| শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে / দায় সারছি এই পোস্টটা দিয়ে |
পোস্তাতে ফের অটো চলবে। মিনিবাসে চিপটে, দম বন্ধ রেখে যেরকম অফিস যাত্রীরা চলে। চলতে চলতে আবার বেঘোরে চিপটে মরে, কাঁদে, মুখ চোখ মুছে ফেলে।
আর কোন দেহ উদ্ধার হয়নি। অর্থাৎ আর একটাও দেহ চাপা পড়ে নেই।
লাপ ডুপ শব্দ ও আর নেই। লাশকাটা ঘর সাক্ষী রেখে উদ্ধার কাজ এবারের মত শেষ।
ক্রেন গুলো সব বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদের আপাতত আর লাগবে না কাজে। ক্রেনের ঠোঁটে লেগে থাকা রক্ত আর ধুলো যেরকম ধুয়ে মুছে সাফ।

কলকাতা থেকে কলকাতা কোনদিন শিক্ষা নেয়নি। এতে কলকাতার অহংকার এ লাগে। যেরকম সেনাবাহিনীর আঁতে লেগে যায় পুলিশ কর্তার এক্তিয়ার সমঝানোতে।
একটি ফ্লাইওভার ভেঙে পরাতে জানা গেল কলকাতার ক্রিকেট প্রেম, সেই খেলায় হেরে গেলে কলকাতাবাসীর প্রতি ফেসবুকে জানান দেওয়া গভীর প্রেম।
একটু ফেসবুক এ, একটু ভাঙা কংক্রিটের পাশে সেলফি তুলে, একটু আন্তরিক রক্তদান শিবিরে - আমরা প্রত্যেকেই পাশে থাকতে চেয়েছি লাশকাটা ঘর এর বর্তমান বাসিন্দাদের।
কিছুক্ষন ভালো লাগে, যেরকম সস্তা ডিও-র গন্ধ থাকে। কিছুক্ষন। এরপরে শুরু হয় চিন্তা। যদি মুম্বইয়ের মতো একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় যেখানে বুলেট কথা বলে? সশব্দে!
আমরা ভাবা practice করতে করতে এত ভাবি যে reaction time দ্বিগুন করে ফেলি। তর্ক জুড়ে দিই চাপা পড়ে থাকা হৃদপিন্ডের উপর দাঁড়িয়ে। ভাবনচিন্তা, হুমরি খেয়ে পরা সহজাত।
আমরা আমাদেরই মতো। অনাবিল, গামবাট কিছু মানুষ হয়ে বুকনি ঝেড়ে বেড়াই। মাঝে মধ্যে LED তে গান চালিয়ে single malt খাই, বাকিটা সময় চিনি দিয়ে র চা।
রক্ত মাখা জামা কেচে দিয়েছে বউদি। রক্ত রাস্তার উপরে ও লেগে নেই। জল শোভনের অশোভন কিছু ভোতকা গাড়ি জল ঢেলে দিয়েছে। এখন পিচের উপর দগদগে ঘা। ঘা টা আসলে বোধহয় আমরা খেয়েছি।
নেকুপুসু জীবনের মধ্যে একটা jerk, একটা মৃত্যু ভয় আর অনেকগুলো বেঘোরে মরে যাওয়া লাশ যা নিয়তি, ভাগ্য শব্দ গুলোতে জোর দিতে বলে। বামমনস্ক বাঙালি লাল পতাকা ছেড়ে লাল তাগা বাঁধে, রোজ রাস্তার পাশে বটতলায় পয়সা ছোড়ে।
বাকিটা সময় বিশিল্পায়ন, অম্বল, বদহজম জনিত অসুস্থতা। আমি এই পোস্ট লিখে পোস্তার দায় ঝেড়ে ফেললাম, আপনারা ও ফেলুন। কাল থেকে ভোট শুরু। আসুন ভোট এ বাঁচি, ভয় এ বাঁচি।
চলুন নৈরাশ্য ছেড়ে নৈরাজ্য নিয়ে বাতেলা করি। পরবর্তী কম্পন অনুভূত না হওয়া পর্যন্ত।
----------- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment