রাম ঢেকুর বড় বেয়াদব জিনিস। সচরাচর তেলেভাজা খাইয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলে ওঠে।
কিন্তু জামাই ঢেকুর উঠাইতে শ্রম ও অধ্যবসায়, দুই লাগে। এতে তৃপ্তি আছে, আবেশ আছে হেঁশেল সাধনার, ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আছে।
শাশুড়িকে নিজে হাতে রন্ধন কার্য সম্পাদন করিতে হয় ও পাশপাশি এও নজর দিতে হয় যাতে জামাই আদরে আল্লাদে ঢেকুর তোলে। সর্টকাটে কোকা কোলা খাওয়াইয়া ঢেকুর তোলাইলে পয়েন্ট কাটা যায়।
আমি ভাগ্যবান!!
আজ আপিস হইতে আসিতেই আম, লিচু, কালো আঙুর, রাজভোগ, মাখা সন্দেশ।
এরপর আইলো ভেটকি মাছ এর ফ্রাই, পিছন পিছন লেনিনের দেশ খ্যাত সুগন্ধি সোমরস।
তারপর ক্রমাগত মাছ ও মদিরা রিফিল হইতেছে।
মধ্যরাতে অনাবিল মুখে আসিলো সাদা ভাত, নারকেল দেওয়া মুগডাল, ইয়া বড় গলদা চিংড়ি, খাসির লাল ঝোল সমেত মাংস। একে অন্যের শরীরে ঘষাঘোষি করিলে এদের স্বাদ খোলতাই হয়।
এ প্রবল যুদ্ধ শেষে রনক্লান্ত যোদ্ধা যখন পায়চারি করিতেছে অস্বস্তি কমাইতে ও আশ্রয় খোঁজে এসির হাওয়ার, সহসা শাশুড়ি আসিলো দুশ্চিন্তামুখর হইয়া। ওটাই কিস্তিমাত।
ময়ূখ এমা তোমায় ইলিশ মাছ দিতে একদম ভুলে গেছি গো! প্লেটে দিচ্ছি এমনি খেয়ে নাও।
ফ্যান এর দিকে তাকাইয়া আমি কিরকম উদাস হইয়া গেলাম।
একটি মঙ্গলসূচক ঢেকুর উঠিল।
বেঁচে থাক জামাই আদর। সিঁথি তে অক্ষয় থাক ঢেকুর গুলো তৃপ্তি মাখা।
----------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment