সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কখন যেন বড় হয়ে গেছে। প্রস্টেট, হাঁপানি আর দাঁড়ানো' সর্বস্ব মাংস পিন্ড প্রেমে।
কখন যেন নিক্কো পার্ক এ বসে ভাগাভাগি করে ঠোঁট এ ঠেকানো স্ট্রবেরি আইসক্রিম বদলে গেল স্ট্রবেরি ফ্লেবার এ। কোল বালিশ জ্যান্ত হয়ে উঠলো পায়ের ফাকে।
গোলাপ ফুল যেটা বারান্দা থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিল ও, তা বই এর মাঝে থাকতে থাকতে চ্যাপটা এখন, সে ও তো এক কন্যার মা, মুখ এ এখন ও জেল্লা আছে আর আছে অফিস, মেয়ের স্কুল, পাড়ার মুদির দোকান করার মাঝে ব্লাউজ এর খোপে ঘাম।
আর্চিস এর দোকানের থেকে কবে যেন Zivame-র ডিসকাউন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল আর কৈশোর এর এফ-টিভির 'লিংগেড়ি' যে আসলে 'ল্যঞ্জরে' তা জানা গেল।
বেপাড়ার সিডির দোকান থেকে ভাড়া করা যৌনতা বেওয়ারিশ হল, ফাকা ফ্ল্যাট এ প্রথম একলা যাপন এ।
এরই মাঝে কলেজ করিডর এর চুমু খাওয়ার রোমাঞ্চ বদলে গেল 'দাঁড়ানো' সর্বস্ব মাংস পিন্ড প্রেমে। আমি তৈরি হলাম। ভ্যালেন্টাইন কে জাপ্টে ধরলাম, মুখে উপহার দিলাম এসিডদগ্ধতা।
আমি। আমারই মতো আমরা। এসিড এর টিপ ভালো না হলে তুলে নিয়ে গেলাম। কাছ থেকে হাতিয়ে হাতিয়ে ভ্যালেন্টাইন এর শরীর জরিপ করলাম, মাঝরাতে অনেক ভালোবেসে ছুঁড়ে দিলাম ধানক্ষেতে। ওখানে হেডলাইট এর আলো পৌঁছোবার ব্যবস্থা আছে। নগ্ন 'শলীল'।
ভ্যালেন্টাইন কখন যেন আমার সাথে বড় হয়ে গেছে। একদিন গোলাপ এ, বাকিদিন সংবাদ শিরোনাম এ, মুখ ব্লার করে ঘটনার সমস্ত বিবরন টানা ক্যামেরার সামনে দিয়ে যাওয়া এক অভিযোগকারিনী।
আমাদের ও হয়তো মেয়ে আছে বা হবে। ভ্যালেন্টাইন হবে। সন্ধে নামার আগে বদল আসবে কবে?
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment