| অধিকার বুঝে নেওয়া প্রখর দুপুরবেলা |
-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
আপনাদের আম ডাল, পান্তা ভাত আর এসির ঘুম হয়ে গেলে টিভির সামনে আসুন। দেখুন ফলিত সত্য। ইসমাইল আর আনন্দ আজ দুজনেই আহত হয়েছে।
দেখুন রাজ শাসন, দেখুন রক্ত দেখতে লাগছে কিরকম বিরোধীর কপালে। দেখুন সাংবাদিক পেটায় কিরকম পুলিশ। ফুলিশ!
আবার প্রমাণিত হল, মোল্লার চাপাতি বা হনুমান বাঁদর এর অস্ত্র হাতে মিছিলের চেয়ে হাগোড়ে পিঠ ঠেকে যাওয়া, ঘামের গন্ধ মাখা, শক্ত চোয়াল এর জুলুস বা ক্যামেরা, কলম হাতে সাংবাদিক বেশি ভয়ানক মনে হয় বাংলার সরকার এর। ইনি ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনকে জাতীয় স্থরে নেতৃত্ব দিতে চান। ইনি রোজ মা মানুষ এর কসম খান।
বাংলার পুলিশ আজ রাষ্ট্র সেজে যে প্রবীন লোকটার চোখে ঘুষি মেরে মনি বার করে আনলো বা যে ছেলেগুলোর মাথা ফাটলো ফসলের ন্যায্য দাম চেয়ে তারা খতরনাক। ছাত্রগুলো সাংঘাতিক যারা শিল্প চাইছিল।এদের চেয়ে ভালো যারা ধর্ম নিয়ে বেসাতি করে বাংলা অশান্ত করছে। যারা কলকাতায় বসে দেশের প্রধান মন্ত্রীর নামে ফতোয়া ঘোষনা করছে, মাথার দাম ঘোষনা করছে।
সাবাশ। এরপর রাত হোক। ছেঁড়া জামা বদলে ফেলুক গো হারা বিপ্লবী। ইসমাইল আর আনন্দ আজ দুজনেই আহত হয়েছে। মলম লাগাক ক্ষতে। আজ ইসমাইল বিকেলের নামাজ সারতে পারেনি। আনন্দের বউ আজ সারা দুপুর টিভি চালিয়ে বসে ছিল। এক ঝলক যেন ওকে রক্তমাখা জামা পরে দেখা গেল। তখন থেকে টিভির সামনে বসে। সন্ধ্যা দেওয়া হয়নি। শাঁখ বাজেনি।
দ্রোহকাল কবেই বা আজান, আয়াত, মন্ত্রচ্চারন কে তোয়াক্কা করেছে? মন্ত্র তো একটাই। কেউ যদি বেশি খায়, খাওয়ার হিসেব নাও। কেননা অনেক লোক ভালো করে খায় না।
©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment