কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Tuesday, April 23, 2019

শ্রাবন্তীর পুনঃবিবাহ আর কালেক্টিভ ছিছিক্কার

| শ্রাবন্তীর পুনঃবিবাহ আর কালেক্টিভ ছিছিক্কার |

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

কিশোর কুমার চারবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল। একবার তো নিজের ছেলের পাত্রী দেখতে গিয়ে ডাগর মেয়েটিকে এতো পছন্দ হয়ে যায় যে নিজেই বিয়ে করে ফেলেন। কিশোর কুমার কে আমরা গুরু বলি। বারো ভাতারি না।

সেরকমই সত্যজিৎ রায় নিজের সম্পর্কে দিদি বিজয়াকে বিয়ে করেন। করতেই পারেন৷ প্রেম পেলে যাকে খুশী তাকে ছোঁ। আমরা বান দিয়ে কোন চার অক্ষর বসিয়ে গাল পাড়ি তাই বলে?

এসব তো মহাপুরুষ। মহাপুরুষের সাত খুন মাফ হতে হয়। ঘরের কাছে আমাদের বুম্বাদাকে নিয়ে কথা বলি চলুন। রসিক মানুষ উনি। তিনবার বিয়ে করেছেন। এই অপরাধে বাংলা ওকে 'পোসেনজিত' বলার সাহস দেখিয়েছে কিন্তু কাউকে বেশ্যা বলে ডাকতে শুনিনি।

আমরা বাঙালি জাতি নিজেদের যাবতীয় কিছুর ধারক ও বাহক ভাবি৷ কোন বিহারি দেখলে খোট্টা বলে ডাকি তাকে আর ঘামের গন্ধমাখা ঝলমলে জামা পরতে দেখলে গাঁইয়া। আমাদের দারুণ গর্ব রামমোহন আর বিদ্যাসাগর নিয়ে কিন্তু আদপে সযত্নে ২০১৯ সালের করোটিতে ১৯১৯ সালের নর্দমার পচাজল ধরে রাখি। মাঝে মাঝে নখ, দাঁত বের করে তারা।

শ্রাবন্তী বলে এক মিষ্টি দেখতে সাধারণমানের অভিনেতা আছে। সাধারণই। অসাধারণ হলে হয় স্বেচ্ছাচারী বা তাসলিমা নাসরিন বলা হতো। তো এই সাধারণ অভিনেতার ইচ্ছে হয়েছে সে তৃতীয় বিয়েটা করবে। প্রথম দুটো ভুল সিদ্ধান্ত হয়তো তৃতীয়বার ঠিক হবে। তার বিয়ে, তার টাকা, তার টোপর। কার বাপের কি? এটাই তো সভ্য ভাবনা। কিন্তু আমাদের প্রগতিশীল অনলাইন দুনিয়ার মনে হয়েছে এটা বেশ মুচমুচে একটা বিষয় ছিছিক্কার করার। কারণ মেয়েদের অর্গাজম যেমন থাকতে নেই সেরকমই বহু পুরুষে আসক্তি থাকতে নেই। থাকলেও বা এক পুরুষ ছেড়ে নতুন পুরুষ নিয়ে ঘর বাঁধলে ধরে নিতে হবে মেয়েছেলেটার চরিত্রে কাদা আছে, মা বাবার শাসনের অভাব ও আছে। মেয়েটির মায়ের ও চরিত্র খতিয়ে দেখা হতে পারে। গসিপের Add On আবার শ্রাবন্তীর ছেলে। কে কার সাথে শোবে তার ক্যালকুলেশন করছি প্রোফাইলে প্রোফাইলে আমরা।

আমরা মানে যারা বিপ্লবী হয়ে মোমবাতি জ্বালাই ধর্ষণ হলে আর যারা ভাবি মেয়েদের নাইট শিফট থেকে ফেরা আর খদ্দের খুশী করে ফেরা সমান। আমরা যারা মেয়েদের দোষ খুঁজি বাচ্চা না হলে আর শ্বশুরবাড়িতে মার খেলে বলি, মানিয়ে নে মা।

আমরা যতই হতাশ হয়ে বলি, মেয়েরা পুরুষদের থেকে অনেক সুবিধা পাচ্ছে, স্রেফ মেয়ে বলে প্রোমোশন পাচ্ছে, পাখনা গজিয়ে যাচ্ছে মুক্ত হাওয়ায় , আদপে কিন্তু আমরাই লাটাই ধরে। উড়তে দিচ্ছি অফিসে, মলে, মিটিংয়ে, মিছিলে, রাতের চাদরে।

আমাদের ঠিক করে দেওয়া এই গন্ডির মধ্যেই হতে হবে এদের বিচরণ৷ ওই যে চিড়িয়াখানার বাঘেদের যেমনটা হয়। এর বাইরে বেরিয়েছো কি সাত কান্ড শেষে ঘরে ফিরে অগ্নিপরিক্ষায় বসানো হবে। দেগে দেওয়া হবে বাছা বাছা চার অক্ষরে। কারণ তুমি হয় মেয়েমানুষ, মেয়েছেলে বা মাগি।

মন্দ মেয়ে হয়ে সবাই বাঁচতে পারেনা। গুটিকয়েক সুচিত্রা সেন, অপর্ণা সেন ছাড়া। বাকি যারা সাধারণ তাদের জন্য বহুবিবাহ শেষে পদবী রাখা থাকে- বারো ভাতারি।

অর্ধেক আকাশ নিয়ে কাব্য করে বা নারী দিবসের গোলাপফুলে এ শুদ্ধ হবে না। হবে যেদিন কাগুজে পুরুষসিংহের হাতের লাটাই টা হাতেই থাকবে আর ভোকাট্টা বলে পাগলী ঘুড়িটা দূরে অনেক দূরে ভাসতে ভাসতে গিয়ে পরবে যেদিকে ইচ্ছে মন চায়।

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ইনসাল্লাহ আর জয় শ্রীরাম বললেই মুসলিম বা হিন্দু হয়না

| ইনসাল্লাহ আর জয় শ্রীরাম বললেই মুসলিম বা হিন্দু হয়না |

--- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Islamophobia আর Islamophilia দুটোই মানবসভ্যতার জন্য সমান চিন্তার কারণ। এই দুই ধরনের মানুষকেই সমান ভাবে আমাদের প্রতিরোধ করে এগিয়ে চলাটাই কাম্য। ওই যে বলে না অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।

Islamophobia তো আমরা জানি। মুসলমানের নাম শুনলেই বিচুটি ঘষার মতো চুলকোয় মাথাখানা৷ গুষ্টি শুদ্ধু সবাইকে সন্ত্রাসী ভাবি, মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণ হলেই মনে মনে আনন্দ হয়, "মরুক শালারা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে"। মুসলমান শবে বারাতের হালুয়া আনলেও ভাবি তাতে গরুর মাংস কিমা করে খাইয়ে দেবে ইত্যাদি।

Islamophilia একটু জটিল। এটা আসে নিজেকে বহুত্ববাদী, ধর্মনিরপেক্ষ প্রমান করার তাগিদ থেকে৷ বলে না সদ্য জাত বদল করা মুছোলমানের গরু খাওয়ার তাগিদ থাকে বেশী, সেরকমই তার ঠিক উল্টোটা মানে বিশেষ উদ্দেশ্যে লিবারেল প্রমাণ করার তাগিদে Islam এর সব কিছু অমৃতসমান ভেবে ফেলে এরা। একটা সময় Obsession এ বদলে যায় এই ইসলাম-প্রীতি। তখন কট্টর মৌলবাদীদের ও মনে হয় সুফিবাদী। ধর্মীয় গোঁড়ামিকে ও মনে হয় মানবতার দর্শন। কারণ প্রমাণ করতে হবে যে আমার একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। সে যতই Inter Caste Marriage এর নাম শুনলে আকাশ ভেঙে পড়ুক আর সব বিপ্লব শেষে মায়ের পছন্দের গোত্রের মেয়ের সাথে সাতপাকে বাঁধা পরি৷

মুসলমানদের ভালোবাসতে হলেই কথায় কথায় ইনসাল্লাহ ইনসাল্লাহ করতে হয়না। কোন মুসলমান মেয়ের প্রেমে পরলেই যেমন তাকে বেগম বলাটা বোকামি ঠিক সেরকম আবোদা ব্যাপার এটা। কিংবা যে লোকটা সারাদিন না খেয়ে আছে, তার পাশে অশ্লীলভাবে ভরাপেটে নামাজ পড়ার ভান করতে হয় না ঢেকুর তুলে। রামজান মাসে তার ওই উপোসটাকে সম্মান জানালেই সে খুশী হয়। তার সাথে খাবার ভাগ করে নিলেই সে আনন্দ পায়। তার এই যে এক মাস খাবার-জল না খেয়ে থাকা, তা সন্ধে নামলে উদযাপন করলেই ভালোবাসা বাড়ে। কেবল ফেজ টুপি পরলে না।

মুসলমানদের বাড়িতে রোজ গরুর মাংস রান্না হয়না। বাবাকে আব্বাজান বা মাকে আম্মি ও সবাই বলেনা৷ আপনার বাড়িতে যেমন শাক, পনীর বা মুশুর ডাল রান্না হয় ও বাড়িতে ও সেই গন্ধই পাওয়া যায়। কাবাবের গন্ধ রোজ রোজ আসেনা।

এই যে গোটা বিশ্বে এতো গুলো সন্ত্রাস হামলা হচ্ছে আর তার সাথে কোন না কোন ইসলামী সংগঠনের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, এটা জেনে সাধারণ মুসলমানদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। তারা একঘরে করতে চায় ওই শয়তানদের যারা ইসলামকে ঢাল করে এসব করে। গড়পড়তা মুসলমান সত্যি চায় এদেরকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে কিন্তু গড়পড়তা মুসলমানকে কালাশনিকভ বা চাপাতির যোগান কোন রাষ্ট্র বা  সর্বশক্তিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয় না। জানেন নিশ্চয়ই ওসামা বিন লাদেনকে টাকা, ক্ষমতা আর অস্ত্র প্রদান করে বাঘ বানিয়েছিল আমেরিকাই।

মুসলমানরা নিজেরা ও এই তোষণের ধ্যাষ্টামিটা নিতে পারেনা। গরিব মুসলমানেরা কিছু বলে না কারণ কার না pampered হতে ভালো লাগে। এরা গরিবদের তোষণ করা হলে বোধহয় বেশি খুশি হতো। কারণ কোন রাষ্ট্র যদি নির্লজ্জভাবে গরিবের তোষণ করে বুঝতে হবে সেই রাষ্ট্র ঝলমলে এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে৷

আমরা আসলে নিজেদের মধ্যেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ওই যে বৃত্ত তাতেই খুশী। এর পরে যা কিছু আমরা guess guess খেলি। কেউ জয় শ্রী রাম বলছে মানে সে সাচ্চা হিন্দু। ওই বাড়িতে যে খ্রিস্টান সে নিশ্চিত রাতে খাওয়ার পরে মাডপুডিং খায় আর ওই যে বৌদ্ধ সে নিশ্চয়ই বাড়িতে লামাদের মতো সাজপোশাক পরে। মুসলমানদের নিয়ে তো আমাদের মিথের অভাব নেই। এদের জীবনে কোন সাবরিনা নেই, ইয়াসমিন নেই, জুঁই ফুলের সুগন্ধ নেই। সত্যিই তো বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্রবধূ নেই।

আসলে শেষমেশ জাত ধর্ম নিয়ে চুলোচুলি হয়ে গেলে ওই লালন সাঁই আর ঠাকুর রবীন্দ্রনাথই বেঁচে থাকে। বাকি যা তা জাতের নামে বজ্জাতি করবে বলে বসে। আপনি ঠিক করুন কোন ধরনের ভালোবাসাটা আপন করবেন। মুসলমানদের বাড়িতে গোস্ত খেয়ে ও তাদের পাড়াতে হেলমেট না পরার প্রবনতাকে কটাক্ষ করে না স্রেফ ভোটমারানি সেজে সুভানাল্লা ইনসাল্লাহ বলে মৌলবাদীদের আস্কারা দিয়ে।

"তোমার ঘরে বাস করে কারা
ও মন জানো না, তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা, মন জানো না"। তোমরা সত্যি জানো না তোমার ঘরের বাসিন্দাদের। ভাবো হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থানই সব। ভাবো ইনসাল্লাহ বা জয় শ্রী রাম বললেই সাত খুন মাফ৷ ওদিকে বর্গী আসছে দেশে আর তোমরা ওদের ফাঁদে পা দিয়ে দাঙ্গা করছো। জাপ্টে থাকো। একে অপরের উদযাপনের ভাগিদার হও। শ্যামল কাকু আর সেলিম চাচা বেঁচে থাক। সাবরিনা আর সুজন প্রেম পাক।

ওই যে কথায় কথায় রাম কে নাম বা খুদার কসম খাও নাপাক কারবারি করার আগে, সত্যি বাঁচাবে তো রাম বা রামজান?

©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Sunday, April 14, 2019

ভিঞ্চি দা কী আদৌ সৃজিত এর ছবি?

| ভিঞ্চি দা কী আদৌ সৃজিত এর ছবি? |

#Review #ভিঞ্চিদা

---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

এবছরের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা Riddhi Sen অনুরাগ কশ্যপের এই ছবিতে মেরেকেটে দশমিনিট ছিলেন। ঠান্ডা গলায় ডায়লগ ডেলিভারি, ব্যাট নিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে  মারার পাল্প ফিকশন, ডিমলাইটে ক্যাথারসিস বা ক্রাইম সিনে চাপা হাসির মুহুর্ত নির্মাণ যেমনটা করেন ঠিক তেমনি করেছেন ওই দশমিনিট। তারপর প্রসথেটিক মেকআপ তুলে ফিরে গেছেন বম্বে। জানেন নিশ্চয়ই?

প্রসথেটিক মেকআপ অনুরাগ বসু ও ব্যবহার করেছেন Director's Chair এ বসে৷ ওই একটা ছোট্ট তোতলা প্রেমের গল্প বলার জন্য। মিষ্টি একটা এবড়োখেবড়ো প্রেম। আমরা জানতাম এরকম সাধারণ চরিত্রদের ম্যাজিকাল করে তোলা কৌশিক গাঙ্গুলি বা Anurag Basu দ্বারাই সম্ভব। আমরা ধরে নিলাম বন্ধুর কথায় ওরাই সেটে প্রসথেটিক মুখোশে ওই দৃশ্য গুলো পরিচালনা করেছেন।

দিবাকর ব্যানার্জি নিশ্চিত দাড়ি কামিয়ে নিয়েছিলেন সৃজিত এর ছাঁচ পরার আগে। ওরকম মেকআপ নিতে হলে দাড়িতে রঙ আটকে যাওয়ার একটা সমস্যা হয়। উনিই তো এই ছবিকে টানটান ধরে রাখলেন নাকি?

ভাবাই যায় না এতো শরীর খারাপ নিয়ে ও ইরফান খান যেভাবে আদি বোস এর অভিনয় করলেন। রাজকুমার রাও যেভাবে দিব্বি Rudranil Ghosh Rudy সাজলেন। থুড়ি ভিঞ্চি দা।

না? বলছেন এরা কেউ ছবিটার সাথে যুক্ত নয়? এটা টলিগঞ্জের শিল্পীদের নিয়ে সৃজিত আর কেবল সৃজিত মুখুজ্জের ছবি? তবে তো মশাই এবার মিম আর খিস্তি করা বন্ধ করতে হবে। বিমুদ্রাকরণ পরবর্তী দিনে আরো বেকারত্ব মোটেও ভালো না।

অনেক গুনীজনরা একইভাবে দুধরনের কাজ করেন। একটা গ্রাসাচ্ছদনের আর একটা আত্মসুখের৷ আমার মনে হয় সৃজিত মুখুজ্জের একটা চাপ থাকে প্রতি ছয় মাস অন্তত একটা করে ছবি দেওয়ার। বাজারের কথা ভেবেই এই চাই। সৃজিতের নামে দর্শক আসে ও হলে। আজ যেমন চার বছরের এক বাচ্চা নিয়ে এসেছিল এক দম্পতি দিল্লির এক হলে। বাচ্চাটি আপাত শান্ত ছিল কিন্তু তারপর শুরু হলো তার প্রশ্নবিচিত্রা। মাম্মা পাদলাতোদা কি? মাম্মা তারকাটা কি? মাম্মা সৃজিত নাম শুনেই হলে এসেছেন বাংলা ছবি দেখতে। সুতরাং ডিসিডিডি পোদ্দার ও এই কনক্লুশনে উপনিত হবেন যে সৃজিতের যেন তেন ভাবে কনটেন্ট বানানোর চাপ বোধহয় আছে। না থাকলে একটা "উমা" দিয়েই মানুষ এক বছর বিলেতে পছন্দের রেডমিট খেয়ে কাটিয়ে দেয়।

বাংলায় মানুষ রোজ বাজারি কাগজ আর একটা ঘন্টাখানেকের চ্যানেলকে খিস্তোয়। যে ভাবে বিরাট কোহলির ক্যাপ্টেনসি দেখে বলে দেয় এর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। অথচ রোজ সন্ধেবেলা মানুষ ওই চ্যানেল আর সকালে ওই কাগজটা দিয়েই প্রাত্যকৃত্য করে। কোহলি সেঞ্চুরি করলেই উদবাহু নেত্য করে। সৃজিত মনের মতো ছবি করলে।হ্যাঁ, ঋতুর পরে ঋজুই এখন বঙ্গজীবনের অঙ্গ।

সৃজিতের ছবি খারাপ, ভয়ংকর খারাপ কিন্তু তবু মানুষ বারবার সেটা দেখতে যায় কেন? বারবার দেখে তেড়ে মিম আর খিস্তি করে। হ্যাটা করে বলে ধ্যাৎ একে ভেবেছিলাম ফেলিনি। এক স্বনামধন্য সম্পাদক আমাকে বলেছিল, এক শ্রেনীর পাবলিক যদি তোমায় সব সময় খিল্লি করে বুঝতে হবে তার সুপ্ত হতাশা গুলো কোথাও তুমি নাড়া দিচ্ছো। তুমি পাল্টাতে যেও না নিজেকে। কারণ সে পয়সা দিয়ে তোমার চ্যানেল বা ছবি বারবার দেখবে তোমাকে গালাগাল দিতে। ওর রাগ বা হতাশা প্রকাশ করতে। সেটা করতে দাও।

'ভিঞ্চি দা' সৃজিতের ওই কামব্যাক ইনিংস। দুটো পর পর ডট বলের পরে একটা 'বাপি বাড়ি যা' শট। প্রমান করা যে অনুরাগ কশ্যপ, অনুরাগ বসু, ইমতিয়াজ আলী, দিবাকর ব্যানার্জি, ইরফান খান ছাড়াও এরকম একটা ছবি গঞ্জে হয়। টলিগঞ্জে হয়। আর Amalgamation of Quality particles হয় সৃজিত মুখুজ্জে। যদিও ম্যাজিক ওয়ান্ড অনুপম বড্ড সাধারণ এখানে। ততধিক ধর্মবিচ্যুত এর ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড।

ভিঞ্চি দা সৃজিত এরই ছবি কিন্তু এর রক্ত মাংসে লেগে থাকবে রুদ্রনীল, ঋত্বিক, সোহিনী, ঋদ্ধি আর অনির্বাণ। এরা সত্যি বলিউডকে দশ গোল দিতে পারে ঠিকঠাক বাজেট পেলে।

সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন তুলসী চক্রবর্তী ছিলেন ভারতের মরিস শিভ্যালিয়র। হলিউডে জন্মালে অস্কারে ভরে থাকতো ড্রইংরুম। আমরা আত্মবিস্মৃত জাত। মদ খেতে খেতে আজ থেকে দশ বছর পরে রুদ্রনীল, ঋত্বিক, সোহিনী, ঋদ্ধি আর অনির্বাণকে নিয়ে ঠিক এই আপশোস গুলোই করবো।

©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ