কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Sunday, January 15, 2017

| লাভ ইন দা টাইম অফ ডিমুদ্রিকরন |

গোটা দেশ যখন পরি কি মরি করে আধ কাটা দাড়ি আর আধ ধোয়া নিতম্ব নিয়ে ডিজিটাল হচ্ছে, আমরা বর-বউ কেন পিছিয়ে থাকি? লাভ ইন টাইম ওফ ওয়ার যদি হয় লাভ ইন টাইম অফ ডিমুদ্রিকরন কেন হইবে না? আসা যাওয়ার মাঝে বাঙালি দম্পতির প্রেম বিনিময় বাপুজি কেক এই কেন আটকে থাকবে? মেরা দেশ বদল রাহা হ্যা! এখন পায়ে বাঁধা প্রেমপত্র নিয়ে আর কবুতর আসেনা। তারা বাইকে চেপে, বাক্স হাতে আসে। কমিশন এর টাকা পেটিএম এ পায়। গল্প ঠিক সেখান থেকে শুরু।

'হ্যাপিনেস' কখনো সখনো বাক্সবন্দি হয়ে আসে। তাতে ছটা সাহেবি বানরুটি নানা রকম 'সিনফুল' জিনিস পেটে ঠাসা, উপরে চকোলেট, ক্যারামেলাইজ ক্রিম, শুকনো ফল বা চিজ দিয়ে আঁকা হাসিমুখ।

'হ্যাপিনেস' এর আর এক নাম চমকে দেওয়া উপহার। মুম্বাই এর কোন অফিসে পৌছে যাওয়া স্ত্রী Monalisa Chatterjee Ghosh এর বাক্সবন্দি ভালোবাসা, হাত এ হাত শক্ত করে ধরা, দারুণ মন খারাপি নিরোধক ছটা ডোনাট।

'হ্যাপিনেস' আজ সন্ধেবেলা এসেছিল। একটা বেঁটেখাটো ঝগড়াটে দুপুর,হাপুসহুপুস কান্না কাঁদে মন কিন্তু জিভে ভিষন রাগ ওঠা দুপুরের তরজার শেষে মোনালিসা কলকাতা বসে সুইগি থেকে অর্ডার দিয়েছিল 'ম্যাড এবাউট ডোনাট' এর এক বাক্সজাত 'হ্যাপিনেস'। সাথে এই ছবিটা আর বাকিটা ব্যক্তিগত কিছু খুনসুটি যা মুচকি হাসিয়ে দেয়।

কিছু 'হ্যাপিনেস' ওষ্ঠে শান্তি পায়, কিছু এভাবে। এতে অনেকটা চুমু বরাদ্দ থাকে গল্পের শেষে। লাস্ট  সিন এ ডোনাট মাখামাখি প্রেম করতে করতে মুম্বাই এর রাস্তা দিয়ে চলেছে দুজন। ড্রিম সিকুয়েন্স। পেছনে পিয়ানোর আবহ। আশপাশ এ তখনো হাজার মানুষ এটিএম এর লাইন, নোট এর হাহাকার, বিমুদ্রাকরনের বিরুদ্ধতায় মিছিলে সুর চড়াচ্ছে। চারিদিকে বারুদ আর গরম গরম সদ্য বেক হওয়া ডোনাট এর গন্ধ।

"কবুতর" তখন সুইগির জামা পরে, ঘেমে নেয়ে প্রবল বেগে আর এক বাড়িতে 'হ্যাপিনেস' ডেলিভার করতে যাচ্ছে। পেটিএম ছেড়ে আঙ্গুল তখন আঙ্গুলে মিশেছে, ঠোঁট চকোলেট এ। লাভ ইন দা টাইম অফ ডিমুদ্রিকরন।

------ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

No comments:

Post a Comment