| মুরর্গাজম |
তখন ঘ্রাণ তুঙ্গে। পাচনতন্ত্র সজাগ।
বিকেলে আনা মুরগি, মুরগির মেটে গিলে সযত্নে ম্যারিনেট করে রেখেছিলাম। দই ছিল, তেল ছিল, রসুন আদা বাটা, লাল লংকা, ধনে বাটা, নুন পরিমাণ মত।
এরপর এলো মোনালিসা জান! খুন্তি হাতে আর খুচরো কিছু জাদু নিয়ে, যা কড়াইতে মেশানো হবে।
গিলে মেটে লালচে থকথকে হবে। উপরে এক চামচ মাখন নামানোর আগে। গন্ধেগন্ধে অর্গাজম। ফুডের।
মাংসের ঝোল হবে হলদেটে। ওতে দই আছে, কাজু বাটা আছে, বাঙালি যা মশলা নিয়ে ঘর করে তার উল্লেখ আছে। এই মাংসের ঝোলের ভাগ হয়না। এটা খাওয়া উচিত ভাত দিয়ে তবে আজ রুটিতেই সই। কেনা। পাশেই জৈন ধাবা। নিরীহ রুটি জানেও না এ ঘরে কে অপেক্ষা করছে তার। জরিয়ে খাবার।
গিলে মেটে কথামতো লালচে হয়েছে। এবার কড়াই থেকে নেমে ওর সোহাগ করার পালা। ঘোলাটে পানীয়, অবিন্যস্ত বাদাম ছোলা ভাজা, ঠান্ডা জল অনেক ক্ষন অপেক্ষারত। মাখো মাখো। ঠোঁটে লাগবে, জিভে লাগবে, লাগানো হবে পানীয়, খুচখাচ, আনুষঙ্গিক যা কিছু।
এরপর কথা থাকে না। সাদা থালা রাখা থাকে। গিলে মেটে কথামতো লালচে গোটা থালা জুরে। কয়েক পিস গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ আগলে রেখেছে স্বাদ। গম্ভীর মুখ ছিল। চামচে করে একটা মেটে মুখে যাবে। গলে যাবে। তারপর....
থাক, আর লেখা নয়। আমার লাল মাংস খাওয়া বারন অতএব মুরগাতেই ফ্যান্টাসি।
এরপর ঘ্রাণ থাক। পাচনতন্ত্রে জান থাক। আগামী মুরর্গাজম তক!
----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment