাতেই ঝিলাম নদীর পার ভেঙে/
জন্ম নেয় জরুরি ক্ষত, প্রান্তিক অভিমান এর।
রাত এর পিঠে রাত চেপে লাশ, ঘরের দিকে ফেরে। দরজায় অপেক্ষারত আধ-বিধবা কিছু মা।
কবর খুঁজে খবর মেলে দ্রহের।
ভেবে নিতে হবে একটা গল্প।
রুপকথার গল্প, যেখানে চিনার এর গায়ে রক্ত মাখা নেই। উপত্যকার পুঞ্জিভূত রাগ যেখানে জন্ম দেয় সন্তুর।
এসো সেই উপত্যকার খবর নিই।
শীতের সন্ধেবেলা চলো চিনার গাছ পেরিয়ে/
বরফ ভেজা আলপথ ধরে এগিয়ে যাই।
ওখানেই আজ জমায়েত আছে নাকি।
নতুন দেশের। নতুন চিনার গাছের।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| শ্রীবৃদ্ধি |

| শ্রীবৃদ্ধি |
জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে কবেই/
ছুটি মানেই পাটায়া ইদানিং।
ছত্রাক পরা অ্যালবাম এ বেঁচে থাকে/
মা বাবার সাথে পুরি, দার্জিলিং।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ভিনদেশী |

| ভিনদেশী |
জীবন পাল্টাবো বলে শহর পাল্টানো /
যেটুকু পাল্টেছি তা রোদে, জলে কলকাতার।
চিলেকোঠার ছাদ, ঘুড়ির কৈশোরে আঁটকানো/
উচ্চাশার উড়োজাহাজ, খোঁজ রাখেনা তাঁর।
-------ময়ূখ ররঞ্জন ঘোষ

| অবস্থান |

| অবস্থান |
ঝুঁকে পরছিলাম, ঝুঁকি নিয়ে নিলাম ।
করা হোক না হোক, কথা দিয়ে দিলাম ।
দেখা যাক ই না......
দেখা যাক ই না, লাভ গুনবো না,
পথই পথ চেনাক, বাণী শুনবো না
চল তৈরি হই. .....

| জামাই-ঢেকুর |

| জামাই-ঢেকুর |
রাম ঢেকুর বড় বেয়াদব জিনিস। সচরাচর তেলেভাজা খাইয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলে ওঠে।
কিন্তু জামাই ঢেকুর উঠাইতে শ্রম ও অধ্যবসায়, দুই লাগে। এতে তৃপ্তি আছে, আবেশ আছে হেঁশেল সাধনার, ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আছে।
শাশুড়িকে নিজে হাতে রন্ধন কার্য সম্পাদন করিতে হয় ও পাশপাশি এও নজর দিতে হয় যাতে জামাই আদরে আল্লাদে ঢেকুর তোলে। সর্টকাটে কোকা কোলা খাওয়াইয়া ঢেকুর তোলাইলে পয়েন্ট কাটা যায়।
আমি ভাগ্যবান!!
আজ আপিস হইতে আসিতেই আম, লিচু, কালো আঙুর, রাজভোগ, মাখা সন্দেশ।
এরপর আইলো ভেটকি মাছ এর ফ্রাই, পিছন পিছন লেনিনের দেশ খ্যাত সুগন্ধি সোমরস।
তারপর ক্রমাগত মাছ ও মদিরা রিফিল হইতেছে।
মধ্যরাতে অনাবিল মুখে আসিলো সাদা ভাত, নারকেল দেওয়া মুগডাল, ইয়া বড় গলদা চিংড়ি, খাসির লাল ঝোল সমেত মাংস। একে অন্যের শরীরে ঘষাঘোষি করিলে এদের স্বাদ খোলতাই হয়।
এ প্রবল যুদ্ধ শেষে রনক্লান্ত যোদ্ধা যখন পায়চারি করিতেছে অস্বস্তি কমাইতে ও আশ্রয় খোঁজে এসির হাওয়ার, সহসা শাশুড়ি আসিলো দুশ্চিন্তামুখর হইয়া। ওটাই কিস্তিমাত।
ময়ূখ এমা তোমায় ইলিশ মাছ দিতে একদম ভুলে গেছি গো! প্লেটে দিচ্ছি এমনি খেয়ে নাও।
ফ্যান এর দিকে তাকাইয়া আমি কিরকম উদাস হইয়া গেলাম।
একটি মঙ্গলসূচক ঢেকুর উঠিল।
বেঁচে থাক জামাই আদর। সিঁথি তে অক্ষয় থাক ঢেকুর গুলো তৃপ্তি মাখা।
----------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| শুভ জন্মদিন |

| শুভ জন্মদিন |
চে আজ বৃদ্ধ হলেন নাকি?
বয়েস তো হল খাতায় অষ্টআশি।
প্রান্তিক প্রতিস্পর্ধা চে-তনায় জেগে থাক/
দিনবদলের দুঃসাহস এরা আজও বেঁচে থাক।।
-------------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| যেতে পারি কিন্তু কেন যাবোই |


আমরা সবাই ছেড়ে চলে যাই। কিছু না কিছু। যাওয়ার সময় হুজুক থাকে, তাগিদ থাকে। বেঁচে কুচে যা পরে থাকে, তা থেকেই যায়।
যেরকম চার পেগ খেয়ে বিল মেটানোর পরেও পরে থাকে মাংসের টুকরো, বিটনুন, কয়েকটা কাজু বাদাম। ওগুলো প্রত্যেকটা জরুরি ছিল, ভিষন গুরুত্বের ছিল। কয়েক ঘন্টার ফারাকে ডাস্টবিনে যাওয়ার প্রস্তুতিতে।
ছোটবেলায় দৌড়ে যেতাম। উষার মাঠ, শিবমন্দির, উষার স্টাফ কোয়ার্টার, কারখানার পাঁচিলের চারপাশে। বিকাল সাড়ে তিনটে থেকে গমগম করতো এলাকাটা। আমার কৈশোর। তখন চারধারে প্রচুর কাঁটা ফলের গাছ ছিল। ওগুলো এর ওর চুলে আটকে দিতাম। আর কুলের আচার খেতাম। কুলের বিচি থুঃ করে মুখের জোরে কতদূর যেতে পারে তার কম্পিটিসন হত।
সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব হত। তারপর সব চলে যেত। সব্বাই। পরে থাকতো একটা গোটা মাঠ হাজার খানেক ম্যাচের স্কোর কার্ড, শালপাতা আর ঝগড়ার গল্প আগলে। শিবমন্দির এ অবশ্য এক দারোয়ান কাম পুরোহিত ছিল। সে আজও আছে। পরিবার বিহারে, সে বয়সের ভারে নুব্জ। একদিন সেও চলে যাবে। উষার মাঠের শিবকে ছেড়ে বৃহত্তর দেব সংসারে। তখন শিবমন্দির এ নিয়ম করে ঘন্টা বাজাবে কে? ওর জন্য কান্নাকাটি করবে কে?
স্কুলের শেষ দিন ও তো হুজুগে কেঁদে ফেলা ছিল। একে অপরের স্কুলের জামায় বার্তা ছিল, scrap book এর অনুলিপি ছিল, লিপস্টিক এর স্মৃতি ছিল। কিন্তু সেই জামাও তো এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাজানো ছিল কলেজের জার্সি, মেডেল, সোস্যাল এর ছবি। স্কুলের ওই লেখালেখি করা জামাটা কোথায়?
স্কুলে ধুমা প্রেমে পরেছিলাম। কিসে কিসে যেন চুমু খেয়েছিলাম। স্কুলবাস, ট্যাক্সির পিছনের সিট, অটো, বৈষবঘাটার এঁদো গলি। হাফসোল ও। মনে হতো ইহার পরে জীবন বাকি নাই। আইসিইউ তে ঢুকে পরেছিল বেঁচে থাকার মানে।
আমার রাগ হতো। ছেড়ে চলে যেতে পারে কেউ ভাবতে ভালো লাগতো না। তবু তো যেতেই হত। যেভাবে মনের মিল নেই বলে এক অষ্টাদশীকে ছেড়ে গেছিলাম। ফোনে ওর কান্না শুনবো না বলে প্রিয় বন্ধুর নম্বরে divert করে দিতাম ওর কল। প্রতিরাতে।একদিন ছেড়ে চলে গেল কান্নাকাটি।
কলেজে যে ক্লাসরুমে বসতাম, তাও তো ছাড়তে হয়েছে। ক্লাসরুম একই আছে কিন্তু বদলে গেছে মুখগুলো। ওগুলো ও ছেড়ে চলে যায়। যেভাবে এসএফআই ছেড়ে যায় ইউনিয়ন রুমে থাকা লেনিনের এর ছবি, কালেকশন এর কৌটো।
আমার ভারি পছন্দের একটা ঠেক ছিল hardinge hostel। বিধানসরনীর উপর আমাদের সন্ধ্যা কাটতো বিহারী কাকুর সেদ্ধ ছোলা, চিপস আর master blend হুইস্কি সহযোগে। একদিন বন্ধুরা যখন ওই হোস্টেল ছেড়ে যে যার পথ বেছে নিল, ওই রাত জেগে ভূতের গল্প আর প্লাস্টিক এর গ্লাসে পানীয় আর ছাদের থেকে হাওড়া ব্রিজ চাপা পরে থাকলো রুম নাম্বার একশো আট এর চৌকির নিচে। ধুলো আর পুরনো নোটসের টুকরোর সাথে।
এভাবে এক এক করে এই শহরে থাকাকালীনই তো অনেক কিছুই ছেড়ে চলে গেছি। যখন শহর ছেড়ে দেওয়ার পালা, তখন কেন শক্তি আওরাবো? যেতে পারি আর চলে যাবোই।
কেন যাবোই তার ফর্দ রাজপথে বিছিয়ে দেবো। পৃথিবীর গাড়ি থামবে। আমি যাবো। পথে শিল্প আসেনা। গাড়ি থামে না। রাজপথ মেশে বিশ্ববঙ্গ সরনীতে।
এই শহরের গন্ধ কি ওই বৃষ্টি ভেজার পরে পাওয়া যায় না মায়েদের আঁচলে যে রান্নামাখা গন্ধ থাকে সেখানে মেলে? পূর্নিমার ঘোলাটে চোখে রাত জাগে প্রেমিক, খোয়াই জানে। কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত কিছু দীর্ঘশ্বাস পলিতে জমে।
এরা কেউ রাত বাড়লে আটকাতে আসেনি আমায়। বলেনি কপালে চুমু খেয়ে যেতে হবে না।
আমার শহর এর রঙ ধূসর। দেখতে বাদাম এর মত। চরিত্রেও তাই। বাদাম খেতে ভালো। খোসা ছাড়িয়ে খেলে সাদা আসল মন মেলে। এটা খেলে পেট ভরে না তবে খেতে ভালো, পুষ্টি ও মেলে অল্প। কিন্তু ধূসর এই বাদাম এর মতো শহরে স্মৃতিদেরই কর্মসংস্থান হয়। পেছনে গৌরব, সামনে স্থিতি। এর মাঝে, রাউন্ড এন্ড রাউন্ড, রাউন্ড এন্ড রাউন্ড ঘুরে চলেছি। কোন বৃদ্ধি পাবে না। মা কালির দিব্বি।
যেতে পারি কিন্তু কেন যাবোই তার কৈফিয়ত উগরে দিলাম। এবার চাঁদ ডাকুক আয় আয় বা রাতের কলকাতা। আমি যাবোই।
তবে যাওয়ার আগে একটা চুমু খাবোই। খেয়ে পাড়ি দেবো আরব সাগরপার। আমরা সবাই তো জাহাজের দলে নাম লিখিয়ে ছিলাম, আদার ব্যাপার সপ্নে ছিল কই?
---------------------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| পাশে থাকি এসো |

| পাশে থাকি এসো |
কঠিন সময়, হাতে রাখো হাত /
মৌলবাদীরা ভয় পাক।
হোক ব্যস্ততা তবু, পাশে থাকি এসো/
তুরস্ক বা গুলশন বাগ।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Monday, August 8, 2016

| প্রত্যাখান |

বৃষ্টি এখন নামবে ঝেপে/
জলের চাদরে নে কান্না ঢেকে।
প্রচুর লোকে দেখছিল তোর ফুঁপিয়ে কাঁদা/
গড়িয়াহাটার মোড়ে।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| বিলেত-ভাগ |

যাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের দেশ ভাগ করে কোটি কোটি উদ্বাস্তুর জন্ম দিল, তাদের সাধের 'বিলেত' আজ ভাগ হয়ে গেল উদ্বাস্তু ত্রাসে।
সত্য ম্যাকিয়াভেল, বড় বিচিত্র এই 'দেশ' ভেঙে দেওয়ার বজ্জাতি।
ছোট্ট আয়লান কুর্দিরা সমুদ্রপারে মৃত ঘোষণা হয় যেভাবে আমার দাদু তার দ্যাশের গপ্পো বলতেই থাকে আর একবার অন্তত পাসপোর্ট নিয়ে নিজের ফেলে আসা দেশের মাটি ছুঁতে চায়।
সব হারিয়ে ন্যাংটা, তলপেটে লাথি আর আধপেটা খাওয়া উদ্বাস্তুরা ওই দেখো দাঁড়িয়ে আছে। ভয় পাচ্ছেন নাকি বনেদি দালানের সোফায় বসে?
চাকরি,জমি,প্রেম,প্রতিপত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার ভয়?
‪#‎Brexit‬ ‪#‎Refugee‬
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| পাশে থাকি এসো |

কঠিন সময়, হাতে রাখো হাত /
মৌলবাদীরা ভয় পাক।
হোক ব্যস্ততা তবু, পাশে থাকি এসো/
তুরস্ক বা গুলশন বাগ।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| কৈফিয়ত |

এটা ভুল যে স্বার্থপরের মতো, ফের প্রেমে পরেছিলাম আমি /
আমার সব নষ্টামির কারন ছিলে তুমি।
এটা সত্যি, যে ফাঁকা বিকেলগুলোয় বদলে গেছিলাম আমি/
রাতে ঘরে ফিরে আসার অভিমান, কবেই বা করেছিলে তুমি। |
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ঈদ মুবারক |

আয়াত জানিনা, মন্ত্রচ্চারন করিনা/
দারুণ বর্ষার বিকেলে তুমি যখন চাপাতি তুলে নিয়েছিলে হাতে,
আমার হাতে ছিল গোলাপ গুলশনের/
তোমার বোনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।

যখন ভোরের আজান হতো,
আমরা শুতে যেতাম শোহাগ করে/
সিঁদুর লেপ্টে থাকতো কপাল ভরে,
শরীরে কান পাতলে শোনা যেত প্রেমের গল্প।
এতে ধর্ম ছিলনা,
এ ঠোঁট অন্য ঠোঁটের কখন যেন সীমান্ত পার হতো/
ওপারে ভোরের মেঘনা নদীর জল।
আয়াত জানিনা, মন্ত্রচ্চারন করিনা/
শাঁখের শব্দে সন্ধ্যা নামলে পরে,
তুমি লুকিয়ে টেলিফোন করতে আমায়/
আব্বা আসার আগে।
নামাজ সারা হয়নি কখনো,
লালনের গান মুখস্থ করতে হতো/
যেটুকু সময় পেতাম চিঠি লিখতে হতো।
যে চিঠি জঙ্গিবাদীরা মানব বোমা ভেবে ঘাবড়ে যেত/
চাপাতি ফেলে দিত নতজানু একদল আহাম্মক।
সশব্দে গুটিকয়েক আমরা,
আয়াত বা মন্ত্রচ্চারন করছি ভবিষ্যতের, ভালোবাসার।
ঈদের গুলশনে প্রচুর গোলাপ আজ/
এপার ওপার, আষ্টেপিষ্টে জাপ্টে ধরে আমরা।
মানবতা মুবারক হো!


------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| সোহাগ শ্রমিক |

গেলাস হিসেব রাখে,
রাতের পিঠে পুরুষ চাপে/
ট্যাক্সি থামে শোভাবাজার।
লালচে ঠোঁট ও কালশিটে হয়/
লাভ লক্ষ্মীর বীর্যক্ষয়।
প্রতি রাতে সোহাগ শ্রমিক/
ধর্ষিতা হয় বারোবার ।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| কাশ্মীর |

রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ হলে উপত্যকার/
একুশের স্পর্ধা খতম জঙ্গি বেশে।
ভূস্বর্গের প্রতি ঘরে, স্পর্ধা লালন করলে পরে/
জনসংখ্যাই রাষ্ট্রকে জঙ্গি বানায়, দ্রহশেষে।
------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ঘর জ্বালানি |

আগুনের স্বভাব খারাপ/
সব জ্বালানোর ফন্দি খোঁজে যখন তখন।
ঘর জ্বালানি আগুন বোঝে জ্বলার ক্ষত...
নষ্টামি সব ছাইচাপা থাক/
সামনে আসবে সময় মতো।
--------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| বঙযাত্রীর বোম্বে ডাইরি-৩ |

| সিনেমা হলে সিরিয়াল ব্লাস্ট, সিটের নিচে ধুলাগড় |

বম্বে একটা অদ্ভুত মায়াবী শহর। এর শরীর জুরে একরাশ গল্প ছাপা। এ শহরের সমস্ত কিছুতেই গল্প বুঁনে রাখা। সমস্ত দালান কোন ইতিহাস বহন করে চলেছে। সমস্ত রাস্তার নাম কোন উত্তরাধিকার সযত্নে বহন করে চলেছে। বা কোন গভীর ক্ষত। এ শহর সমস্ত টা দিব্বি নিজের মতো গল্পে বাঁচিয়ে রেখেছে।

আমি একা সিনেমা দেখতে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত। ভারি গায়ে লাগে মাল্টিপ্লেক্স এ ৫০০টাকা খরচ করতে একার জন্য। তাছাড়া ছোটবেলা থেকে সিঙ্গিল স্ক্রিন যে আমায় দারুন হাতছানি দেয়।

সিঙ্গিল স্ক্রিনে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার থাকে।সেখানে যে ফিল্ম দেখে স্ক্রিন ঝাপসা হয়ে আসে ও ফুঁপিয়ে কান্না ঝরে, সেই ছবি অসাধারণ।

অন্ধকার হলে, প্রজেক্টার এর দিকে একটানা তাকিয়ে থাকলে নাকি ম্যাজিক এর মতো টাইম মেশিনে চড়ে বসে যে কোন সময় নিয়ে আসা যায় সেলুলয়েডে।

আমার বাবা আমাকে প্রথম সিনেমা হলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় বান্টিতে। বান্টি একটি হলের নাম ছিল। ক্রমে গোটা এলাকার নাম হয়ে যায় বান্টি। নাকতলার পরের স্টপ। যেখানে হালে মেট্রো স্টেশন হয়েছে।
বান্টি তে জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র দেখি খুদা গাওয়া! তিন ঘন্টা অপলক দৃষ্টিতে মানুষগুলো তাকিয়ে থাকতো স্ক্রিনের দিকে।নেশা ওখানেই শুরু।

তখন আইনক্স ছিল না। থাকার মধ্যে আমার দুনিয়া জুড়ে ছিল বান্টি, মহুয়া, পদ্মশ্রী,মধুবন, মালঞ্চ। দক্ষিণ কলকাতার ছেলে আমি। আগাগোড়া গড়িয়া।

কাঠের চেয়ার, ঘুটঘুটে অন্ধকার হল, টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সিট দেখিয়ে দেওয়া, সস্তার টিকিট এ মার্কার দিয়ে লেখা সিট নম্বর, ইন্টারভ্যালে প্যাটিস। আমার এক নিমেষে হিপনোটাইস এর যন্ত্র ছিল সেলুলয়েড। 

আমার দারুণ লাগে সিনেমা হলের ওই ভোঁটকা গন্ধ। হলে ওই EXIT লেখা আর চারপাশের অন্ধকার। ওখানে নাকি সপ্তাহে সপ্তাহে স্বপ্ন দেখা যায়। স্বপ্নে নায়ক অমর হয়ে যায় আর হল মালিক নিঃস্ব।

বম্বে শহর এ আমার ভাড়াবাড়ির ঠিক পাশেই একটা দারুণ সিনেমা হল আবিষ্কার করেছি। দাদুলদা দের প্রিয়ার মতো ঝকঝকে তকতকে। দোতলার সিট ১৫০ টাকা। বম্বের তুলনায় সস্তায় পুষ্টিকর। 

প্রতি সপ্তাহে একটা ছবি বাঁধা। সাথে টুকটাক। আর বাকিটা ওই অন্ধকার ঘরটা। নেশার মতো। অফিসে আমার এই আবিষ্কার নিয়ে আজ কথা হচ্ছিল। আমাদের অফিসেই এক  প্রবীণ মারাঠি সাংবাদিক আমায় খুব স্নেহ করেন। শুনে টুনে বললেন, প্লাজা তে আমরা ও বহু ছবি দেখেছি। বাড়ি থেকে মারাঠি ছবি দেখতে যেতাম। তারপর আর যেতে পারিনা। পুরনো কথা মনে পরে, অর্ধেক শরীর উড়ে যাওয়া বন্ধুর কথা। 

আমি মাঝপথে থামিয়ে দিই। মানে? 

প্রবীণ মারাঠি ভদ্রলোক বলেন, বাবু, প্লাজা সিনেমা ৯৩' সিরিয়াল বম্ব ব্লাস্ট এর একটা টার্গেট ছিল। সিটের নিচে আরডিএক্স রেখে দেওয়া হুয়েছিল ওই অন্ধকার ঘরটায়। অন্ধকার হলে, প্রজেক্টার এর দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা লোক গুলো টের ও পায়নি। ম্যাজিক এর মতো সেলুলয়েডে বুঁদ হয়েছিল। ৫৩ জন মানুষ মারা যায় ওই বিস্ফারণ এ। প্লাজা সিনেমা তে।

প্লাজা তে লিওপল্টের মতো বন্দুক এর চিহ্ন স্বযত্ন রাখা নেই। রাখার মধ্যে প্রচুর পুরনো ছবির সিলভার জুবিলি, গোল্ডেন জুবিলি স্মারক। আর ভারি অদ্ভুত নেশাতুর চারপাশ। 

অন্ধকার ওই ঘর স্বপ্ন দেখায়। যারা ওই স্বপ্ন কে খুন করে, তারা কাপুরুষই। তাদের কোন মতবাদের দোহাই দিয়েই বিপ্লবী বা স্বাধীনতা সংগ্রামী বলতে পারবো না।

আমার রাজ্যেও এই ধরনের কিছু মানুষ ঢুকে পরেছে। যারা কিছু টাকার বিনিময় সিটের তলায় বোম বা নিচের পেটে বেল্ট বেঁধে উড়িয়ে দিতে পারে আমার সমস্ত স্বপ্ন। তারা আমার বন্ধু নয়, তারা গান ভালোবাসে না, ভালো গরুর মাংস কষা রান্না করতে জানে না। এরা ঘটনা চক্রে কোন নির্দিষ্ট ধর্ম মেনে চলে। বাকিটা খুব খারাপ কিছু গুরুর আয়াত। মানুষ এ মানুষ এ লড়াই করার ফতোয়া।

আমার দেশের চূড়ামণি ও অনেকটা এরকম। ত্রিশূল শান নিচ্ছে প্রতিদিন। কি জানি এর মাঝে আমাদের ছবি দেখা গুলো কবে প্রচন্ড বিস্ফারণ এর শব্দে লাশ এ বদলে যাবে। মুম্বাই এর প্লাজা তে বিস্ফারণ নাকি কোন মসজিদ গুড়িয়ে দেওয়ার বদলা ছিল। কিন্তু হাওড়া?

সিটের নিচে বোমা রাখা। টিক টিক টিক টিক হয়েই চলেছে। দিদি শুনতে পাচ্ছো? 

----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| বঙযাত্রীর বোম্বে ডাইরি- ২ |

□ পুরী □
বাংলার কিছু ঘরে একটা করে ছেলে অন্তত জন্মায় সমুদ্রে ফাঁড়া নিয়ে। এদের শুনেছি সমুদ্র মাঝরাতে ডাকে আয় আয়। সমুদ্র আর সেই ছেলেগুলো সারারাত ধরে জেগে থাকে।
অফিস থেকে যে ঘরটা মুম্বই শহরে আপাতত আমার থাকার জন্য দিয়েছে, তার চারপাশে সমুদ্র। আমার শোবার ঘর থেকেই পর্দা সরালে দেখা যায় মেরিন ড্রাইভ সহ গোটা আরব সাগর। এই মুহুর্তে আরব সাগর আর আকাশের মাঝামাঝি এক অদ্ভুত লালচে রঙ দেখতে পাচ্ছি। চারপাশে অসংখ্য উঁচু ফ্যাটবাড়ি আর তার চেয়েও উঁচু আশা আকাঙ্খা।
ওই ফ্যাটবাড়ি গুলো নিয়ে অনেক দীর্ঘশ্বাস এর গল্প জড়িয়ে আছে। এই গল্প গুলো টাউন থেকে যত দূরে এগনো যায় তত শোনা যায়। এই ফ্যাটবাড়ি গুলোতে নাকি বাথটবে চান করতে হয়, নাইট গাউন পরে বারান্দায় বসতে হয়, হাতে তিনটুকরো বরফ আর ষাট মিলি সিঙ্গল মল্ট এর গ্লাস। সামনে আরব সাগর।
আমার আপাদমস্তক মধ্যবিত্ততা। এসব এ বিব্রত বোধ করি। আমরা সেই শ্রেণীর অংশ যারা জুহুর সাতমহলাতে বসেও সমুদ্রে স্নান করার কথা ভাবি। দু তিন ঘন্টা লাফিয়ে ঝাপিয়ে ভেজা গায়ে তোয়ালে গলায় হোটেল ফিরে শাওয়ার এর তলায় স্নান করতে ভালবাসি। হোটেলের মুখে কল খুলে পা থেকে বালি ধুয়ে ফেলে ঘরে ঢুকতে হয় যদিও।
মুম্বইয়ের সমুদ্রের জল ঘোলাটে। শুনেছি তাই নাকি নেশার মতো লাগে রাতের আরব সাগর। নেশার ঘোরে নাকি অনেকে জলপরী দেখে ফেলে। মন্দাকিনীর মতো ডাগর আর ভেজা শাড়ি পরা। পা টা কেবল ল্যাজের মতো। প্রিমিয়ার পদ্মিনী গাড়িতে গিয়ে ওঠে। তার পর সোজা তাজ হোটেলের দিকে চলে যায়। শুনেছি ছাব্বিশ এগারোর রাতে খুব ভয় পেয়ে গেছিল। গার্ডরেল এর পিছনে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে সমুদ্রে ফিরে গেছিল। আশপাশে তখন বন্দুকের গুলির শব্দ।
আমি রোজ রাতে একবার এই বারান্দায় এসে দাঁড়াই। ন'তলা থেকে যদি কিছু দেখা যায়। যদি প্রচন্ড আওয়াজ করে কোন জলপরী আমাকে নিচে নামতে বলে?
একটা গোটা সমুদ্রের কোন গর্জন নেই। শান্ত ভাবে রাত জাগে। আর মাঝে মধ্যে কষ্ট হলে আছড়ে পরে। এই সমুদ্র নিজে কাঁদে, কেউ পাশে বসে কাঁদলে চুপটি করে আদর করে।
ভিষন রাতে ফেসবুকের নেশা দীর্ঘদিনের। সিগারেট ছাড়লেও এটা থেকে গেছে। অভিষার শেষের অপরাধ বোধের মত।
আজ ফেসবুকে একটা ছবিতে চোখ আটকে গেলো। কল্লোল দা একটা বিয়ার এর গ্লাস, এক খাবলা বালি আর অনেকটা সমুদ্রের ছবি দিয়েছে। ছবিটা পুরীতে তোলা। এসি ঘরে কোন এক গরমকালের ছবি। সমুদ্রের আওয়াজ পৌছয় কিনা কে জানে ওই ঘরে। আমি কিন্তু শুনতে পাচ্ছিলাম সমুদ্রের শব্দ। সাথে মেছো গন্ধ আর বিকট আওয়াজ। নেশার মত কিন্তু ছেলেমানুষি নেশা। ওই একুশটা লুচি চিনি দিয়ে খাওয়ার মত। আমার নাকতলার বাড়িতে রোববার গুলো যেরকম হতে পারে।
সমুদ্রের ধারে থেকেও কেন যেন ফেসবুক এর ছবিটা দেখে কপাল চিনচিন করে উঠলো। স্মৃতি থেকে তুলে আনা বেড়াতে যাওয়া। বাবার সাথে বিচে বালির রাজপ্রাসাদ বানানো, বোন কে বালির মধ্যে পুঁতে ফেলা, মায়ের চোরাবালির আতঙ্ক, বউকে ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে বাঁচানোর ভান করে জাপ্টে ধরে ডুব।
ফেসবুকে পুরীর ছবিটা, নিচে কমেন্টগুলো কিরকম যেন একটা মাথাটা ঘুরিয়ে দিল। আমি সোজা বারান্দায় এসে সমুদ্রের সামনে। এ সমুদ্রের কোন গর্জন নেই। শান্ত ভাবে রাত জাগে। আর মাঝে মধ্যে কষ্ট হলে আদর করে।
এখান থেকে পুরী অনেকটা। বালি চাপা দেওয়া আমার শৈশবের ঘুরতে যাওয়াগুলো ঢেউ এর ধাক্কায় জখম হচ্ছে। ওগুলোকে বালির রাজপ্রাসাদ এ সযত্নে রাখতে হবে। চোরাবালিতে হারিয়ে গেলে মায়ের দুশ্চিন্তা হবে।
.................ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| BREAKING: রবি ঠাকুরকে গনহত্যার মামলায় সমন |


তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই তুমি?
যেই প্রতাপে ঝলসে দিলে জন্মভূমি/
মধ্যবর্তী যেই বা আসলে খরকুটো,
শ্রাবণ মাসের বাইশে সমন মৃত্যু গুনি।

গুরুদেব প্রনাম। আপনার লেখা পড়ে বড়ই আনন্দ অনুভব করি। কিন্তু এই চিঠি লিখে আমি আপনার লেখা গান, কবিতা বা গদ্যের প্রশংসা করতে পারলাম না। আমি অপারগ।
এই লেখা মারফৎ আপনাকে সমন করা রবীন্দ্র সদন চত্বরে। একটি মৃতদেহদের আদালতে।
শ্রী রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, আপনি খুনি। আপনার বিরুদ্ধে IPC 301,302,306, 307 সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে কিছু মৃতব্যক্তি। জীবদ্দশায় তাদের মধ্যে কেউ কেউ কবি, লেখক, চিত্রকর হিসেবে পরিচিত ছিল।
আপনার হাতে যদি শতবার হাত ধোয়ার পরেও দোয়াতের কালি লেগে থাকে,তবে তা আপনার ভ্রান্তি। কলম বিলাস কখন ক্ষমতার উৎস হয়ে উঠেছে আপনি নিজেও জানেন না। ভালো করে গোল চশমা পরে হাত দুটো দেখুন। দেখবেন তাতে রক্ত লেগে কত অখ্যাত লেখকের। যারা আপনার তলায় চাপা পরে গেছিল।
অনেক দিস্তা কাগজ কলম খরচা করেও নতুন কিছু লিখতে পারেনি। প্রতি বছর প্রতি রাতে পায়চারি করেছে। যাই লিখতে গেছে, আপনি তা অনেক বছর আগে লিখে ফেলেছেন। বেচারা লিখে আবার কুচি কুচি করে সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে ঘরময়। কেবল সিলিং ফ্যান সাক্ষী ছিল ওর ব্যর্থতার। ওর না লিখতে পারা গল্পের। শেষে ওই সিলিং ফ্যানেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছিল ওকে।
যেভাবে সারাজীবন কেরানি হয়ে থেকে গেছিল কেউ কেউ কারন লেখক হতে চাইলেও নতুন কিছু লিখতে পারেনি। পারেনা।
আপনার সাথে আমার পরিচয় নিতান্তই বাড়ির চাপে। জোর করে মা দুটো গান আর তিনটে কবিতা মুখস্থ করিয়ে রেখেছিল। যেখানেই হোক, আউড়ে দিতাম। এতে শুনেছি মায়ের শান্তিতে ঘুম হতো।
এভাবে জোর করতে করতে একদিন কিছু কথার মানে বুঝতে শুরু করি। মানে বুঝে মন দিয়ে গেয়ে ফেললাম কিন্তু আপনার স্বঘোষিত স্তাবক-চ্যালার দল আমাদের ধমকালো। " বাবা, রবি ঠাকুরের গান রবিন্দ্রসঙ্গীত এর মতো গাও"!!!!
কিভাবে গাই। আমার তো WALKMan প্রজন্মে জন্ম। পরদেশী পরদেশী জানা নেহি গাইতে বেশি আনন্দ। এ আর রহমান আর চন্দ্রবিন্দু ভগবান। আপনি তো কেবল মা বাবার শাসন আর ইচ্ছেতে। আমার কৈশোরের সেই মুহূর্তগুলোর মৃত্যু আপনার কারনে।
গুরুদেব আপনি অজান্তেই বহু মানুষের, বহু প্রতিভা, বহু সম্ভাবনার অকাল মৃত্যুর কারণ। তারা আপনার তলায় পিষ্ট হয়ে থেকে গেছে রবীন্দ্র সদন এর গাছে, নন্দন এর পাচিঁল এ বা মোহরকুঞ্জতে । এদের সাধারণ মানুষ ভূত, দৈত্য বা পিষাচ বলে- আমরা বলি ব্যর্থ।
এরা এতটাই ব্যর্থ আর অপদার্থ যে পঁচিশে বৈশাখ এরা অদ্ভুতুরে কান্ড ঘটাতে পারে না, রবি ঠাকুর কে ভেঙে চুরমার করে একটা নতুন লেখা, ছবি, একটা গান গাইতে, লিখতে পারে না। ভয় পায়।
আজ বাইশে শ্রাবণ আপনি আসুন এই মৃত দেহ গুলোর সামনে। সালিশি হোক। আপনি কি সত্যিই গোঁড়া ছিলেন? আপনার মত লিখতে হবেই? গাইতে হবেই? একই বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে আপনার সুরে? না করলেই নাম খোদাই করে দেওয়া হবে কপালে- জর্জ বিশ্বাস?
হাজার হাজার মৃত কবি,লেখক, গায়ক আজ এসেছে আপনার কথা শুনতে। আপনি আসুন। আপনার ওজনে দুমড়ানো মোচড়ানো প্রতিভাগুলো একসাথে হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে। বুকে নতুন কিছু আইডিয়া, একটা কথার মোচড়, কিছু সুর ঠাসা বিস্ফোরক নিয়ে।
সেদিন বিধাতা একা রবেন বসে, নীলিমাহীন আকাশে, ব্যক্তিত্বহারা অস্তিত্বের গনিততত্ব নিয়ে।
তখন দূরে, দিগন্তে, অনন্ত, অসংখ্য, লোকে লোকান্তরে এ বানী হয়তো ধ্বনিত হবে। হবেই।
--------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ