| ঝুল- ফিকর |
ইন্দ্রের সহস্র চক্ষু রোগ হয়েছিল জানতাম, এখন দেখি দেবী ও সহস্রভূজা থিম এর চাপে।
কঠিন অসুখ, কঠিন সময়।
বাই দা ওয়ে, "ঝুল"ফিকর' এই পুজোতে এক বার অন্তত দেখা উচিৎ। রাজ চক্কোবত্তির চেয়ে ভালো, ভালো চলচ্চিত্রের চেয়ে খারাপ। মুম্বাই থেকে এসে প্রথম ছবি দেখা এটাই।
ঝুল হল কারন কোন কারন ছাড়াই ১০ মিনিট দর্শক গুলির শব্দ শুনে গেল ও গুলির ঠাই ঠাই দেখে গেল। পরিচালক অনেক কিছু করতে চেয়েছিল বোধহয় কিন্তু ওই "ঝুলে" গেল।
"ফিকর" টা পরিচালককেই নিয়ে। এই পরিচালক অত্যাধিক মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত ও পড়াশুনো করা একজন মানুষ। এদের সংখ্যা কম।
বাজার এর চাপে যদি এই ধরনের মাল ছাড়তে থাকে প্রতি পুজোতে, বেশি কাটতি, বেশি ওপেনিং এর খোঁজে, খুব শিগগির আমাদের মোহভঙ্গ হইবে। আশা করি হেমলক সোসাইটি বা চতুষ্কোণ এর মত একটা দারুন চিত্রনাট্য বা ফেলুদা ফেরত এর মত একটা অসামান্য ভাবনা আবার দেখতে পাবো।
ও হ্যা, এই ছবির রিসার্চ খুব ভালো প্রথম দিকে। বেশিরর ভাগই আসল ঘটনা যা বাংলা নিউজ এ দেখানো হয়েছে সেই ভিত্তিক। তবে খিদিরপুরে এত ইংলিশ এ কথা হয় কি?
দেব, প্রসেনজিৎ, কৌশিক সেন, রাহুল দারুন। নুসরত এর প্রত্যেকটা ফ্রেম প্রমাণ করে কেন হাজত থেকে মুক্ত মন্ত্রী থেকে সদ্য হাজতগামী সন্ত্রী তার পায়ে লুটিয়ে পরে। বাড়ি ফিরেছি নচিকেতা নিয়ে ঠোঁটে।
এক বাটি শেকসপিয়র এ অল্প গডফাদার, দু চামচ পোর্ট মাফিয়া রাজ, দুটো খবরের শিরোনাম আর অনুরাগ কাশ্যপেয় স্টান্টবাজি করলেই রুচিশীল ছবি হয় না ইদানীংকালে। চারদিকে বহু ভালো ছোট, চ্যাপটা, ডিজিটাল, মোবাইল ছবি বানানো হচ্ছে। সেগুলি প্রযোজক পায়েনা, আমার তাই নিয়ে ফিকর। বাকি ফিকর এর জন্য জুলফিকর এর নির্মাতারা আছেন।
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment