কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Friday, March 24, 2017

| তোষন শেষে নিরপেক্ষ হই চলুন |

শ্রীজাত কে রাষ্ট্র নিরপত্তা দেবে। কবি লিখবে রাষ্ট্রীয় শোকগাথা। ভালো কথা। এটাই কাম্য। ঘটনা এখানে শেষ। কিন্তু কবির জন্য কেঁদে আকুল মানুষ এর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গা জ্বলাচ্ছেন কিছু শখের উদারপন্থী, গাঢ় গামবাট বামপন্থী।

এরা একজন কে শিক্ষা দিতে আর একজন কে পিটিয়ে দেয়। আকলাখ এর জন্য রাস্তায় নামলে সবাই মিলে গরু খেয়ে প্রমাণ করতে চায় তারা কত বড় লিবারেল। অথচ এরাই শুয়ার এর মাংস, গরুর মাংস একসাথে এক থালায় নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। পাছে সংখ্যালঘুদের অসম্মান করা হয়। সমস্যাটা ঠিক এখান থেকেই জন্ম নেয়। লড়াইটা ছিল যার যা ইচ্ছে খাওয়ার, প্রার্থনা করার, বক্তব্য বলার। সেখান থেকে হয়ে যায় তোষণ।

শ্রীজাত একটা কবিতা লিখেছে। বেশ করেছে। অপার বীর্যশালী যোগী যদি মৃত যোনি ক্ষতবিক্ষত করে ত্রিশূল এ/ সে ত্রিশূলে কি তখনো পবিত্র ধর্ম লেগে থাকে? থাকে না বোধহয়। এবার এই কবিতা নিয়ে এক উচ্চিংড়ে হিন্দু সংহতি সমর্থক যদি একটা এফআইআর করে সেটা নাগরিক হিসেবে সে করতেই পারে। লড়াইটা ছিল এই উচ্চিংড়ের দলকে এক ঘরে করার। এরা যারা একাই হিন্দুদের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে, তাদের জানানোর যে আমরাও হিন্দু তবে আমরা কবিকে ত্রিশূল নিয়ে বিদ্ধ করার ভয় দেখাই না। আমাদের মত মুসলিম মানুষের সংখ্যা ও কম না। যারা দুর্গা পুজোতে প্যান্ডেল এ আড্ডা জমায় আবার ইদ এর বিরিয়ানি রেঁধে বন্ধুদের কে নেমতন্ন করে খাওয়ায়। এ সংখ্যা কম নয়।

গন্ডগোল করে ফেলে সেই অতি লিবারেল, অতি ধর্মনিরপেক্ষর দল। এরা মুসলিমদের আসল দোস্ত বোঝাতে তেড়ে খিস্তি করে হিন্দু দেবদেবী কে। অশ্লীল দৃশ্য রচনা করে দেবতার রতিসুখ বা দেবীর শরীরের। এতে জামাতের মতাদর্শ আনন্দ পায় কিন্তু যারা ওই আমার আপনার মত হিন্দু অথবা মুসলিম কিন্তু রোজ পেটের জন্য লড়াইটাকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি তারা আঘাত পায়, মাঝেমধ্যে রেগে ও যায়।

ভারতের মত দেশে ধর্ম বাদ দেওয়া কঠিন। রাশিয়াতে ধর্ম নিষিদ্ধ করার পরিবেশ হয়েছিল কিন্তু লেনিন ভগবান হয়ে গেছিল। আমরা সবাই অবলম্বন খুঁজি,কারন আমরা সবাই কমবেশি ভীতু।হিন্দুর-ও "ধর্মানুভূতি" থাকতে পারে। এটা মানতে শিখুন। ধর্মনিরপেক্ষতা ও তোষন এক জিনিস নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই করতে গিয়ে বহু রক্ত ঝড়েছে কারন লড়াইটা কঠিন। কারোর ধর্মকে আঘাত না করে, তোষন না করে ঠান্ডা গলায় 'না' বলা সহজ নয়।

যদি সত্যি ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই এ সামিল হতে চান, তোষন বন্ধ করুন। কবির পাশে দাঁড়ান তবে দুর্গা-কে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে নয়। এতে বহু মানুষ আঘাত পেতে পারে। আরএসএস এটাই চায়। হিন্দু ভোট একত্রিত হোক, মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হোক। এই ফর্মুলা উত্তর প্রদেশ এর। কিছু বামপন্থী বলে দাবি করা বৃদ্ধ গামবাট ও সবজান্তা তরুন ঠিক এটাই করছে অজান্তে। তাদের স্বপ্নে স্তালিন বলে গেছে কিনা জানা নেই যে হিন্দুদের খিস্তি করলেই মুসলিমদের কাছাকাছি হওয়া যায় না হে কাফের!

আসুন না, যেটা যার ভুল সেটা বলি। যদি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয় আসুন ঘেন্না করি একসাথে, যদি মন্দিরে গরুর মাংস ছুড়ে দেওয়া হয় সেটার ও নিন্দা করি।  আমি এরকম বহু মানুষকে চিনি দুই বাংলায় যারা ধর্মকে অসম্মান না করেও এর গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা করছে।

আসুন না দুই ধর্ম থেকেই হাত ধরি শপথ নিতে। কেউ যদি বেশী পায়, পাওয়ার হিসেব নাও কেন না অনেক লোক ভালো সব পায়না। লড়াইটা চাকরি পেতে, দু বেলা খেতে, পড়তে পাওয়ার জন্য হোক। মন্দির, মসজিদ তৈরি করলে শিল্প আসেনা। উন্নয়ন এর রথ যাত্রা কবে হবে এই পোড়া দেশে? কবে দাঙ্গা বাঁধবে বিশ্বমানের কারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প পেতে নিজের মাটিতে। দেখবেন প্রত্যেক কারখানা তখন মন্দির, মাজার হবে। ধর্ম হবে উন্নয়নের গতি। ত্রিশূল সামগ্রী।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Wednesday, March 22, 2017

পাশে আছি Srijato |

| পাশে আছি Srijato |

অপার বীর্যশালী যোগী যদি মৃত যোনি ক্ষতবিক্ষত করে ত্রিশূল এ/
সে ত্রিশূলে কি তখনো পবিত্র ধর্ম লেগে থাকে?

শ্রীজাতদের ক্রুশবিদ্ধ করবে যদ্দিন কন্ডোমের দোহাই দিয়ে/
যেন আদপে ধর্মকেই সংকীর্ণ নিরোধ পরাবে চাপাতি ত্রিশূল।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| গনতন্ত্র বিরোধীদেরও হয় |

| গনতন্ত্র বিরোধীদেরও হয় |

পদ্মফুলের সংখ্যাগরিষ্টতা /
বহুল জিতেও জাতি দাঙ্গা হয়।

ভাষণ শেষে শাসন জুড়লে পরে/
বিরোধী শিশুর লাথি খাওয়ার ভয়।

সংখ্যাই তো চেনায় শাসকদল/
সংখ্যাগুলো মারছে বিরোধিতা।
সংখ্যাই দম্ভ প্রসব করে/
বিরোধীশূন্য রাষ্ট্র কি তবে গিতা?

এখানে কোন কেলেঙ্কারি নেই/
মুদ্রাবন্দি উন্নয়নের গতি।
সহনাগরিক একজনও গরু খেলে/
পিটিয়ে মারা ধর্মীয় সংস্কৃতি।

পাঁচটা বছর সহজ নাব্যতা/
নাজিব খালেদ গুরমেহের এর ভয়।

পাঁচটা বছর শেখাক শালীনতা/
গনতন্ত্র বিরোধীদের ও হয়।

------- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

নগ্নতা ঢাকা দাও ঝান্ডায়, শীতঘুম চলছে

| নগ্নতা ঢাকা দাও ঝান্ডায়, শীতঘুম চলছে |

কিরকম গা ঘিন ঘিন করছে। কলকাতায় চার মহিলা রাজনৈতিক কর্মীকে বিবস্ত্র করে তল্লাশির অভিযোগ উঠলো। খবর করলো বাম চক্ষুশূল বাজার পত্রিকা। বিবরন দেওয়া হলো জামাকাপড় খুলে ফেলার।

‘‘জেলের ভিতরে যাওয়ার আগে বন্ধ ঘরে এক জন মহিলা জেলকর্মী তিন জনের পোশাক খুলে শুধু নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস পরিয়ে রেখে দেহে তল্লাশি করেন। অন্য জন রজঃস্বলা ছিলেন। সেটা জেনে বিশ্রী ইঙ্গিত করে তাঁকে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলতেও বাধ্য করা হয়।’’

অথচ বিপ্লবী নেতা ও তাদের হাত চিহ্ন ভাই বেশি ব্যস্ত একটি ঘুষ খাওয়ার দৃশ্য ও আদালত এর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে। নারদা দৃশ্য সামনে আসার পর নির্বাচন এ বিপুল জয় পেয়েছে তৃনমূল।

কিরকম গা ঘিন ঘিন করছে। ফেসবুক জুরে মহিলা বিপ্লবীর দল কিছু চোর এর কিসসা শোনাচ্ছে,  মিছিল এর ভাবনা চিন্তা করছে অথচ চারজন মেয়ের  পোশাক খুলে শুধু নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস পরিয়ে রেখে দেহে তল্লাশি করা হল কিন্তু বাংলা জ্বললো না। একটা ও কাঁচ ভাঙলো না, কেউ ক্ষমা চাইলো না। বৃহত্তম বিপ্লব এর দাসী হয়ে থেকে গেল ওই চারজন।

গা ঘিন ঘিন করছে নেতাদের আনন্দ দেখে। সিবিআই এবার সব ঠিক করে দেবে। ন্যাংটো হতে বলার সময় ঠিক কি মনে হয়েছিল, গা হাতিয়ে তল্লাসি হলে ঠিক কি মনে হয়, নেতাদের শিথিলতা- সব ঠিক করে দেবে।

আজ জ্বলে না উঠলে আর কবে? হয়তো এটা মিছিলের সময়। বস্তার এ আদিবাসী মহিলা হলে, কিউবাতে বন্দিঘর এ হলে, মার্কিন গন্ধ থাকলে এর তেজ অনেক বেশী হত। হাতের কাছে এ সব হলে হাত পকেটে ঢুকিয়ে লোকাল কমিটির অফিসে ঢুকতে হয়। নগ্ন নারী বাড়ি গিয়ে স্নান করে, ভাত বসায়। সব ঠিক হয়ে যাবে। মিছিল এ মিটিং এ পথসভা তে, মহিলা কমিশন এ শৃঙ্খল নিয়ে যাবো আমরা। ওটা ছাড়া হারানোর কিছু নেই। সম্মান ও না।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| এখন অন্ধকার, আশেপাশে সমস্ত ডাক্তার মৃত |

| এখন অন্ধকার, আশেপাশে সমস্ত ডাক্তার মৃত |

আপনার শিরা, উপশিরা, ধমনীতে জমতে থাকা রাগ, দারুণ রাগ ফেটে পরেছে ডাক্তারদের উপর। আর একটাও ডাক্তার পড়ে নেই। ডাক্তারদের ডেথ সার্টিফিকেট লেখার ডাক্তার নেই। মৃত ঘোষনা করবার ডাক্তার নেই। রক্ত লাগা স্টেথোস্কোপ এদিক ওদিক, একটা দুটো ফ্রিতে পাওয়া কলম আর দলা পাকানো রাগ ছড়িয়ে আছে।

এখন অন্ধকার। সমস্ত ডাক্তার মৃত। মৃত ডাক্তার এর দেহ তে সবচেয়ে আগে কোন বুম পৌছয় তা নিয়ে রসিকতা করার ডাক্তার বেঁচে নেই। হাসপাতাল এ পিকনিক করার খবর বেঁচে নেই। থাকার মধ্যে স্টেথোস্কোপ। কম্পন অনুভূত হচ্ছেনা। গন শত্রু মৃত।

রাজ্য জুরে এখন ডাক্তার এর গাম্ভারি মুখে কে কত ডেসিবল এ ওয়াক থুঃ করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। পান থেকে চুন খসলো কি মুখে কালি লাগিয়ে বুম খেদিয়ে ক্যালাও। পৃথিবীর সবচেয়ে বদ কাজটি এ যেন করেছে। ডাক্তারি পড়ে রোগ দেখার কাজ।

ভাবুন তো কিরকম ছাট জ্বলবে একটি ট্যাক্সি চালক এর যদি পিছনে বসা আরোহী ক্রমাগত আস্তে না জোরে, বাঁ দিকে বেশি কাটানো না গাড়ি থামানোর অর্ডার দিয়ে যায়। বা কোন সাংবাদিককে কোন কেরোসিন তেল বিক্রেতা বাতলে দেয় কোন লাইনটা আগে লিখতে হবে আর কোন জায়গা তে গিয়ে কিভাবে  খবর করতে হবে। বা তার ক্যামেরাম্যান কে পাড়ার দাদা বোঝাতে আসে ওয়াইট ব্যালেন্স কি, কোথায় ফোকাস হবে।

ডাক্তারদের ও ছাট জ্বলে। জ্বলা ভালো কারন ততক্ষন তারা মানুষ থাকে। বাকি সময় ভগবান থাকে রোগ গায়েব হলেই।

সরকারের দারুন প্রচেষ্টা বেসরকারি হাসপাতালের বাঁদরামি রুখে দিয়ে। চিকিৎসক শিল্পপতিদের সবার সামনে লজ্জা দিয়ে। বিল পাশ করিয়ে। বিরোধীরা হ্যান করেংগা, ত্যান করেংগা, আসলে ঘোড়ার ডিম করেংগা করে আবার শীতঘুমে।

জনতা "জিতা রহে দিদি" হাঁকাচ্ছে। পাবলিক হেব্বি খুশী। মহিষাসুর হিসেবে কোন ডাক্তার কে রাখা হবে তাও ফিক্সড। গন্ডোগোল বাঁধলো এর পরে।

ইদানীংকালের ট্যাগিং পলিটিক্স অনুসারে শুরু হলো সমাজের বিবেক সাজা। পালা করে খোঁজা কোথায় অল্প সেলাই এদিক ওদিক হলো, কার ঠ্যাং কার গলায় গেল।

আমরা কমবেশি সবাই গনপেটাতে ভালোবাসি। একজন গর্ততে পরে থাকতে দেখলে, আচ্ছা করে পেছন, সামনে, খচ্চরের মত মেরে দিই। এতে খারাপ কিছু নেই। সবজান্তা কাকু ও এতে খারাপ কিছু দেখেননা। যেরকম বাম, ধর্মনিরপেক্ষ নেতার মেয়ে মুসলিম কে নিকা করলে চাপকানো জরুরী।

কোন দোষ না করলেও কিছু মানুষের মুখ দেখলেই খিস্তি করতে ইচ্ছে করেনা? আপিস ফেরত চোর ধরা পরলে ধোলাই দিতে? নিশ্চয়ই মাসের শেষ এদিকে বউ এর ক্যান্সার। ওদিকে মিউচুয়াল ফান্ড এর টাকা বাকি। এবার ভাবুন তো ডাক্তার এর মত মাখো মাখো একটা খিস্তি করার আইটেম পেলেন।

বিকৃত করিয়া মুখ গন পেটাইতে বড় সুখ। সরকার বুঝিলো ডিএ দেওয়ার চেয়ে জরুরি সাময়িক রিলিফ দেওয়া। সুতরাং দাও তাল ঠুকে। নেতাদের হাসপাতাল, চিটফান্ড মালিকের হাসপাতাল, প্রোমোটার এর হাসপাতাল, মোটা টাকা মন্ত্রীর ঘরে পাঠায় তার হাসপাতাল অথচ খিস্তি খাবে ডাক্তার।

উচ্চাশা থাকা কি অপরাধযোগ্য? একজন ডাক্তার যে ১০ বছরভর মাথা গুজে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, তার উপর আরো দক্ষ হওয়ার শিক্ষা, ক্লিনিক এ রোগী দেখা শেখে, তার কি শখ থাকতে পারেনা রোগী দেখে একটি টয়োটা কেনার? একটি ফটকায় ব্যাবসা করা দালাল, ড্রেন তৈরির টাকা থেকে কাটমানি খাওয়া কাউন্সিলর ও স্কোরপিও চড়ে। আর ডাক্তার জ্যান্ত লোকের কল কব্জার ভার নিয়েছে।

যে ভাবে ডাক্তারদের ঘাড়ের উপর মিডিয়া, কানের কাছে মালিক আর রক্তচক্ষু নিয়ে সরকার দাঁড়িয়ে, ডাক্তার থাকবে তো? এরপর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে থাকবে তো? থাকলেও যে সমস্ত শাখা যেরকম রেডিওলোজী, চোখ, চামড়া ইত্যাদি যেখানে ইমারজেন্সি নেই, মানুষ এর রোষ এর মুখে পরার সম্ভাবনা কম সেখানে ভিড় বারবেনা তো?

জিপি বা সার্জেন হতে হলে বাংলাতে এখন ডাকাবুকো হতে হবে, খিস্তি খাওয়া অভ্যাস করতে হবে, মিডিয়ার থেকে ডাক্তারি শিখতে হবে, লোকাল নেতার থেকে ওষুধ দেওয়া।

এগুলো না জানলে ডাক্তার হওয়া যাবে না। যে মানুষ সারা জীবন প্র‍্যাক্টিস না করে মেডিকাল কলেজ এর প্রফেসর হয়ে থেকে গেলেন, তার মাইনে ছাত্রের গাড়ির তেল এর খরচা। এর পরের প্রজন্ম ডাক্তার এর মাস্টার মশাই হতে চাইবে? গুটখা কোম্পানি কে হাসপাতাল তৈরি করার সুযোগ রাষ্ট্র দিয়েছে। আমরা সুবিধা করে দিচ্ছি। আর ডাক্তারদের বানিয়েছে মাইনে করা একজিকিউটিভ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চেম্বার এ। যেখানে পান এ পিক ফুলের টব এ ফেলে মালিক বাহাদুর বলে:
"কি ছিড়ছো? হচ্চে না ডাক্তার। কয়েকটা ভেন্টিলেটর দাও।"

এন্টি-বায়োটিক ইমিউনিটির কথা শুনেছি। ভালো ভালো ডাক্তারদের ইমিউনিটির কথা কি ভেবেছি? প্রশ্ন করেছি কেন সব সরকারি হাসপাতাল এর বেহাল দশা? কটা মন্ত্রী সরকারি হাসপাতাল এ চিকিৎসা করান? কেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর  ঠুঁটোজগন্নাথ হয়ে থাকবে? কেন মানুষ কে এটা ও বোঝানো হবেনা যে ডাক্তার ও রুগীর আত্মীয়র পারস্পারিক বিশ্বাস থাকা প্রধান প্রয়োজন আর দ্বিতীয় তাকে কাজটা করতে দেওয়া।

অনেক মন্ত্রী যেরকম গরীর মানুষ এর টাকা লুট করে জেলে যায়, অনেক সাংবাদিক যেরকম ফ্রি এর মদ, দামি উপহার নিয়ে বেনামি হাসপাতাল কে জনপ্রিয় আর জঘন্য ডাক্তার শিল্পপতি কে ভগবান এ রুপান্তরিত করে, ঠিক সেরকম অনেক চশমখোড় ডাক্তার আছে। এই আগাছা গুলো ছেটে ফেলতে হয়। গোটা গাছ কেটে সমস্যার সমাধান হয় না।

আসুন রোগ প্রতিরোধ করি এবার । রোগী কল্যাণে নিউজ প্রিন্ট প্রচুর খরচ হল।

-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আশাবাদী রোদ্দুর

শীতকাল খোয়া গেছে/
বসন্ত গাছের গালে ইদানীং জেগে আছে রোজ।

অসুখ ঘুমতে গেলে/
ভোরবেলা দিয়ে যায় আশাবাদী রোদ্দুর-খোঁজ।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Sunday, March 12, 2017

পাক ধরছে

ডিমের কুসুম আলাদা করছো সাদাংস থেকে/
অষ্টাদশী দেখলে ভাবছো হবু কন্যা।
নিঃসঙ্গতা রাতের ওষুধ শেষে/
কমরেড তুমি বয়সী হচ্ছো।

| শুভেচ্ছা নারী |

শুভেচ্ছা নিও কালবৈশাখী ছাদ,নিকানো উঠোন এর কোন।
শুভেচ্ছা নিও আমলকি বন, ঠোঁটেঠোঁটে প্রেম।

শুভেচ্ছা নিও সিঁদুররাঙা খাট,
বালিশ এর কোনে লেগে থাকা জল
চোখ ছলছল/আলতো অপেক্ষা।

শুভেচ্ছা নিও ঘর বাঁধবার গান, চাঁদের জলে স্নান/ আদুরে শরীরে সাবান মাখিয়ে দেওয়া।

শুভেচ্ছা নিও সহ্যশক্তিরা, রাগী চোখ একজোড়া/ ওপাশ ফিরে জেগে থাকা ঘুম।

শুভেচ্ছা নিও হাতে চাপা হাত, অভিমানী রাত/
ঝগড়ার শেষে ভালোবাসা মরশুম।

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| নারী-দি বস এর বশ্যতা |

সকাল ৭.২৩ এর "মাগি লোকাল" এ দৌড়ে "মালটা" উঠল। দশ মিনিট লেট হবে আজ। বস হাসতে হাসতে বলবে "কি করো সারা রাত। আমাদের ও একটু গল্প বলো।" "মাল" আড়ষ্ট হয়ে বসে। বস এর অমায়িক চোখ মাল এর বুকের দিকে। সরল হাসি চোখে।

আর একজন "মাল" কলেজ এ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। কাল অনেক রাত অব্দি ন্যাকাপনা করে কান্নাকাটি করেছে। যে ছেলেটাকে ফাঁসিয়েছিল সে মায়ের কথা শুনে বলেছে পড়াশোনার অসুবিধে করে প্রেম করবেনা। আই পিল খেলেই "মাল" এর "মাল" খসে যাবে। ফালতু কান্নাকাটি।

স্কুলের কচি "হবু মাল" সদ্য নাইন এ উঠেছে। বাবার ভালো বন্ধু দত্ত কাকু ছোট থেকে ওকে আদর করে। কোলে বসিয়ে টফি খাওয়ায়, পিছনে শক্ত কি যেন ঠ্যকে, সিগারেট এর সুন্দর গন্ধওয়ালা মুখ নিয়ে হামি খেতে আসে। এখন "মাল" এর নাইন এ উঠে কথা ফুটেছে। বলে কিনা কি দত্ত কাকু ভালো না। ওর নাকি অসুবিধা হয় কাকু গা এ হাত দিলে। কি দজ্জাল মেয়ে। এ বড় হয়ে কি সাংঘাতিক "মাগি হবে ভাবলেই ভয় হয়।

আর এক বিগত যৌবনা মাল এক হাতে বাচ্চা আর আর এক হাতে ঠোঁটের রক্ত মুছতে মুছতে অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে। লোক দেখানো কান্না কাঁদছে। পাড়ার লোক কে দেখাতে চাইছে বেশ্যা টা। কি এমন হয়েছে যে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে? ওকে বলা হয়েছিল বাবাকে বলতে পণ এর বাকি টাকা টা এখুনি লাগবে। হাত টান আছে। না বলাতে শাশুড়ি ভয় দেখানোর জন্য গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছিল। তাতেই কি কান্না। মুখ চেপে থাপ্পড় মেরে শেষে থামাতে হয়। বদ চরিত্র মাল।

এরকম মাল, মাগি, বেশ্যা গুলোকে রোজ পুরুষদের সহ্য করতে হয়। মাথায় যাতে না চড়ে বসে ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দিতে হয়, গা এ কেরোসিন ঢেলে দিতে হয়, মুখ ধুইয়ে দিয়ে হয় এসিড এ আর যখন ঠাণ্ডা চোখে তাকিয়ে থাকে এরা, একটু পিছিয়ে এসে হাঁটু মুড়ে বসে নারী দিবসে অন্য নামে ডাকতে হয়। অভিবাদন করতে হয়।

যে মালটা ট্রেনে উঠেছিল, যে হবু মালটা স্কুলে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল, যে বিগত যৌবনা মাল বাচ্চার হাত ধরে এক কাপড় এ বেড়িয়ে এসেছিল, তারা যদি নির্ধারিত গন্তব্যে না গিয়ে রোজ এক সাথে জড়ো হয়?

ঠান্ডা চোখে, বুকের দুটো বোতাল খুলে, নিজের ইচ্ছে মতো কাপড় পরে দাবি জানায় এই নারী দিবস ঝুটা হ্যায়? এই একদিন স্পা এ ডিসকাউন্ট দিয়ে, বাকি ৩৬৪ দিন ভিড় বাস এ পিছনে হাত বোলানো বন্ধ হোক।

যদি চ্যানেল এর বুম গুলোর সামনে রেপ ভিকটিম চেঁচিয়ে ওঠে নিজের নাম ধরে ডেকে?

রাস্তাঘাট, শোয়ার খাট এর নিরিহ মাল গুলো এক রাতে যদি দারুন রাগে ফেটে পরে মেয়েতে বদলে যায়?

৩৬৫ দিন নরম কাপড় এ পা মুছিয়ে, চা এর কাপ এগিয়ে পুরুষ প্রশ্ন করতে পারবে তো বিনা সঙ্কোচ এ? রাতে কি খাবে বলো? সেটাই রান্না করবো।

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

আগুনখেকো

আগুনখেকোরা বড় ভয়ানক হয় শুনেছি । এদের ভয়ডর থাকেনা,  মাথায় গোমূএ মাখেনা, গরু, শুয়োর, ডিম - খিদে পেলে যা পায়, তাই খায়।

আগুনখেকোরা বড় খতরনাক হয় শুনেছি । এরা রেগে গেলে আস্ত ''নাগপুর নাকি মুখে  নিতে পারে। গোটা গোটা খাকি pant জ্বালিয়ে tandoor খায় , পদ্ম ফুল salad এ খায়।

আগুনখেকোরা বড় সাংঘাতিক হয় শুনেছি । এদের খেলে অম্বল হয়না , অম্বল হলেও ঢেকুর ওঠে না,  'চাড্ডি' খেয়ে নেয় পরিস্থিতি সেরকম হলে।