কবির কদর নেই জীবদ্দশায়, কবির কবর দেয়া হয় না।
থাকলে,এপিটাফ কদর দিত/কোন নিষিদ্ধ প্রেমিকার মতো।

mayukh speaks

My photo
kolkata, west bengal, India
A media professional and a wanderer by passion. Blogger and social observer. loves to watch world films and hear different music genre.

Wednesday, September 28, 2016

| অ ত এ ব |

এক কথাতেই খুব জটিল বলা অবস্থা না বুঝেই সরলিকরন /দাম্পত্যও শীতল হল, অবজ্ঞার ধরন যেমন।

| বঙযাত্রীর বোম্বে ডাইরি -৪ |

---------পূজো জ্বর -----

বারান্দা তে রাখা রেডিও, ইজি চেয়ার এ চা, সকাল নামলো বলে। রাজপথে তখন হয়তো দুধওয়ালা, খবরের কাগজ এর গাড়ি ও কিছু উশখুশ। জটলা করে অপেক্ষা।

দূর থেকে একটা ট্রেন এর শব্দ, কয়েকটা কাশ ফুলের ছবি, সামনে সমুদ্র। অনেক নৌকো। সব নৌকো করে ঢাকি আসছে। বিশাল বিশাল বালিশ মাথায়।

কত জোনাকি প্যান্ডেল এর ঝাড়বাতি জুরে। এদের প্রসাদ এ ভাডা পাও আর মোদক দেওয়া হবে। আকাশে একটা ব্রিজ উঠে গেছে।  ওটা সোজা বাইশ তলা যায়।  ওখানে নাকি আসল দেবী রাখা। সামনে ধুনুচি নাচ হচ্ছে।

এ সময় খুব তেষ্টা পায়। ঘুম চোখে বোতল খুঁজতে গেলে ওদের সবার সাথে ধাক্কা লাগে। হুরমুড়িয়ে গিয়ে পরি রেডিওতে, রেডিওর নব মাথায় লেগে বেজে ওঠে। চারদিক থেকে বীরেন ভদ্র জেগে উঠেছে। আমার কোল বালিশ কেনা হয়নি নতুন শ হরে। মন খারাপ হলে কি জাপ্টে ধরবো??

Saturday, September 24, 2016

| যে গেলাশ এ বন্ধু ছিল |


এক আধটা রাত এরকমই হয় সর্বনাশ/
মধ্য রাতেও অপেক্ষারত রাম এর গ্লাস।
কথার পিঠে স্মৃতি নস্টাল রাত কাবার/
সারা রাতজুড়ে গল্প করি চল আবার।
-----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| জন্মদিন |

এবার না হয় দূর থেকেই শুভেচ্ছা থাক
প্রতি বারের একই style ছুটিতে যাক।
জন্মদিন এ এবড়ো রঙ খেবড়ো ছবি/
তোমার প্রেমেই এখনো বেঁচে নগর কবি।

| কালাহান্ডি |


এখানে মাঝি শবদেহ কাঁধে ফেরে/
দেশ এর মূলখন্ডে হয় গম্ভীর আলোচনা।
বঞ্চনা যদি বুলেট এ জবাব দেয়/
প্রতিশ্রুতি তুমি এ দেশ দেখতে এসো না।
---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ভগবান এর জন্ম হল |


সিঙ্গুর এর প্রতি ঘরে পুজো হবে। শঙ্খ, স্লোগান ধ্বনিত হবে। দেওয়াল জোরা ছবি।
তবে দেবীর কাছে তখনো প্রার্থনা করবে বাঙালি
" চাকরিটা বাংলাতেই যেন পাই মা "

| মাদার |


যেখানে ধার্মিক অলৌকিকতা হার মানায় চিকিৎসা বিজ্ঞান/
সে বিশ্বে মা হন সন্ত, ঢক্কানিনাদ ভ্যাটিকান।
----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| ইচ্ছে হলে বারিষ ধরতে পারিস |


একটু আগে বৃষ্টি হল খুব/
সাবধানী প্রেম ছাতার আস্তরনে।
কথায় প্রথম ভিজতে শিখিয়ে ছিলি/
বুঝিয়ে ছিলি আগুন ছোঁয়ার মানে।
এখন আগুন জ্বলতে থাকে রোজ/
ছাতার নিচে একলা বাসস্থল।
আবার কি আজ মনখারাপি হবি?
সিঁদুর ধোয়া বৃষ্টি ভিজবো চল।
------ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| মো না লি সা |


ঠিক সারে ন'টায় সারা মুম্বাই শহর মন খারাপ এ আক্রান্ত হয়েছে। তখন তুমি মাঝ আকাশ এ। নিম্নচাপ হয়েছে আরব সাগরে। তোমার সিট বেল্ট শক্ত করে বাঁধা। এর একটাও পরাবাস্তব কান্ড কারখানা শহুরে মানুষ গুলো বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পায়নি।
যেভাবে গলার কাছে গুটলি পাকানো মন খারাপ এর মাত্রা দেখতে পাওয়া যায়না।
মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে একলা হেঁটে ফেরার সময় সিনেমার মতো বৃষ্টি নামলো। আমি পরি কি মরি করে একটা ট্যাক্সিতে উঠেছি। চশমা মোছার পর ও ওমা দেখি চোখ ঝাপসা। কি কান্ড। মন ভালো নেই নাকি?
রেডিও নেই এই গাড়িতে। গান আছে মাথা জুরে। গাইতে গাইতে সান্তা ক্রুজ ছাড়িয়ে চলছি।
তোমার সাথের মুহূর্তগুলো এখন কড়া নাড়তে আসে/ প্লেনে ওঠার আগের কিছু খন না হয় থাকতে পাশে।

| মোগ্যাম্বো, মধ্যবিত্ততা আর ঘামের গন্ধে অসুখ |


আমরা প্রত্যেকে এক একটা মোক্যাম্বো সেজে ঘুরে বেরাচ্ছি। হাগছি, মুতছি, মদ খেয়ে আবেগময় সেল্ফি তুলছি।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে মোক্যাম্বোর নগ্নতা পৃথিবীর সামনে এসেছে। কিন্তু ক্ষতটা কি আরো গভীরতর নয়?
আমরা যারা আজন্ম মধ্যবিত্ত হয়ে গাড়িয়া থেকে বিবাদি বাগ মিনিতে করে গেলাম, মেট্রোতে বিহারি মুটে উঠতে দেখলে নাক শিঁটকে গেলাম আর বলাবলি করতে থাকলাম তাদের থুতু ফেলার বদঅভ্যাস নিয়ে, আমরা যারা কেউ দেখছে না ভেবে নাকের পোটা বা চিউয়িং গাম হোটেলের দেওয়াল বা রেঁস্তরা টেবিল এ চিপকে দিই, আমরা যারা পূজোর বাজার করতে কোয়েস্ট মল যাই আর ফেরার পথে গড়িয়াহাটার ফুটপাথ থেকে মালতীদির জন্য তিনশো টাকার শাড়ি কিনি, ক্ষতটা তাদের।
আমরা বাসে উঠেই ঘেমো গন্ধকে ঘৃণা করিনা? বা যে গ্রামের মেয়েটি প্রথম বাসে উঠে টানা বমি করে চলে তাকে উপদেশ দিই না টাক্সি করে যাওয়ার? সাথে আবার জানালার ধারে বসার টোটকা ও তো দিই বিনামূল্যে।
যেভাবে বিনামূল্যের সরকারি হাসপাতালের বেড পেতে আমরা চেনা বিধায়ক কে মাঝরাতে ফোন করি, নিখরচায় চিকিৎসা করাই আর বাড়ি ফিরে সরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামোর মুণ্ডপাত করি।
আমার দিদার বাড়িতে 'জমাদার ঢোকার' পিছনের গেট ছিল, অনেকের বাড়িতে তো সুন্দর লোহার প্যাঁচানো সিঁড়ি থাকতো। যেরকম পৃথক বাথরুম থাকে বাড়ির ২৪ ঘণ্টার কাজের মাসির। তার বাথরুম এ হিসু করে আসাই যায় অন্য বাথরুমে কেউ গেলে, কিন্তু মাসি যদি ভুলেও আমাদের বাথরুম এ ঢোকে, নিশ্চিত চারিদিক নোংরা করে রাখবে বা কলের প্যাঁচ কেটে যাবে। যাবেই।
আসলে আমরা প্রত্যেকে এক একটা মোক্যাম্বো সেজে ঘুরে বেরাচ্ছি। হাগছি, মুতছি, মদ খেয়ে আবেগময় সেল্ফি তুলছি ভিখিরি মায়ের সাথে। হাতে তুলে দিচ্ছি আধ খাওয়া চোকোলেট। পুরোটা ফেসবুক লাইভ এ। হাজার লাইক তারপর বিস্মৃতি। যে পরিমান লাইক তার সম পরিমান চাল যদি ফুটপাথ পেত, এক সপ্তাহ চলে যেত ওদের।
যে মহৎ আত্মা গুলো ফি বছর পূজোর সময় ঢাক ঢোল পিটে কিছু পথশিশু জোগাড় করে, নতুন জামা কিনে, মিডিয়া ডাকে আর তারপরই মোক্যাম্বো সেজে ওই বাচ্চা গুলোকে সামনে রেখে নিজেদের প্রচার করে, তাদের সামনে আয়না রাখা হবেনা? ওদের মাথায় কি খোদাই করে মোক্যাম্বো গুলো লিখে দেয় না "রাস্তার ছেলে মেয়ে"?
মোক্যাম্বো আমাদের ভিতরেই আছে। সে রোজ সকালে জেগে ওঠে বাসে, ট্রামে, ইউরিনাল এ। রোজ সকালে আমরা তিনবার ভাবি, ড্রাইভার এর পাশের সিটে বসবো কিনা নিজের গাড়িতে।
রোজ আমরা মোক্যাম্বো সেজে খিস্তি করি হাগরে হাবাতেদের। আবার বিশাল প্রতিষ্টান কাদায় পরতে দেখলেও সমস্ত রকম খেউর করি। তা কখনো হয় ম্যাগি বা মোক্যাম্বো। বড় কোম্পানি কে ছোট থেকেই সন্দেহের চোখে দেখতে শেখানো হয় আমাদের।
মোক্যাম্বো দিয়েই শুরু হোক বদল। আমরাই তো ঘেমো জামা, ময়লা প্যান্ট আর থতমত মুখ রেঁস্তরায় পাশের টেবিল এ বসলে ফিসফাস করি, কোথার থেকে সব গাঁইয়াদের তুলে এনেছে। পয়সা থাকলেই হয় না বাওয়া!!! সফিস্টিকেশন আর বনেদিয়ানা আলাদা ব্যাপার।
আমরাই তো কথায় কথায় বলি tacky, বলি LS। আমরাই তো মানসিক ভারসাম্যহীনদের পাভলব এ নগ্ন করে, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখি। বাড়ির সামনে ঘেমে নেয়ে ফেরিওয়ালা এসে বসলে দূর ছাই করি বা ছেলে ধরা ভাবি।
ভাগ্যিস নবারুণ বেঁচে নেই। মোক্যাম্বোর সামনে নয়তো জমা হত ময়লা কাপড়, বাংলা মানে বই, তাল তাল গু। রাতে এসে আপনাকেও গা ঘোঁষে ঘোঁষে ধুতে হত, সুগন্ধী সাবান, স্ক্রাব দিয়ে। তারপর ফের মুছতে হত নরম তোয়ালে দিয়ে। আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোক্যাম্বো কবে ঝাপ বন্ধ করবে? সেদিন ব্রিগেড জুরে মোচ্ছোপ করা হবে।
বিশাল মাঠ জুরে কলা পাতা, বসার জন্য খবরের কাগজ। রাম, ফ্যাপড়া বড়া, ডিম সেদ্ধ, সেদ্ধ ছোলা, বিট নুন, গরুর ঝাল, শুয়োর ভাজা। সাথে গলা খুলে গান।
ড্রাইভার এর গান, মুটে মজদুরি গান, কলেজ পালানোর গান, মায়ের গলায় ছোটবেলায় শোনা গান। দুপুরবেলা গরম ভাত, ঘি, তেলের বড়া, শুঁটকিমাছ এর ঝাল, সকালের বেঁচে যাওয়া গরুর ঝাল, শুয়োরের ঝোল হোক।
DECLASSED হবেন তো আসুন না হলে দুদিন এর খ্যামটা ডিলিট করুন।
-----ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

REVIEW: FILM PINK

#NoMeansNo
| Is it okay for a girl who booze and fag to get raped? |
Is it okay for a Sex Worker to get molested?
Do all girls who come home late turn out to be sluts?
It was one of those Monday's in ABP ANANDA, when I used to work there. Das, the security guard was constantly urging me to get in touch with Suman De who was not in office. There was one lady who was calling every five minutes at the reception number and asking for him . Before I could even attend a single call, the woman herself came at the ABP office. We were all standing at the 2nd floor Entrance and she was all frustrated and pissed off and was shouting:
Can I meet Suman? I am being RAPED.RAPED.RAPED.
That was precisely her reason to meet Bengal's most watched news anchor. Because the police questioned her whether she was drunk, the people questioned why she was alone and was making friends with boys.
Suman De ofcourse meet her and interviewed her from behind the back. Her curly hair was what viewer's could see. And the interview became history.
Tmc ministers questioned her character. The news point of that interview was Is it okay for a girl who booze, goes to a night club and fag to get raped?
Pink is based on this single one liner. The characters reflect attributes of a woman called Suzette Jordan who was RAPED RAPED and RAPED and was later regarded as Park Street Rape survivor.
There was Teen kanya by Agnideb Chatterjee which was adapted from this rape incident and here is this story. Oh what a screenplay.Envy you man!
This is far by the best film of Aniruddha Roy Chowdhury. Resurrection of BigB. What a Bollywood debut. Antahin was closer to the bong heart but here in Mumbai when i see non bong crowd applause and laugh and cry with the characters of Pink, i feel proud for you dada.
Soojit Sarkar, i guess you have partially ghost directed this film.
Amitabh Bachchan,Piyush Mishra and Dhritiman Chatterjee in a court scene. What else can we expect?
Tony da waiting for your next hindi flick. And Srijit Mukherji counting on you. Make us proud here in Mumbai with Begum jaan.

মনখারাপি এ বর্ষাতি ভিজছে জিয়া / বাড়ির ভিতর অসুখ এর নাম মেলানকোলিয়া।

মনখারাপি এ বর্ষাতি ভিজছে জিয়া /
বাড়ির ভিতর অসুখ এর নাম মেলানকোলিয়া।
-- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

| যুদ্ধ বর্ষ |


লড়াকু বিমান আকাশজাত/
পরশী মুলুক অর্বাচীন।
বন্ধু সেনার কাশ্মীরি হোক/
বালুচিস্তান ও হোক স্বাধীন।
কিসের মাংস কার হাঁড়িতে/
কোন দলিতের আচ্ছে দিন।
পূর্ণিমা চাঁদ, পরমানু লাশ/
ভাতের বদলে যুদ্ধ নিন।
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ