এরপর আলো নিভিয়ে দেবে দোতলার বারান্দাতে সারা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল যে বৃদ্ধা।
লোকাল পুলিশ এর মেজোবাবু বাড়ি ফিরে গেলেন। রক্ত মাখা জামা কেচে দিয়েছে বউদি। কাল ফের ভোরবেলা পোস্তাতে ডিউটি।
যে সাংবাদিক সকাল থেকে শহর চোষে ফেলেছিল খবর খুঁজতে, কাল ভোর হতেই সে গিয়ে ভিরবে ধংসস্তুপ এ।
south কলকাতার যে সমস্ত মানুষের কেউ আহত বা মারা যায়নি, তারা সারা সন্ধ্যা খেলা দেখেছে, গলা ফাটিয়ে হতাশ হয়েছে ভারতের পরাজয়ে। সেখানেও আলো নিভে গেছে। ওরা ও শুতে যাবে।
দূরে কোন বাড়িতে সারাদিন miss করে যাওয়া খবর আর অর্ধমৃত ছবি গুলো দেখে নিতে বসেছে আপিসের বড়বাবু।
ডালহৌসি থেকে গিরীশ পার্কের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। যায়নি কারণ year ending এর জন্য খিস্তি মেরে ফাইল গুলো অফিসে পাঠিয়ে দিতে বলেছিল।
দুজন সরকার আর একজন বে-সরকার টানা দোষারোপ করে চলেছে। ফ্লাইওভার এর ঠিকুজি এদের মুখস্ত।
যারা অকুস্থল এর কাছাকাছি ছিল অথচ জীবিত ও ফেসবুক করতে সক্ষম সেইসব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এরা প্রতিদিন অনেক গুলো ফ্লাইওভার পেরিয়ে ফেসবুক করে। টানা ফেসবুক করে চলে।
রাতে অন্য কোন ফ্লাইওভার পেরিয়ে গিরীশ পার্ক এ disaster tourism করার সংখ্যা ও বাড়বে। যেরকম হাতে ব্যাগ, প্রান আর লিচি ড্রিঙ্ক খেতে খেতে শহরে ঘুরে বেড়ানো GDP -তে অন্তর্ভূত মানুষের সংখ্যা অনেক।
আজ রাতে বেশ্যা আর ভবঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শী। এদের আশেপাশে ভিড় আর চাওয়ালা জুটে যাবে। কেউ গল্প খাওয়াবে, কেউ চা আর লেড়ি।
মিলিটারি যারা দেখেছে কেবল টিভিতে, তারা আজ হুমড়ি খেয়ে সেনাবাহিনীর হাতুড়ি পেটা দেখছে।
বিশাল সব কংক্রিট এর গায়ে ধিপ ধিপ শব্দ/
সারারাত এখানে কাজ হবে। মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা লাপ ডুপ লাপ ডুপ লাপ ডুপ কিছু শব্দ।
হৃদপিন্ডের জন্য হৃদপিন্ড দিয়ে কাজ করার লড়াই আজ রাতে।
সকাল হলে সব বদলে যাবে?
নাকি সব বদলে গেলে সকাল হবে?
সকাল হলে সব বদলে যাবে?
নাকি সব বদলে গেলে সকাল হবে?
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
( ঋনস্বীকার: সকাল হলে সব বদলে যাবে......মৃনাল চক্রবর্তীর একটি নাটকের লাইন। )
( ঋনস্বীকার: সকাল হলে সব বদলে যাবে......মৃনাল চক্রবর্তীর একটি নাটকের লাইন। )
Nirbaak ami...
ReplyDeleteNirbaak ami...
ReplyDelete