| নগ্নতা ঢাকা দাও ঝান্ডায়, শীতঘুম চলছে |
কিরকম গা ঘিন ঘিন করছে। কলকাতায় চার মহিলা রাজনৈতিক কর্মীকে বিবস্ত্র করে তল্লাশির অভিযোগ উঠলো। খবর করলো বাম চক্ষুশূল বাজার পত্রিকা। বিবরন দেওয়া হলো জামাকাপড় খুলে ফেলার।
‘‘জেলের ভিতরে যাওয়ার আগে বন্ধ ঘরে এক জন মহিলা জেলকর্মী তিন জনের পোশাক খুলে শুধু নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস পরিয়ে রেখে দেহে তল্লাশি করেন। অন্য জন রজঃস্বলা ছিলেন। সেটা জেনে বিশ্রী ইঙ্গিত করে তাঁকে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলতেও বাধ্য করা হয়।’’
অথচ বিপ্লবী নেতা ও তাদের হাত চিহ্ন ভাই বেশি ব্যস্ত একটি ঘুষ খাওয়ার দৃশ্য ও আদালত এর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে। নারদা দৃশ্য সামনে আসার পর নির্বাচন এ বিপুল জয় পেয়েছে তৃনমূল।
কিরকম গা ঘিন ঘিন করছে। ফেসবুক জুরে মহিলা বিপ্লবীর দল কিছু চোর এর কিসসা শোনাচ্ছে, মিছিল এর ভাবনা চিন্তা করছে অথচ চারজন মেয়ের পোশাক খুলে শুধু নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস পরিয়ে রেখে দেহে তল্লাশি করা হল কিন্তু বাংলা জ্বললো না। একটা ও কাঁচ ভাঙলো না, কেউ ক্ষমা চাইলো না। বৃহত্তম বিপ্লব এর দাসী হয়ে থেকে গেল ওই চারজন।
গা ঘিন ঘিন করছে নেতাদের আনন্দ দেখে। সিবিআই এবার সব ঠিক করে দেবে। ন্যাংটো হতে বলার সময় ঠিক কি মনে হয়েছিল, গা হাতিয়ে তল্লাসি হলে ঠিক কি মনে হয়, নেতাদের শিথিলতা- সব ঠিক করে দেবে।
আজ জ্বলে না উঠলে আর কবে? হয়তো এটা মিছিলের সময়। বস্তার এ আদিবাসী মহিলা হলে, কিউবাতে বন্দিঘর এ হলে, মার্কিন গন্ধ থাকলে এর তেজ অনেক বেশী হত। হাতের কাছে এ সব হলে হাত পকেটে ঢুকিয়ে লোকাল কমিটির অফিসে ঢুকতে হয়। নগ্ন নারী বাড়ি গিয়ে স্নান করে, ভাত বসায়। সব ঠিক হয়ে যাবে। মিছিল এ মিটিং এ পথসভা তে, মহিলা কমিশন এ শৃঙ্খল নিয়ে যাবো আমরা। ওটা ছাড়া হারানোর কিছু নেই। সম্মান ও না।
--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment